আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংযত ব্যাটিংএ অনিন্দ্য সুন্দর ক্রিকেট

তোকে দেখিনা, কতো হাজার বছর হয়ে গেলো...
টি২০ আবির্ভাবের পর পর অনেক ক্রিকেটবোদ্ধাকে বলতে শুনা গেছে- এটা ছোট দলের খেলা। কারণ সীমিত ওভারের ম্যাচে ছোট-বড়র ব্যাবধান থাকেনা। মানে দাঁড়ালো- বড় দলের তকমা সেখানে মূল্যহীন। ফলে চান্স ফিফটি-ফিফটি। যেখানে পাবার কথা শূণ্য, সেখানে পাওয়া গেলো ৫০! সুতরাং টি২০ ছোট দলের খেলা… যা হোক, শুরুতে সবাই ভেবেছিলো- বাংলাদেশ এই খেলাটার সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত।

এই ভাবনাটা যাদের পরের ভাবনাটাও তাদের- বাংলাদেশকে দিয়ে হবেনা, অন্তত টেস্টে হবেনা… ইত্যাদি..। এই কথিত সমালোচকদের চোখে-মুখে আঙ্গুল দিয়ে ও.ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ ও.ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ধবল-ধোলাই করে দেখিয়ে দিয়েছে- কী হবে আর কী হবেনা… আসলে প্রথমে টি২০ এর কথা বলছিলাম এটা বুঝানোর জন্য যে, বাংলাদেশ আর কোনো নির্দিষ্ট গন্ডির দল নেই। টেস্ট ওয়ানডে আর টি২০- সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ হয়ে যাচ্ছে- টিম বাংলাদেশ। গত কিছুদিন ধরেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের খেলায় একটা ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার অনেক বড় একটা উদাহরণ হলো- সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচটা।

যেই তামিম মারমার কাটকাট ব্যাটিংএ অভ্যাস্ত, সেই তামিমই ফিফটি করতে খেললেন ৮০ বল! যা তামিমের পরিণত হওয়ার শুভ ইংগিত দেয়। আর আশরাফুলও যেন কীভাবে নিজেকে বদলে ফেলছেন দিনদিন। গত পাঁচ ম্যাচে আশরাফুলে স্কোর দেখুন- কথাটার সার্থকতা খুজে পাবেন। ওপেনিংএ তামিমের যোগ্য পার্টনার হয়ে উঠা জুনায়েদের ব্যাটটা অবশ্য একটু আগ্রাসী টাইপেরই আছে। যেটা অবশ্যই প্রয়োজন।

আর সাকিবের ব্যাটটা তো বাংলাদেশের কাছে ভরসার একমাত্র নাম হয়ে যাচ্ছে। কী খেললো আজ! এমন অধিনায়ক তো খুব প্রয়োজন ছিলো আমাদের! মাশরাফির ইন্জুরীই শাপেবর হলো আমাদের জন্য। তারপর রকিব তো বাংলাদেশের ‘দি ওয়াল’! কী, ভ্রু কুঁচকালেন যে! পিছনের দিকে তাকিয়ে রকিবের ছোট ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসগুলো দেখেন- ভ্রু স্বস্থানে ফিরে আসবে। সংযত ব্যাটিং এর কথা বলেছি শিরোনামে- ঐ বলাটা আসলে খেলার ধরণে। সাকিব এতো এতো শট খেললো- অথচ ওকে দেখে মনেই হচ্ছিলো না- জিম্বাবুয়ান বোলারদের ভিতরটা কেমন উলটপালট করে দিচ্ছে।

তাছাড়া- যে দলের ২৮ ওভার শেষে বাউন্ডারী মাত্র ৬/৭ টা, সেই দলের ইনিংস শেষে বাউন্ডারীর সংখ্যাটা যদি পাঁচগুণ বেশি হয়ে যায় তাহলে কি আপনি এই ব্যাটিংকে সংযত-সুন্দর না বলে পারেন!! জুনায়েদ-তামিম আর রিয়াদের আউট তিনটা দূর্ভাগ্যজনক। এই আউটগুলো না হলে রানের চেহারা আরো ভয়ংকর হতো স্বাভাবিক ভাবেই। সবচেয়ে বড় কথা- আমরা জিততে শিখে যাচ্ছি। আমরা অনেকগুলো দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ মুখ পেয়েছি। আমরা একজন 'অধিনায়ক’ পেয়েছি- যে আমাদের হেঁটে হেঁটে পথ চেনাচ্ছে… জয়তু বাংলাদেশ, জয়তু অধিনায়ক…
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.