আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোটগল্প : হাসানদের স্বপ্নটার অনুভূতিপ্রবণ একটি হৃদয় ছিল

বন্ধ জানালা, খোলা কপাট !
এক হাসানদের একমাত্র শেষ স্বপ্নটা তাদের হাতছাড়া হতে যাচ্ছে এ খবর আমাদের ছোট্ট মফস্বল শহরের বাতাসে ভেসে বেড়াতে থাকে । ভেসে ভেসে সে খবর আমাদের কানে এসে পৌঁছায়, আমাদের ভ্রু এবং কপালের মাঝখানের অংশটা খানিক কুঞ্চিত হয়, আমাদের কয়েকজোড়া চোখ বন্ধু রমিজের ওপর নিবদ্ধ হয়, তাকে আশ্চর্যরকম নির্লিপ্ত থাকতে দেখা যায়, তার এই অস্বাভাবিক নির্লিপ্ততা রহস্যের আবরণ ছড়ায়, রহস্যাবরণের একেকটা স্তর সরিয়ে রহস্যের মুখ খুলে দিয়ে তার নানাদিক নিয়ে আমরা যখন আলোচনায় মেতে উঠতে মনস্থির করি, হাসানদের একমাত্র স্বপ্নটার সঙ্গে রমিজের সম্পর্ক কি, কেমন তা ব্যবচ্ছেদ করণের প্রারম্ভে আমাদের আঙ্গুলের ফাঁকে গুঁজে থাকা পাঁচতারা সিগারেটগুলোতে আমরা যখন আগুন দেই, শ্রমজীবী মানুষের যূথবদ্ধতায় গড়ে ওঠা নগরীর এক কোণের বিনোদন ক্লাবটির ২৪ ইঞ্চি রঙ্গিন বিস্ময় থেকে তখন একটি ঘোষণা শুনতে পাওয়া যায়, ঘোষণাটি স্বপ্ন বিষয়ক, ঘোষণাটি দেন একজন নেতা, তিনি তার পিতার স্বপ্নের কথা আমাদের শুনিয়ে যান, আমরা মন্ত্রমুগ্ধ হতে হতে থমকে যায়, দর্শক সারি থেকে একজন শ্রমিক ২৪ ইঞ্চি রঙ্গিন বিস্ময়ের ভেতর স্বপ্ন বিকানো নেতার উদ্দেশে তার ভাষা বিজ্ঞান থেকে অশ্রাব্য শব্দ সমষ্টি তুলে এনে ওগুলোর বায়বীয় প্রয়োগ ঘটান, তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদর করেন অন্য একজন, যথারীতি তর্ক লেগে যায়, বাক-বিতন্ডা হাতাহাতিতে রূপ পায়, মনুষ্য শোরগোল কলরব আর ২৪ইঞ্চি রঙ্গিন বিস্ময়ের কন্ঠনালী থেকে নির্গত শব্দের ভেতর আমরা ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকি নীরব, আমাদের সিগারেটের ধোঁয়াগুলো রিং পাকিয়ে পাকিয়ে উড়ে উড়ে যেতে থাকে, তখন সহসা আমাদের মনে পড়ে, হাসানের পিতা আমাদের বাউল চাচারও স্বপ্নের একটা ঝুড়ি ছিল, ছোট-বড় অনেক রঙ্গিন স্বপ্নভর্তি ঝুড়িটা তিনি বুকের বাম পাশে বুক পকেটের কাছাকাছি লুকিয়ে রাখতেন, তবু কালে-ভদ্রে বাউল চাচার বেয়াড়া স্বপ্নরা বেরিয়ে পড়তো, বাউল চাচার হতদরিদ্র শূণ্য ঘরে তারা পায়চারি করতো এবং একসময় সেই ঘরটি তাদের জায়গা নয় বেশ বুঝতে পেরে, সেসব স্বপ্নের দু'চারখানি সেই ভাঙ্গা ঘরের ভাঙ্গা বেড়ার ফাঁক দিয়ে টুপটাপ লাফিয়ে পড়ে আত্মাহুতি দিতো ! দুই হাসান আমাদের বন্ধু । আমরা এক গাঁয়ে থাকতাম, এক বৃষ্টিতে ভিজতাম আর একই কাদামাটি-ধূলো গায়ে মেখে একই নদীতে নায়তে যেতাম । আমাদের শৈশবের সেই নদীটির নাম সুরমা । নেংটো রাজা হয়ে আমরা একই সঙ্গে সুরমার জলে ঝপাৎ ঝাপ দিতাম, ডুব সাতার খেলতাম, নগেন মাঝির পালতোলা নৌকায় মাঝনদীতে ভাসতাম, নদীর জ্যান্ত মাছগুলো নগেনদার জাল আশ্রিত হয়ে নৌকার পাটাতনে এসে কেমন অসহায়ত্বে ছটফট করে মারা পড়তো দেখতাম, এবং অতঃপর নিয়ম করে মায়ের বকুনি খেতাম ।

সেই সময়ে সুরমা নদীর মাঝখানে জলে ভাসা নৌকায় আমাদের চোখের তারায় স্বপ্ন খেলা করতো, নিত্য নতুন স্বপ্ন তৈরী হতো, যখন মাথার উপরের আকাশপথে একখানা উড়োজাহাজ তার পশ্চাতে সাদা ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের মতো ধোঁয়ার আলপনা এঁকে এঁকে উড়ে যেতো, যখন ভেঁপু বাজাতো দূরবর্তী কোন জলজাহাজ, যখন উড়োজাহাজের ছায়া আমাদের ছায়াসঙ্গী হয়ে নিকটবর্তী জলের 'পরে সাতার কেটে চলতো, তখন হাসানের ঘাঁড় কিঞ্চিত পেছনে বেঁকে যেতো, তখন হাসান চেয়ে চেয়ে দেখতো উড়োজাহজ, যতক্ষণ না দৃষ্টিগ্রাহ্য সীমানার বাইরে নীলাম্বরের ভাঁজে সেটি লুকিয়ে পড়তো, যতক্ষণ না একটু বেশী রকম শব্দ করে আমি ডাকতাম,- 'ওই হাসু ফিইরা চা !' হাসান ফিরে চায়তো । আমরা মুখোমুখি হতাম, আমাদের চোখাচোখি হতো, স্বভাবজাত হাসি হাসতো হাসান, আকর্ণ বিস্তৃত হাসি, হাসান তো তো করতো, বলতো- 'একটা কথা কই !' 'ক !' 'ওই যে উড়াজাহাজটা গেল..!' 'উঁ?' 'বড় হইয়া আমি ওইটার মাঝি হমু !' 'খিক !' করে হেসে ফেলতাম আমি । হাসানের চোখ সরু হয়ে আসতো, হাসান চেয়ে থাকতো, গম্ভীর থাকতো, হাসান কর্তৃক উড়োজাহাজের মাঝি হবার কাঙ্ক্ষা ছাপিয়ে, সেই মুহূর্তে সেই সুরমার বুকে ভেসে হাসানের ব্যপ্ত স্বপ্নের পরিধি আর তার দূরত্বের খানিক আঁচ করতে পারার কৃতিত্বে আমি দন্ত বিকশিত করতাম ! যথারীতি গাম্ভির্য ধরে রাখতো হাসান, বলতো,- 'তুই কি হইবিরে ?' 'আমি ?' 'উম !' 'আমি সেরাং হমু; এম ভি উর্মিলার সেরাং (সারেং শব্দটা তখন পর্যন্ত আমাদের আয়ত্বে আসে নাই ) ! কি বুঝে কে জানে, হাসান উদাস হয়ে পড়তো । তখন একটা উদাস গাঙ্গচিল ছোঁ মেরে সুরমার জলরাশি ছেঁকে একটা সাদা মাছ তুলে আনতো অবহেলায়; পরক্ষণেই মাছটি গলাধঃকরণ করবে কি করবে না,- এই দ্বন্দ্বে গাঙ্গচিলটিকে দ্বিধান্বিত দেখা যেতো, পরক্ষণেই গাঙ্গচিলের গ্রাস থেকে মুক্তি পেয়ে মাছটি তার জলের আবাসে ফিরে যেতে পারার আনন্দে জলের 'পরে লাফাতো দুইবার, তখন আরো এক ঝাঁক গাঙ্গচিল নিজেদের ভাষায় কথা বলতে বলতে আমাদের মাথার উপর চক্কর লাগাতো বারবার ; তখন নগেনদার নৌকা আথালিপাথালি ঢেউ কেটে কেটে আমাদের নিয়ে ঘাঁটের পথে ফিরতো, তখন ক্ষণিক আগের আমাদের তরতাজা স্বপ্নগুলোকে যতদ্রুত সম্ভব আমরা সুরমার জলে বিসর্জন দিয়ে আসতাম, আমাদের সক্ষমতার সীমানার স্মরণে ! এক দুপুরে আমরা দুঃসাহসী হয়ে উঠেছিলাম । সেই দুপুরে আকাশে রোদ ছিল, সেই দুপুরে মৃদু বাতাস ছিল, নদীতে ঢেউ ছিল, নগেনদার নৌকা ঘাঁটে বাঁধা ছিল, আমরা তার বাঁধন খুলেছিলাম, আমরা মাঝ নদীতে নাও ছুটিয়েছিলাম, আমরা বৈঠা ধরেছিলাম, বৈঠা ছেড়ে দু'জন চার হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়েছিলাম, ঠিক তখন প্রচন্ড এক ঢেউ আমাদের নৌকায় আছড়ে পড়েছিল, ঠিক তখন সোঁ সোঁ শব্দে বাতাস ধেয়ে এসেছিল, সাঁ করে আমাদের নৌকা ঘুরে গিয়েছিল, প্রকান্ড এক মেঘ অকস্মাৎ আমাদের সব রোদ চুরি করে নিয়েছিল, কালো পহাড় নামের দৈত্যের মতো অন্ধকার আমাদের ছেঁকে ধরেছিল, ঝমঝম ঝমাঝম বৃষ্টি নেমেছিল, ঢেউ এর পর ঢেউ আঘাত হেনেছিল, তখন যখন ছিটকে গিয়ে আমাদের নৌকা উপুড় হয়ে পড়েছিল, নৌকা যখন জলের ভেতর আমাদের চেপে ধরেছিল, যখন গভীর জলে আরো গাঢ় হয়ে নৌকা আমাদের ঘাঁড়ে চেপে বসতে যাচ্ছিল, তখন দম বন্ধ হবার আগে আগে কোনক্রমে আমরা জলের ওপর নাক ভাসিয়ে দিতে পেরেছিলাম, ডুব সাতারের দক্ষতায় আমরা ভেসে উঠেছিলাম; তখন আমার হাতে ধরা ছিল হাসানের হাত , তখন বিশালাকায় উত্তাল ঢেউ এর উন্মত্ত পেটের ভেতর হাবুডুবু খেতে খেতে আমাদের যাবতীয় স্বপ্ন এবং বাস্তবতাকে বিদায় জানাবার মানসিক প্রস্তুতির শেষ বিন্দু থেকে আমরা একটি আলো দেখতে পেয়েছিলাম, আলোটি আশার আলো , আলোটির নাম এম ভি উর্মিলা, এম ভি উর্মিলার ডেক থেকে কিছু শব্দ বাউল চাচার চিৎকারের মতো আমদের কানে ছুটে এসেছিল,- 'ওইতো; বাজানরা ওইখানে; ওইতো !' এরপর কিছুক্ষণ স্মৃতিহীন ! সেদিন বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা নেমেছিল, চোখ মেলে যখন আবিস্কার করেছিলাম, চারপাশে উৎসুক মানুষের ভীড়, যখন রূপোর থালার মত এক চাঁদ জেগে ওঠেছিল আকাশে, হাসানদের জোছনাভর্তি উঠোনে একতারা হাতে বাউল চাচার কন্ঠে তখন বাজছিল আক্ষেপের সূর,- বাড়ির পাশে আরশি নগর, হেথায় এক পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে... আরশি নগরের রহস্যপূর্ণ পড়শিকে দেখার সুপ্ত স্বপ্ন বাউল চাচা লালন করতেন কিনা ঠিক সেই অর্থে জানা যায় না, করতেন হয়তো, নাইলে এমন আক্ষেপ কেন, একতারা হাতে উদাস বাউল হওয়া ই বা কেন, তবে সে বছর বাউল চাচার আরো উল্লেখযোগ্য স্বপ্নের কথা আমরা জানতে পাই, যখন বছর শেষে আন্তঃজেলা স্কুল দৌঁড় প্রতিযোগিতায় জেলার একুশটি স্কুল থেকে হাসান সেরা দৌঁড়বিদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আমাদের গৌরবান্বিত করে, যখন মন্ত্রী মহোদয়ের দেয়া চকচকে সোনার মেডেল হাসানের অধিকারে আসে এবং তার গলায় শোভা পায়, তখন মঞ্চে উঠে আনন্দে চোখ মুছতে মুছতে বাউল চাচা ঠিক সেই মুহূর্তে তৈরী হওয়া তার স্বপ্নটির ঘোষণা দেন,-- 'আমাদের হাসান একদিন দেশ সেরা দৌঁড়বিদ হবে !' হাসান এখন অন্ধ ! চলন্ত রেলগাড়িতে চকলেট ফেরী করতো হাসান ।

রেলগাড়ির ছাদ থেকে একদিন পড়ে গিয়েছিল... ! আর আমরা ? নগর জীবনে কামলা দেই, বিনোদন ক্লাবের ২৪ ইঞ্চি রঙ্গিন বিস্ময়ে ততোধিক বিস্ময় নিয়ে হানিফ সংকেতের ইত্যাদি দেখি, 'রমিজের আয়না' নামক নাটক দেখে আমাদের গোবেচারা বন্ধু রমিজের সঙ্গে স্থুল রসিকতা করি, আমাদের উপার্জিত অর্থের খানিকটা পাঁচতারা সিগারেটের আগুনে পুড়ে ফেলি এবং নিজ নিজ সমর্থিত দলের পক্ষে আমাদের সহকর্মীদের এরকম হাতাহাতি, লাঠালাঠি, আর দলাদলির জীবন্ত সাক্ষী হয়ে, আমাদের নিজ নিজ হাতের সাড়ে তিন হাত দেহের ক্লান্তি আর বিষন্ন বিমর্ষ মন বয়ে বেড়ায় ! আর এরকম কোন কোন দিনে আমরা দু'একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলি, যেমন- একটি বিষয়ে আমরা একমত হই যে, হাসানদের একমাত্র স্বপ্নটা তাদের হাতছাড়া হবার আগেই একবার তাকে আমাদের দেখতে যাওয়া উচিত ! তিন আমরা যখন হাসানদের বাড়িতে পৌঁছলাম, ওদের ছোট্ট উঠোনের উত্তর -পূর্ব কোণের ঝিঙে ফুলগুলো তখন হাওয়ার মিতালিতে মেতেছিল, আর প‌্যাকেটজাত দ্রব্যের মতো হাসানদের স্বপ্নটাকে সুশোভন মোড়কে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল ! হাসানাদের স্বপ্নটা কথা বলতে পারতো, ওর স্বচ্ছ চোখ দুটি উজ্জ্বল দ্যোতি ছড়াতো, নিটোল নাকের খানিক নিচে সরু ঠোঁট হিসেব কষে হাসির কাজে ব্যবহৃত হতো, এমনকি আকর্ষণীয় মানবীর মত একটি শারীরিক গঠন ছিল তার ! স্বপ্নটি আমাদের দিকে তাকিয়েছিল, তার টলটলে চোখ আমাদের মুখগুলোতে ঘুরে রমিজের কাছে গিয়ে থেমেছিল, হাসানদের সুশোভন স্বপ্ন এবং গোবেচারা রমিজের চারটি চোখ এক হয়ে যেতে আমরা দেখেছিলাম, পরস্পরের ভেতর তারা মুহূর্ত স্থির থেকেছিল, খানিক পরে আমরা স্পষ্টতই দেখেছিলাম, ওদের চারটি চোখ থেকে অশ্রুর মতো কিছু বেদনা বের হয়ে এসেছিল, আমরা না দেখার মত করে উদাসী ভাবের প্রয়াস নিয়েছিলাম ! আমাদের মনে পড়েছিল, যখন মৃত্যুশয্যায় বাউল চাচা তার একমাত্র যক্ষের ধন একতারাটা হাসানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, একতারার টুংটাং শব্দ-ই যখন হয়ে উঠেছিল অন্ধ হাসানের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন, সেই সময়ে, একদিন ফুটপাথে অজ্ঞান অবস্থায় ত্রিসংসারে আপনজনহীন অসুস্থ রমিজকে যখন হাসান আবিস্কার করেছিল, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যখন হাসানদের ঘরে রমিজের আশ্রয় হয়েছিল, তখন হাসানদের কোমলমতি স্বপ্নটার সেবাব্রতে সুস্থ হয়ে ওঠেছিল রমিজ, তখন হাসানদের স্বপ্নটার খুব কাছে রমিজ চলে গিয়েছিল । ডাক্তার হবার স্বপ্ন পূরণের মধ্য দিয়ে হাসানদের স্বপ্নটার পূর্ণতা পাবার কথা ছিল ! অথচ, আমরা দেখলাম, আমাদের চোখের একদম সামনে দিয়ে রঙ্গিন কাগজ আর রঙ্গিন রঙ্গিন জরীতে আবৃত পালকিতে হাসানদের একমাত্র স্বপ্নটাকে চৌধূরীদের ছোট ছেলে ছিনিয়ে নিয়ে গেল ! সুন্দরের সমঝদার বিত্তশালী চৌধূরীরা অর্থের বিনিময়ে সুন্দর কিনে নিয়ে গেল একরকম, প্রয়োজনে চৌধূরীরাই হাসানকে আর্থিক সাহায্য দিতো ! চার আমরা হাসানদের বাড়ি থেকে ফিরে এসেছিলাম । নিত্যদিনকার নাগরিক জঞ্জালে যখন আমাদের জীবিকা আমাদের টেনে এনেছিল, তার দু'রাত পরের ভোর বেলাতে আমরা মেস মেম্বাররা একে অন্যের গলা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম, সেই ভোর বেলাতে, সূর্য উঠার আগে আগে মেস বাড়ির খুব কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া রেল লাইনে ট্রেনে কাটা ত্রিখন্ডিত একটি লাশ আবিস্কৃত হয়েছিল, লাশটি আমাদের গোবেচারা বন্ধু রমিজের ! চৌধূরীদের দৃষ্টিনন্দন সিলিং ফ্যানে শাড়ি প‌্যাঁচিয়ে হাসানদের উজ্জ্বল স্বপ্নটার অপমৃত্যুর খবর আমরা তার আগের রাতেই পেয়েছিলাম !
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.