প্রিয় বন্ধুরা, দুনীতি বর্তমানে একটি মুখরোচক শব্দ। সবাই এই শব্দ দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চায়। বিশ্বব্যাংক ও এর সহযোগিরা উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর বিভিন্ন নীতি বা সিদ্ধান্ত চাপানোর কৌশল হচ্ছে দুনীতির অপবাদ। এই শব্দের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে তারা গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার এবং অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
বাংলাদেশ রাজনীতিবিদ, সরকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিওদের দুনীতির দায়ে অভিযুক্ত করে নিয়মিত বক্তব্য পরিবেশন করে আসছে বিশ্বব্যাংক ও টিআইবি।
ফলে বিগত ২ বছরের অগনতান্ত্রিক সরকার কর্তৃক দেশের সংবিধান রুদ্ধ এবং গনতন্ত্রণকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর এ কাজে সক্রিয় সমর্থন ছিল তথাকথিত এ সকল দুনীতি বিরোধী সংস্থাগুলো। এই সংস্থাগুলো। এই সংস্থাগুলো দুনীতি বিরোধী বিরাট বিরাট বক্তব্য বা সমাবেশ করেছে, জনসমর্থন সৃষ্টির লক্ষ্যে। কিন্তু মানুষ তাদের কাছে সমর্থন দেয়নি।
একটি গনতান্ত্রিক দেশে, অগনতান্ত্রিক সরকারকে সমর্থন বা সহযোগিতা দিয়ে দেশের সংবিধান মানুষের অধিকারকে ক্ষুন্ন করা সবচেয়ে বড় দুনীতি।
কোন কারণ ছাড়াই দুনীতির অভিযোেগ বছরের পর বছর বিভিন্ন ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করা হয়েছে। যা কোনভাবেই মানবাধিকার বা সংবিধান সম্মত নয়। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি মানুষ আইনী প্রক্রিয়ায় অভিযোগ হতে মুক্তি পাচ্ছেন। তার মানে কি দাড়ায়?
যাই হোক আজ আপনাদের কাছে আমার জানার ইচ্ছে।
টিআইবি ও বিশ্বব্যাংক ম্যাল্টিন্যাশনার কোম্পানি বা প্রাইভেট সেক্টরের দুনীতি নিয়ে কথা বলে না কেন? যেমন বিটিটিবি-র দুনীতি নিয়ে তাদের প্রতিবেদন আছে, কিন্তু গ্রামীন, একটেল ও সিটিসেলের ভিআইপির মাধ্যমে দুনীতি ও অর্থপাচার নিয়ে তাদের বক্তব্য নেই। তবে কি তারা এ সকল প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে সরকারী সংস্থা ও দেশীয় প্রতিস্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায়?
অগণতান্ত্রিক একটি সরকারকে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রদান, তাদের কার্যক্রমে সক্রিয় সহযোগিতা কি দুনীতি নয়? সংবিধান এ দেশের সর্বোচ্চ নীতি। পবিত্র সংবিধানের লঙ্গনের অপরাধী ও সহযোগি কি দুনীতি বাজ নয়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।