[সাখাওয়াত টিপুর এই আলোচনাটি বেরিয়েছিল সাপ্তাহিক কাগজে। প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় সামহয়ারের পোস্ট করা হলো]----- মিলটন
অনাবাসী কবির হস্তী দর্শন!
সাখাওয়াত টিপু
গর্দিশে চশমে সিয়া
সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ
প্রকাশকাল: বইমেলা ২০০৮
প্রকাশক: যেহেতু বর্ষা
প্রচ্ছদ: রনি আহম্মেদ
মল্য: ১০০ টাকা
পৃষ্ঠা : ৪৭
‘বাক্য ছাড়া যে তাহার আর কোন অস্ত্র নাই। কে তাহার বাহু সবল করিবে, হৃদয়ের শক্তি দুর্দ্দম রাখিবে এবং মৃত্যু বিভীষিকার অতীত করিবে?’
[রাণী সন্দর্শন: অব্যক্ত/শ্রীজগদীশচন্দ্র বসু]
নারীর নাড়ির অবস্থা বিশদ করিতে একদা বাংলার ভাবুক শ্রীজগদীশচন্দ্র বসু অব্যক্ত বহিতে এই ভাব চাউর করিয়াছিলেন। ইহা কি খালি খালি নারীর বেলায় খাপ খায়? না, ইহার ভাব আরো বিস্তৃত। ভাষার বিলাস বলিয়া তাঁহার কথাকে উড়াইয়া দিতে পারিতাম, কিন্তু বিষয় যে সহজে ঢুকিয়া পড়িতেছে।
আমরা আগাইয়া কহিব, তাঁহার ভাব ভাষার গর্দিশ [বিপর্যয়] কাটাইয়া উঠিবার নতুন মওকা বটে। তাহাতে যুক্তির চেশম [চোখ] ঘুরাইলাম, তবে চশমে [উপনেত্র] চোখে তুলি নাই। তাই সীয়া’হ [কালো] শব্দের হেরফের না ঘটাইয়া প্রশ্নের গেরদা’গের্দ [চারদিক] বুঝিয়াছিলাম। বসু মহাশয়ের এই কথাকে আগাইয়া কহিলে হয়, কবি/লেখকের বাক্য ছাড়া আর কোন অস্ত্র নাই। উত্তর মিলিয়াছে এই, তাহার [কবির/লেখকের] বাহু সবল করিবে শব্দ, শক্তি দুর্দ্দম রাখিবে বাক্য, আর মৃত্যু বিভীষিকার অতীত করিবে ভাষা।
মোট কথা, ভাষার এšেজাম যাহার নাই তাহার ভাব ওর্ফে অর্থ নাই। কারণ শব্দ যদি নিয়ত হয়, তাহলে ভাষা হয় তাহার নিয়তি। তো কেন জানি, আশির দশকের কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ বার বার অর্থহীনতার দিকে হাঁটেন। তিনি শব্দকে কী জ্ঞান করেন? ব্রহ্ম? এই রাজ্যের তথাস্তু কবিরাও পুরাণের ধাঁচে শব্দকে ব্রহ্মই জ্ঞান ভাবেন। কারণে কি অকারণেই, শব্দবিলাসীরা কথায় কথায় ব্রহ্মকেই টানিয়া আনেন।
প্রশ্ন জাগিতেছে, ব্রহ্ম বা প্রভু তুমি কি খালি খালি পদ? ব্রহ্ম তুমি যদি পদ হও তোমার পদার্থ কোথায়? তাঁহাদের কথার পরার্থ বেটপ শীতল। কারণ শব্দ বা ব্রহ্ম ভাষা দিয়াই শাসিত। মানে ভাষাই ব্রহ্ম বা শব্দের অর্থ দেয়। আর তাহার অর্থ ভাষার খাপে খাপ খাইয়া বাঁচিয়া থাকে। যদি খাপে খাপ না খায় তাহার মরণ অনিবার্য।
তাহলে কি কহিব ব্রহ্ম তুমি এতই অর্বাচীন!
আশির কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ কোন এক লেখায় দাবি করিয়াছেন, তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত লেখক। খুব যুৎসই কথা। কিন্তু মুশকিল, এই যে প্রকল্পতাড়িত লেখা তাহা উন্নয়নতত্ত্বে ঠাসা হরহামেশা। যেন সব তথ্যের ডাঁই! সাহিত্যে এখন তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ারে অতি আলোকিত। এই যে সাসটেইনেবল গল্প, টেকসই উপন্যাস, লাগসই পদ্য আর ঊন-নয়নের সম্পাদনায় বাংলা সাহিত্য ভাসিয়া ভাসিয়া টেমস নদীর উপনিবেশে পতিত হইতেছে, তাহার কী হইবে? জানি না, বাংলা ভাষা কখনো ইংরাজি ভাষাকে দখল করিবে কিনা, তবে ইংরাজি যে বাংলা ভাষাকে দখল করিতেছে, তাহা হাড়ে পেরেক ঠোকার মতো শব্দ হইতেছে।
এই হইলো শিবের গীত। ইহাতে অভিও আছে, ধানও আছে। তাহার পরেও গীত আছে। আমরা পরের কথার সুর ধরাইতে সুব্রত’র গর্দিশে চশমে সিয়া নামক পদ্যের বহি হাজির-নজির রাখিতেছি।
প্রশ্ন জাগিতেছে, বাংলা ভাষা ফেলিয়া কেন তিনি ফার্সিতে কবিতার বহির নাম রচিলেন? উচ্চাভিলাষী কবি বলিয়াই কি ফার্সির ব্যবহার? নাকি গমক দেখাইতে তাঁহার এমন মতিগতি? বাংলায় ফার্সি ভাষার ইতিহাসের দুই দিক আমরা যুক্তির নিক্তিতে তুলিব।
ইতিহাস কয়, বাংলায় ফার্সি ভাষার সচনা হিজরি সপ্তম শতকের শুরুতে। ইরানি বংশলতিকার মুসলমান শাসকগোষ্ঠীর তুলাদণ্ডেই ফার্সি শব্দের বাংলা ভাষায় আগমন ঘটিয়াছে। সুলতানী আমলেই বহু ফার্সি শব্দ বাংলাভাষায় আত্তীকরণ ঘটিয়াছে। শুরুর দিকের তাহার নজির সুলতানি আমলের কবি শামসুদ্দীন মুহাম্মদ খাজা হাফেজ শিরাজীর গজলে স্পষ্ট। বাংলা-ফার্সি অভিধানের ভূমিকাকার ইরানি সংস্কৃতিবিৎ আলী আভারসাজী ফার্সি ভাষাবিৎ ড. মকসুদ হিলালীর [বর্তমানে প্রয়াত] বরাতে বলিয়াছেন, ‘মূল ও যৌগ মিলে বাংলা ভাষায় ৯ হাজারের অধিক ফার্সি শব্দ প্রচলিত।
’ তদুপরি ফার্সি ‘হামযা’, ‘জ্ব’, ‘এইন’, গ্বেইন’, ‘গ্বা'ফ’ হরফের বাংলা স্বরের হরফ নাই।
এই গেল পরকালের কথা। ইহকালে কী? সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ কবিতা লেখেন বড্ড চোস্ত। তাহার আগে প্রকাশিত বহি তনুমধ্যা, পুলিপোলাও ও দিগম্বর চম্পূই বড় সাক্ষী। তিনি কেমন কবি? এক কথায় তনুমধ্যার পর হইতে তিনি প্রকল্পের তাড়নায় কবিতা রচেন।
তবে তাহার প্রকল্প উন্নয়নতাড়িত নহে, ঊন-নয়ন তাড়িত। যেমন,
এনজিও আর গ্রাম, মুদ্রার এপিট-ওপিট
বাংলাদেশী গল্পের দুইমাত্র পীট।
গ্রামের সঙগ্রামে আর গ্রামারে, এনজিও
লেখক অকথ্য তথা কথ্যভাষাপ্রিয়,
তথ্যের গ্রামাশা ভোগে, নির্বংশী কানাই,
আমাদের গল্পের ভূত আছে, ভবিষ্যৎও, বর্তমান নাই।
[এনজিওগ্রাম/ পৃষ্ঠা ২৯]
ঊন-নয়নের ভূত কিংবা ভাষাতাড়নার প্রকল্পই তাঁহার কবিতার সার। তাঁহার কবিতা মনোযোগের সহিত পড়িলেই প্রকল্পের সুর টের পাওয়া যায়।
তাহা কী রকম? মাইকেলের কাব্যভাষাশাসিত পুলিপোলাও, সপ্তম শতকের সংস্কৃতি সাহিত্যের চম্পূকাব্যের অনুকরণে পদ্য-গদ্য মিশ্রিত দিগম্বর চম্পূ ও শেষ নমুনা ফার্সি তাড়িত গর্দিশে চশমে সিয়া। তাহার নমুনা,
আইটি এনজিনিয়ার এক ইরানি তরুণ
আমাকে দেখেই বলে, আচ্ছা হৈঁ? আমি
বলি, ইয়েস, অ্যান্ড য়্যু? থতমত খেয়ে
বলে, য়ু ডোন্ট স্পীক হিন্দি? সরি সরি।
তারপর খাতির হ’লে চা খাই এক-কাপ,
আমি বলি, আমাদের ভাষায় বিস্তর
ফার্সি শব্দ আছে। সে বলে, চশম
মানে কী জানো কি? আমি বলি, জানি, চোখ।
সে বলে, গর্দিশ? আমি বলি, ঝুটঝামেলা।
সে জানায়, গর্দিশের অর্থ চারদিক্।
গর্দিশে চশমে সিয়া। আমি বলি, আমি
বুঝেছি, চারদিক্ জুড়ে কালো কালো চোখ।
[গর্দিশে চশমে সিয়া: পৃষ্ঠা ৪৬]
ইহাতে দেখা যাইতেছে, সুব্রত’র কবিতায় ইরানি তরুণ আপাদমস্তক ভাষাবিৎ। একবার তিনি বাংলা বলেন, একবার ইংরাজি বলেন, আবার ফার্সিও বলেন।
এইখানে সুব্রতও তাঁহার কাছে থতমত খাইয়া ভাষাবিৎ হইয়া উঠিয়াছেন, আলবৎ। মনে হয়, সুব্রত ভাষা বিষয়ে অতি আলোময় হইয়াছেন। এই আলোতে তাঁহার কবিতার বদল সুরত নরানি হইয়া ওঠে। ইরানি তরুণ ইংরাজি [You] ইউ’কে উচ্চারণ করেন ‘য়ু’ আর সুব্রত উচ্চারণ করেন ‘য়্যু’। বাংলা ভাষায় ‘য়’ শব্দের শুরুতে বসে না, ইহা বসিয়া থাকে শব্দের মধ্যে কিংবা অন্তে।
সেই আলো, কেন জানি, তাঁহার কবিতার বহির ভাষায় বিশেষ সহি-সালামতে পড়ে নাই। ভাষার মণ্ডল বাড়াইতে পরভাষার শব্দ ব্যবহারে কোন দোষ নাই, যদি তাহা অর্থপূর্ণহারে প্রয়োগ হয়। সুব্রত’র আগে সফলভাবে ‘গর্দিশ’ শব্দখানি সৈয়দ মুজতবা আলী ও কাজী আবদুল অদুদ বাংলা গদ্যে ‘বিপর্যয়’ অর্থে ব্যবহার করিয়াছেন। আর ‘চশমে’র বাংলা অর্থ চোখ নহে। নেত্রেরই উপনেত্র বা চশমা।
আর ফার্সি ‘সিয়া’ শব্দের অর্থ শিয়া সম্প্রদায়। কালো বলিলে তাহা ফার্সিতে হইবে সীয়া’হ (আরবিতে সীয়া শব্দের অর্থ কালো)। আর সুব্রত তাঁহার বহিতে গর্দিশে চশমে সিয়া’র বাংলা তর্জমা করিয়াছেন চারিদিক্ জুড়ে কালো কালো চোখ। কথিত ফার্সি এইবাক্যে ‘কালো কালো’ বহু বচন তিনি পাইলেন কোথায়? তাহা পদ্যকার সুব্রতই জানেন কীনা সন্দেহ হয়? একটি কথা ক’য়ে থুই, বাংলায় যেমন ১০ রকমের স্বরচিহ্ন আছে তদরূপ ফার্সিতে তাহা সাত প্রকারের। সেই স্বরচিহ্নের ব্যবহার সুব্রত’র লেখায় সাধু হয় নাই।
স্বরচিহ্নের ব্যবহার এধার-ওধার হইলে বাংলা ‘কাম’ যেমন ‘কম’ হইয়া যায় সুব্রত’র কবিতায়ও তাহা ঘটিয়াছে। মোকামে পৌঁছানো তো অনেক পরের কথা, ভাষার গমক দেখাইতে গিয়া তাঁহার কবিতা পর্যুদস্ত হইয়া পড়িয়াছে।
একটা কথা ঠিক, কবি হইলো শব্দের কারিগর। তাই শব্দের প্রতি একজন কবির লোভ থাকা স্বাভাবিক। কেন জানি, সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের শব্দের প্রতি অতিলোভ।
কবিতায় শব্দ ধরিয়া আত্মপ্রকাশ হওয়ার একটা চেষ্টা আছে তাঁহার। তবে মুশকিল, অতিলোভের কারণে শব্দ ধরিয়া ধরিয়া তা তিনি ইট-বালুতে বসাইয়া দেন। তাহা একদম খাপ খায় না। তাঁহার নানান শব্দের বেশির ভাগেরই ব্যবহার, ধস্তাধস্তির রকমফের। এই অসামঞ্জস্যতার কারণে তাঁহার কবিতা শব্দেই আত্মাহুতি দেয়।
একদা প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকীতে কে জানি দিগম্বর চম্পূ বহির আলোচনা করিয়াছিলেন। সমালোচক নিজেকে মুর্খ স্বীকার করিয়া বলিয়াছেন, সুব্রত’র কবিতায় ব্যবহৃত অনেক শব্দ মগজে না ঢুকিয়া তাহার মাথার উপর দিয়া চলিয়া যায়। শব্দ বুঝিতে অভিধান নাকি তাঁহার বগলে রাখিতে হয়। তবে ওই সমালোচনায় কে কাহাকে মুর্খ বলিয়াছেন তাহারা দুজনেই তাহা ভালো জানেন!
কখনো কখনো কবিতাকে হাওয়ায় ভাসাইয়া দিতেছেন তিনি। কবিতা যেন স্থল বা ভূমি পায় না।
তাঁহার সংকট কি ভূমির? রাষ্ট্র কি হাওয়া? একি অনাবাসী কবির হাওয়ায় ভাসিতে ভাসিতে মৃত্যুবরণ করিবার করুণ বিলাপ?
ধরুন,
তাহার বিবেকবর্জিত হা-টা
বড় হ’তে হ’তে
হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে,
তবু-
ধরুন,
তার মরণ হয়েছে,
তবু-
[ তবু/ পৃষ্ঠা-৩৮]
ফাকন্দ পড়া কাসন্দ আছে ঘরে-
দাদা, বুঝতে কি কষ্ট হতেছে খুব?
জনম জনম আছিলাম চুপ,
অহন আবার জিবলাটা লড়েচড়ে।
[বুড়া মোড়লেরে বুড়া আংলা/ পৃষ্ঠা-২৬]
এর বেশি উদাহরণ টানিলে তাহার কাসুন্দি ঘাটা হইবে। তবে বহিটি পড়িতে পড়িতে মনে হয়- সত্যেন্দ্রনাথ দত্তও তাঁহার কবিতায় আঁচড় কাটিয়াছে। সুব্রত’র ‘বৃষ্টি’ কবিতা আর সত্যেন্দ্রনাথের ‘দূরের পাল্লা’র সুরের পার্থক্য কি আছে ? অন্ত সুরে সুরে কেমন জানি ভর করিয়া সত্যেন্দ্রনাথ বড়ই বাজিয়া ওঠে-
ছিপখান
তিনদাঁড়
তিনজন মাল্লা...
[দূরের পাল্লা/ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]
এইগান গান না
জন্তুর কান্না...
[বৃষ্টি/ সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ]
সুব্রত গর্দিশে চশমে শিয়া আসলে কী জিনিস? তাঁহার একাধিক কবিতায় বারবার আসিয়াছে ব্যক্তি ‘আমি’র রক্ত, শ্লেষ্মা, থুতু, কেদ, হাহাকার। সুব্রত চাহিলে ঘাসের রক্ত কেন- টিকটিকির রক্তও আপন শরীরে বহাইয়া দিতে পারিবেন।
মারহাবা, সেই কল্পনাশক্তিও তাঁহার আছে। তাহা কি খুব সুখকর হইবে? তদুপরি ব্যক্তি ‘আমি’র এহেন অবস্থা আত্মরতিরই নামান্তর মাত্র। এই ‘আমি’ শ্রেণীসচেতন নহে। এই ‘আমি’কে আত্মরতিতে নামাইয়া রাখিবার কারণ কী? ‘আমি’র আমিত্ব যে জগতে রোগাক্রান্ত ফটিক হইয়া আছে। তাই এই ‘আমি’ কখনো সামাজিক অবস্থায় পৌঁছাইতে পারে না।
‘আমি’র আমিত্ব রোগের নির্মম পরিণতি মিথ হইয়া রহিয়াছে ইকারুসের ডানায়! তাহা নতুন করিয়া বলিবার কিছু নাই। ভাবা যায়- জগতে একমাত্র ঈশ্বরের ‘আমি’ ছাড়া সকল ব্যক্তির ‘আমি’ই পরাধীন। ফলে সকল ব্যক্তি স্বাধীন ঈশ্বরের ‘আমি’র অধীন। মানে সকলেই আছেন ভাষার আমরায়। তথাকথিত ব্যক্তি ‘আমি’র সফলতা এইখানে যদি তাহা সামাজিক ‘আমি’তে পৌঁছাইতে পারে।
পরম সত্তা যেথা সামাজিক মালিকানায় পৌঁছায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।