আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারত বাংলাদেশের বন্ধু হবে একথা ভূলে যান।

সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,

বাংলাদেশ যদি একটি মুসলিম দেশ হয়, তাহলে ভারত বাংলাদেশের বন্ধু হবে একথা ভূলে যান। ভারতের কোন সিদ্ধান্তে মনে হতে পারে তা বাংলাদেশের জন্যে উপকারী এক্ষেত্রে বুঝতে হবে, হয় বাংলাদেশের এক্সপার্ট তা ধরতে পারেননি অথবা এই মহান চিন্তার বিপরীতে ভারতের কোন ত্রিবিধ চক্রান্ত কাজ করছে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক মাত্র ৩৮ বছর। এই ৩৮ বছরে বাংলাদেশ ভারতের শুভাকাঙ্খী তার অন্তত একটি নজির ইতিহাসের পাতা তন্ন তন্ন করে খুজেঁও পাওয়া যাবেনা। জাতী হিসেবে ভারতীয়রা যথেষ্ট হীনমন্য, প্রতিবেশী হিসেবে হিংসুক, বন্ধু হিসেবে অবিস্বস্থ, সহযাত্রী হিসেবে প্রতারক, দুর্বলের প্রতি হায়েনা সদৃশ।

মুসলিম শাসকেরা যতদিন ভারতবর্ষ শাসন করেছিল ততদিন তাদের সুদিন ছিল। আজো লক্ষ লক্ষ পর্যটক যারা ভারত ভ্রমনে যান তারা মুসলিম আমলের স্মৃতি রোমন্থন করতেই ভরতে যান। হাজার কোটি রুপি ভারতীয়রা আয় করেন বছরে, শুধু মুসলমানদের পুরানা দান দিয়ে। ২০০ শত বছর ভারত শাসিত হয়েছে ব্রিটিশ কর্তৃক। ভারতে ব্রিটিশ কর্তৃক অবদানের সামান্য ছিটেঁছোটাও ভারতীয়রা দেখাতে পারবেনা।

ভারতীয়দের হীনমন্যতার কারনে তারা ৫ হাজার বছর শাসিত হয়েছে অন্য নরপতিদের দ্ধারায়। সেখানকার জনসাধারনই অন্যজাতীর নরপতির নিকট গিয়ে অভিযোগ করতেন, আমার দেশ দখল করো, হয়ত আপনার হাতে আমরা ভাল থাকব। এই ছিল ভারত, এখনও তার পরিবর্তন ঘটেনি। এত কিছুর পরও ভারত ছোট্ট একটি বাংলাদেশের অস্বিস্থ মেনে নিতে পারেনি, পারবেও না। আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, ইহুদী এবং মুশরিক কখনও মুসলমানের বন্ধু হবেনা।

তাদের প্রতি যত উদারতা ওবং মহানুভবতা দেখানো হোকনা কেন তারা দিন দিন শত্রুতার হস্ত বাড়াতে থাকবে। সুতরাং তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরীর ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করো। আল হাদীস। ইহুদীদের আচরনের বেলায় আর ভেঙ্গে বলার দরকার নাই দুনিয়াবাসী তার সাক্ষী। ভারত হল পৃথিবীর সর্ববৃহত মুশরিক দেশ, সকল হিন্দুরাই মুশরিক।

মুশরিক কোন গালি নয়, এটা একটা পরিচিতি মাত্র, বাংলায় বলা হয় অংশীদার, ইংরেজীতে হয় শেয়ার। যারা চাওয়া পাওয়া, ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ ছাড়া আরো অন্যদেরও শক্তি আছে বলে ধারনা করে তারা সবাই মুশরিক। ভারত শুধু বাংলাদেশের জন্যে আগ্রাসী নয়, তারা পাকিস্থানের প্রতিও আগ্রাসী। মুসলিম হওয়ার কারনে তারা দূরবর্তী আফগানের প্রতিও আগ্রাসী যদিও আফগান দ্ধারা ভারত আক্রমনের কোন সম্ভাবনা নাই। মুসলিম পরিচিতিই যথেষ্ট ভারত কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার জন্যে।

যেমননি নিজ দেশে ভারতীয় মুসলিমেরা ভোগ করে চলেছেন। তাই ভারত বাংলাদেশকে দেশ হিসেব বিবেচনা করেনা, করে একটি মুসলিম দেশ হিসেবে। তাই ভারতের চিন্তা বাংলাদেশের সবাই ভারতের শত্রু। পৃথিবীর ইতিহাসে ভারত কখনও জয় পায়নি বিজীত হয়নি, ফলে তারা চক্রান্তে বিশ্বাসী একটি জাতি হিসেবে গড়ে উঠেছে, ইহুদীরাও তাই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের বিজয়কে ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন ৫ হাজার বছরের সেরা বিজয়।

সেটাও তারা আদায় করেছিলেন এক মুসলিম জাতীকে অন্য মুসলিম জাতী দ্ধারা আক্রান্ত করে, নিজেরা সরাসরি নয়। এ জাতীয় চক্রান্ত বাস্তবায়ন করার জন্যে, ভারতীয়রা বাংলাদেশী মুসলিম নামধারী ব্যক্তিদের বাছাই করেন। মূলত যারা ইসলাম ধর্মে নামে আছেন ব্যক্তি জীবনে ইসলাম ঘৃনা করেন এমন ব্যক্তিদের থেকে রাজনীতিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি তাদের প্রথম পছন্দ। শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামীলীগে এধরনের ভারতীয় রাজনীতিক এজেন্ট ভুরি ভূরি। এখন তারা সামরিক বাহীনিতে ঢুকতে পেরেছে ভালভাবে।

মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম, মোজাম্মেল বাবু সহ প্রচুর সাংবাদিক এজেন্ট দেশে কিলবিল করছে। টেলি সামাদ, রাজ্জাক, কবরী, শমী কায়সার, সুবর্না মোস্তফা, জাহিদ হাসান, রুনা লায়লা সহ এ বিভাগে রয়েছে হাজারো সাংস্কৃতিক এজেন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এজেন্ট রয়েছে প্রচুর। এদের পরিচয় জানলে মানুষের চোখ কপালে উঠে। সেক্ষেত্রে বি, ডি, আর প্রধানেরা যদি হয় শেখ হাসিনার নির্বাচিত তাহলে তিনি কেমন দেশপ্রেমিক হবেন বলাই বাহুল্য।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.