আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোটগল্প: মৃত মুদ্রার কক্ষপথ



কামুক ষাঁড়ের থরোথরো পাছার মতো জেঁকে বসা মেঘের নিচে মাটির দোতলা বাড়ির কাঁধে একটা প্রায় ন্যাড়া গাছ মাথা এলিয়ে আছে; দৃশ্যটা হায়াতের চোখে ঠিকঠাক গড়ে ওঠার আগেই ঝাপসা হয়ে ওঠে। হায়াত দেখে, অন্ডকোষ ফোলানো ষাঁড়ের চাপে ম্রিয়মান বাড়ি আর তার বগলের তলায় গোলাঘরের ছাদ একটুকরো সুর্য বাগিয়ে হাসছে খুব। গোলাবাড়ি স্টেশনের মাস্টার, পানের দোকানদার, লাল মাটির ঢাল বেয়ে নেমে যাওয়া চোখে ছানিপড়া বুড়ো, বিগত যৌবনা এক মহিলা, ছাগলের দড়ি টানা কিশোর; এদের সবার টুকরো টাকরা ইশারা-গলাখাকারি-আংগুলতোলা-খানিক এগিয়ে দেওয়া সব কিছু জোড়া লাগিয়ে ঘন্টা খানেকেরও বেশি হেটে ষাঁড়ের পাছার নিকটবর্তি হয়ে হায়াত খানিকটা দ্বিধায় পড়ে যায়। হায়াত দেখে চারিদিকে কিলবিলে ধানের ক্ষেত, খুব জ্যান্ত, এমনকি ওর পায়ের তলায় মোচড় খাওয়া আলও খুব সবুজ। "কুন্ঠে য্যাবেন জি ভাই?" কিলবিলে ধানের ঢেউ ঠেলে উজিয়ে ওঠা একটা লোক হায়াতকে হঠাৎ চমকে দেয়।

থতোমতো হায়াতের ধাতস্ত হওয়ার ফাঁকে লোকটার বাঁ হাত পাতলা লুংগির তলায় কুলুপের কারুকার্যে বুঁদ হয়, আর অনেক আগের ভাংগা ডান হাত ঠিকঠাক জোড়া না লেগে কেমন হ্যাংলার মতো বেঁকিয়ে তেড়েফুড়ে তাকিয়ে থাকে হায়াতের দিকে। "কুন্ঠে য্যাবেন জি ভাই? কারঘে বাড়ি য্যাবেন?" প্রথম প্রশ্নের সাথে আরেকটা লেজ জুড়ে দিয়ে লোকটা হায়াতের থতমতকে দির্ঘায়িত করে তুললে, ও হঠাৎ করে ভুলে বসে কাকে খুঁজছে। খুব জ্যান্ত ধান ক্ষেত, আরো বেশি জ্যান্ত তেড়েফুড়ে বেরিয়ে আসা ভাংগা হাতের লোকটা মরাটে দুপুরকে স্থবিরতায় ঝুলিয়ে হায়াতকে বিপন্ন করে তোলে। খুব কাছে একটা ফিংগে কর্কশ চেঁচিয়ে উঠলে হায়াতের মনে পড়ে যায়, গতো দুদিন ধরে ভোলাহাট-রহনপুরের পেট খুঁড়ে গোলাবাড়ির উরুর তরাই বেয়ে রতনপুরের সিথানে এসে পৌঁচেছে কাদের নামের কারো বাড়ির হদিস পেতে। ফিংগের কর্কশ চ্যাঁচামেচির সাথে হায়াত অস্ফুটে কাদেরের নামটা গড়িয়ে দেয় ভাংগা হাতের লোকটার দিকে।

"কুন কাদেরের কথা কহিছেন জি, ভাই? হাঁরঘে এঠে ম্যালাটি কাদের আছে। " হায়াত ক'টা কাদেরকে চেনে? ভাংগা গাল, ট্যাপসানো চোয়াল, বাসি পানিফলের মতো কালচে কন্ঠা আর বড়ো বড়ো ঘোলা চোখের কাদেরের পুরো অবয়োব তৈরী হতে না হতেই গুড়িয়ে যায়। ঢাকা শহরের বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে কাদের ঢুকে পড়ে অথবা মানুষগুলোই কাদেরের মধ্যে জেঁকে বসলে হায়াতের মধ্যে পৃথক কোন কাদের তৈরী হওয়ার সুযোগ পায় না। বাপের নাম? নাহ জানা নাই। কাদেরের নামটা জানাই যথেস্ট ছিল, তার সাথে সাদাকালো পাসপোর্ট সাইজের পুরানো এক কপি ছবি, মৃত হলুদের হোঁচট নাক আর ঠোঁটের উপত্যকায়, কপালে কবে কার এক ফোঁটা নাছোড় বান্দা পানির থেঁতলে যাওয়া; শুধু বাসি কালচে পানিফলের মতো কন্ঠাটা দপদপে ছিল।

এটুকুই হায়াতদের জন্য যথেস্ট ছিল। হায়াত একটা সিগারেট ঠোঁটে ঝুলিয়ে আরেকটা সাঁধে ভাংগা হাতের লোকটাকে। নিকোটিনের ঝাপটায় ফুসফুসের দেয়াল কুঁকড়ে গেলে হায়াত দেখে, লোকটার নাকের ফুটোয় লকলকে বেনসনের ঘ্রান ঘনিভুত হচ্ছে। সিগারেট টা বার কয়েক শুঁকে ভাংগা হাতের লোকটা উদ্দিপ্ত হয়ে ওঠে এবং সিগারেটটা তার চিমসানো কান আর মাথার নিরাপদ সংযোগে পুঁতে দিয়ে এলাকার সব কাদেরের ব্যাবচ্ছেদে ব্রতি হয়। "উইযে, ঐঠে মাটির দুতালা দালানটা দেখতে প্যাছেন? সাজ্জাদ খইলপার ব্যাটা কাদেরঘে বাড়ি।

ছোঁড়া ৩/৪বছর আগে গাঁ ছ্যাড়ে ঢাকা চল্যা গেছিল। অর বাপ মন্ডলঘের আইধর ছিল। আগে তো দু'বেলা ভাত জুটাইতে প্যারতো না, কাদের গাঁ ছাড়ার পর শালা দালান তুল্যাছে। " জ্যান্ত আল ওদের প্রবাহিত করে লাল মাটির রাস্তায়, যেটা গরুর গাড়ির চাকার সমান্তরাল ক্ষত নিয়ে কাদেরদের বাড়ির দিকে যেতে উন্মুখ হয়ে আছে। কাদের যখন একটু একটু করে হায়াতদের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছিল, ওদের কুঁড়ে ঘরটা একটু একটু করে মেদ জমে দোতলা দালান হয়ে উঠছিল, ওর আধিয়ার বাপের অনুৎপাদনশীল হাতের কড়া দাগ ফিকে হয়ে আসছিল বা নিদেন পক্ষে ওদের একঘেঁয়ে হাড়িতে হপ্তায় এক আধ দিন আমিষের ডুব সাঁতার দেখা যেত।

ভাংগা হাতের লোকটা কাদেরদের অবস্থার পরিবর্তনের বর্ননা দিতে যেয়ে কাদেরের জন্ম, রতনপুরের লালমাটিতে নাকে শিকনি ঝুলিয়ে গড়াগড়ি দেওয়া, পাছার কাছে ছেঁড়া হাফপ্যান্ট পরে মন্ডলদের মহিষ চরানো, রবু'র দোকানের খদ্দেরদের লালাসিক্ত আদ্ধেক বনরুটির জন্য অপেক্ষা, এসবের ছবিগুলো একের পর এক হায়াতের চোখের দিকে ছুঁড়ে দিতে থাকে। ছবিগুলো জোড়াতালি দিয়ে কাদের ভেংগে চুরে হায়াতের সামনে দাঁড়াতে চাইলে ভাংগা হাতের লোকটা বাগড়া বাধায়। এবার কাদেরকে বরিন্দের রগরগে সুর্য্যে পুড়িয়ে, ষাটোর্ধ বুড়ির ফিনফিনে সিঁথির মতো খাড়িতে দাপাদাপি করিয়ে,পুকুর ধারে বেওয়ারিশ খেজুর গাছের মতো বড়ো করে, ভাংগা হতের লোকটা এবার কাদেরকে ছুঁড়ে দেয় মতিয়ার চেয়ারম্যানের দহলিজে; যেখানে কাদেরের চোখ ফোটে এবং সেই ফোটা চোখ ওকে ঢাকার রাস্তাও দেখিয়ে দেয়! "শালা কাইদরা যে দু'নাম্বারি কর‌্যা টাক পয়সা কাম্যাছে, সেটা হামরা বুইঝতে পারছিনু। " হায়াত ভাংগা হতের লোকটার বর্ননার ফাঁকফোকর দিয়ে কাদেরের ঢাকা যাওয়া এবং ম্যালা টাকা পয়সা কামানোর বিষয়ে চিড়বিড়ে ঈর্ষার প্রবাহন দেখতে পায়, ফলে রাস্তার লাল ক্ষতে দ্রুত পা চালিয়েও ও দেখে মাটির দোতলা ক্রমশ দুরে সরে যাচ্ছে। ভাংগা হাতের লোকটা হায়াতের সাথে কাদেরের সম্পর্কের সুত্রটা ধরতে এটাসেটা প্রশ্ন করে, হায়াত এদিক-সেদিক করে কিছু একটা বলে, আর দেখে মরাটে দুপুর কেমন বিকেলের গোড়ায় মুখ থুবড়ে পড়তে যাচ্ছে, রাস্তার দুধারের যতদুরে চোখ যায়, বিকেল শুরুর আলোয় মাখামাখি হয়ে আছে।

হায়াত কখনো কি এমনটা দেখেছিল? হায়াত ভাংগা হাতের লোকটার কাছে একটা প্রাচিন মুদ্রার কথা জানতে চায়। যেটার বুকে ছোট্ট একটা ফুটো দিয়ে প্রবাহিত কালো সুতা, এমন কিছু কাদেরের গলা পেঁচিয়ে রাখতো কিনা। এই কথায় লোকটা হাসে, এবড়ো-থেবড়ো দাঁতের ফাঁক দিয়ে হাসিটা গালে কাঁপন তুলে ধানক্ষেতে ছড়িয়ে পড়লে, তরুন ধান গাছও এতে সাড়া দিয়ে দুলে ওঠে। "আর কোহেন না জি ভাই! শালা কাইদরা, কুন্ঠে থ্যাকে যে একখান অচল পাইসা পায়েছিল, সারা দিনম্যান পাইসা খান তাবিজের মতো কর‌্যা গলায় পিন্ধে থ্যাকত, সেই ছুটু ব্যালা থ্যাকা। কাহুকে হাত দিতে দিত নাখো!" এরপর ভাংগা হাতের লোকটা থুঃ করে একদলা থুতু ফেলে কাদেরদের মাটির দোতলা দালানটাকে আরো দুরবর্তি করে দেয়।

কাদের এবং তার অচল পয়সার আদিখ্যেতা কফ মিশ্রিত থুতুর সাথে জোট পাকিয়ে লোকটার ফাটা ঠোঁটের নিচে ঝুলতে থাকে। ভাংগা ডান হাতটা কসরত করে পুরো থুতু মুছতে না পেরে মিইয়ে যায় হঠাৎ। "আইচ্ছা জি ভাই, আপনি কাইদরার পায়সার বিষয়টা কিভাবে জাইনলেন?" হায়াত এবার থেমে যায়, সিগারেটের জন্য পকেট হাতড়ানোর ফাঁকে খেয়াল করে হাতটা কাঁপছে। একটা অচল পয়সা সুতোয় বেধে কাদেরের কালচে বাসি পানিফলের মতো কন্ঠার নিচে কতো বছর ঝুলে ছিল এটা হায়াতের জানার কথা ছিল না। এমনকি মিরপুরের বস্তিতে জলিলের খুপড়িতে পিছমোড়া করে বাঁধা কাদের যখন আধবোঁজা চোখে গোংগাচ্ছিল, তখনো হায়াত জানতো না।

জলিলের খুপড়িতে কষা গু, গাঁজা আর আঁধারের ভ্যাপসা গন্ধের মাঝে চিৎ সাতার কাটা কাদেরের গলায় কেউ ঝুলে থাকা বাতিল পয়সাটাকে দেখেনি। "যে মাইর মারছোস, খালের ধারে ফালায়ে দে। এমনিই মইরা যাইবো" হায়াত বলেছিল। "হ, র‌্যাবের চোদনটা তুমি খাইও!" খেঁকিয়ে উঠেছিল সবুর। এতোদিন পরেও সবুরের স্বদন্তের ঝিকিয়ে ওঠা দেখতে পায় হায়াত।

কাদেরকে চিৎ করে শোয়ানো হয়েছিল ছেঁড়া পাটির উপর। "খানকির পুত, একটু পাও ধইরা কান্দাকাটি করো, ভ্যাবদা মাইরা পইড়া রইছো ক্যান?" কাদেরের বুকে ধাঁ করে লাথি চালিয়ে চেঁচিয়ে উঠেছিল জলিল। চিৎ সাতার কাটা কাদের একটু দুলে উঠেছিল শুধু, জলিলের খুপড়ির চেরা-ফাটা দিয়ে কয়েক টুকরো আলো ভ্যাপসা আঁধারের সাথে পেরে না উঠে কাদেরে জমাট বাধা রক্তের সাথে মিশে জ্বলে উঠতে চাইছিল। সবুর কাদেরের শুকনো গলায় কালচে বাসি পানিফলের মতো কন্ঠা থুতু দিয়ে ডলে নরম করছিল, আর বলছিল, " বাইনচুতের গলা ক্যামুন চিমসায়া গেছে। " বলে ফের ডলতে শুরু করে এবং কালো সুতোয় বাঁধা অচল পয়সাটা আবিস্কার করে, " ও কাদের, এই বালটা কি ঝুলাইসো গলার মইধ্যে?" সবুর হ্যাচকা টানে ছিঁড়ে ফেলে সুতাটা, ছুড়ে দেয় খুপড়ির কোনে; কষা গু, গাঁজা আর ভ্যাপসা আঁধারের গন্ধের সাথে ভাসছিল সুতো বাধা পয়সাটা তারপর খুপড়ির চেরা-ফাটা দিয়ে কোথায় উড়ে গেল হায়াত মনে করতে পারে না।

দুদিন ধরে একটাও কথা না বলা কাদেরের গলা দিয়ে কিছু একটা বেরুতে চাইছিল তা দেখে জলিল আর সবুরের চোখ চকচক করে উঠেছিল। কাদেরে ফাটা ঠোঁটের কাছে কান নিয়ে গিয়েছিল অস্পস্ট গোঁঙ্গানির পাঠোদ্ধারে। "হালায় দেখি পয়সা চাইতেসে!" "পয়সা বাইনচুতের হোগার মইধ্যে দিয়া দে!" কাদেরের কালচে বাসি পানিফলের মতো কন্ঠা উজিয়ে ঘড়ঘড়ানি এবার প্রলাপে অনুদিত হলে হায়াতদের সিগারেটের তেস্টা পেয়েছিল। "আমার পয়সা! আমার পয়সা কই? আহারে আমার পয়সা!আহারে আমার পয়সা......." আক্ষেপের সাথে আরো কিছু অর্থহীন শব্দ/বাক্য হারানো পয়সার তালাশে খুপড়ির আনাচে কানাচে, হায়াতদের পকেটে গোত্তা খায় এমনকি কষা গু, গাঁজা আর ভ্যাপসা আঁধারের সাথে ভেসে বেড়ার চেরা-ফাটা দিয়ে বেরিয়েও যায়। "হালায় মাইনষে মউতের সুময় আল্লা-বিল্লা করে, আইজরাইলের বিচি ধইরা কান্না কাটি করে, হাইগা মুইতা দেয়! আর এই বাইনচুতে কি এক পয়সা পয়সা কইরা ফাল পাড়তাছে!" হায়াত দেখেছিল কাদেরের আধবোঁজা চোখে কালো সুতো বাধা অচল পয়সার পিতাভ ঘূর্নন ছিটকে খুপড়ির ভেতর সবুর, জলিল, হায়াত সবার চোখে সংক্রামিত হচ্ছে, ওদের চোখ খুবলে অচল পয়সাটা কাদেরের কালচে বাসি পানিফলের মতো কন্ঠার নিচে চিরায়ত জায়গাটায় ঝুলে থাকার জন্য কাদেরকে ঘিরে চক্কর কাটছিল! পকেটে হাত দিয়ে হায়াত দেখেছিল, দু'টাকা, পাঁচটাকার কয়েনগুলো কেমন ম্যাড়মেড়ে নোটের দলা হয়ে গেছে! সবুর যখন কাদেরের বাসি পানিফলের মতো কালচে কন্ঠার নিচে অভিজ্ঞ ড্যাগারটা রাখছিল, তখনো ,"আমার পয়সা! আমার পয়সা কই? আহারে আমার পয়সা!আহারে আমার পয়সা......." শব্দগুলো বাকি সবকিছুকে ছাপিয়ে ওদের কানের সুড়ং এ হানাদেরর মতো সেঁধিয়ে যাচ্ছিল! কাদেরের বাসি পানিফলের মতো কন্ঠাটা যখন সবুরের ড্যাগারের পোচে কালচে থেকে সাদা তারপর লাল হয়ে উঠছিল, ঠিক সে সময় হায়াত মাথা নিচু করলে দেখতে পায়, কালো সুতোয় বাঁধা পয়সাটা ওর পায়ের কাছে পড়ে আছে! "ও জি ভাই! আগুনটা ধরান না জি!" রতনপুরের লাল রাস্তার ক্ষতে দাঁড়িয়ে, কাঁপা হাতে সিগারেট ধরানোর ফাঁকে হায়াত শুনতে পায়; ,"আমার পয়সা! আমার পয়সা কই? আহারে আমার পয়সা!আহারে আমার পয়সা......." পরিচিত পরিবেশ পেয়ে শব্দগুলোর প্রচন্ডতা বেড়ে গেলে হায়াতের কানে চাপ বাড়ে।

হায়াত দেখে লাল মাটির রাস্তার ক্ষত ওকে কাদেরের বাড়ির কাছে নিয়ে এসে স্থানুর হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে, ঐ সমান্তরাল ক্ষতের আর কোথাও যাওয়ার তাড়া নেই। "হাঁ জি ভাই, কাদেরঘে বাড়িতে তো কেহু থাকে না। কার কাছে য্যাবেন তাহ্যালে? ওর বাপ মা তো দিয়াড়ে চল্যা গেছে ম্যালাদিন আগে। কাইদরার এক চাচতো ভাই এঠে থাকে এ্যাখুন। " হায়াত অস্পস্ট হাসার চেস্টা করে।

ভাংগা হাতের লোকটা আরেকটা বেনসন চিমসানো কান আর মাথার নিরাপদ সংযোগে গেঁথে নিয়ে, লম্বা একটা সালাম দিয়ে তেড়েফুড়ে বেরিয়ে থাকা ডান হাতটা নেড়ে চলে যায়। হায়াত চারদিকের ছড়ানো ধানক্ষেত শূন্য দেখে, কাদেরের বাড়িটাকে তার হঠাৎ মিরপুর বস্তির জলিলের খুপড়ির প্রতিদ্বন্দি বলে মনে হয়। হায়াত ওর বাম পকেটে পিতাভ ঘূর্ননের উথলে ওঠা টের পায়। "আমার পয়সা! আমার পয়সা কই? আহারে আমার পয়সা!আহারে আমার পয়সা......." কালো সুতোই বাধা অচল পয়সাটা হাতে নিয়ে হায়াত বুঝে উঠতে পারে না ওর কি করা উচিৎ! গল্পটি ছোটকাগজ "আবহ" তে প্রকাশিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.