অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি
খবরটা বাসি। ঘটনা পরশুর, বেরিয়েছে গতকাল। প্রথম আলোর তৃতীয় পাতায় । গতকালই পোস্টটা দিতাম, পারিনি নেট ছিলো না বলে। ছবিটার দিকে তাকিয়ে দেখুন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে শিবির কর্মীদের তান্ডবের এই ছবিটার লাল বৃত্তাকার অংশটায় এবার চোখ দিন। লাঠি হাতে কিশোরটির বয়স কতো? আমার কাছে মোটেও সাবালক মনে হচ্ছে না। পড়াশোনায় থাকলে নিশ্চিত স্কুলে পড়ে, বড়জোর কলেজের প্রথম বর্ষে। এই ছেলেটাকে লাঠি হাতে মাঠে নামানো হয়েছে নোমানী হত্যার বিচারের দাবিতে ভাংচুর করতে। এই দাবি নিয়ে পুলিশের উপর হামলাও করেছিলো শিবির কর্মীরা।
শিবিরের প্রিয় শহীদ দিবস ২৮ অক্টোবরে এমনি অনেক নিরীহ ছেলেকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো অস্ত্র হাতে। পরিনামে রাজনীতি করার মতো অসংখ্য লাশ পেয়েছে তারা। জেহাদী আফিমে বুদ এই ছেলেটাও বেচে থাকলে একদিন ওর হাতে আরো সফেসটিকেটেড আর্মস উঠবে। ছেলেটা মারাও যাবে। সেদিনও হয়তো যেতো যদি পুলিশ গুলি ছুড়তো।
এই দায়টা কে নেবে? ছাত্র শিবিরের সেই নেতা? ছবিতে যে ছেলেটাকে জড়িয়ে আছে (পোজ দিচ্ছে না আড়াল করছে নিশ্চিত নয়, তবে গোটা ছবিতে তার গেটাপই পুরা শিবির শিবির)!
কি ভয়ঙ্কর আগ্রাসন স্বাধীনতা বিরোধীদের এই সংগঠনের!! শিউরে ওঠার মতোই।
ছবি কৃতজ্ঞতা : শওকত হোসেন মাসুম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।