কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
যুক্তির ফ্যালাসি, কুযুক্তি বা নষ্টামিসমূহ-১
৪ : সার্কুলার লজিক (কুযুক্তির দুষ্টচক্র)
সাইফুল যে ভুতের গল্পটা কইছে, আমার মনে হয় সত্য কথাই কইতাছে । কারন ওরে আমি অনেকবার কসম কাইটা কইতে কইছি, তখনো সে একই কথা কইল ।
যে প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তার ধর্ম বা সেটা কি বলে, প্রস্তাবনার যৌক্তিকতার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নাই । কোরানে কোনো ভুল নাই, কারন কোরানে স্বয়ং আল্লাহ-পাক বলেছেন যে এটা কোনো ভুল থাকতে পারে না ।
এখানে যে বইয়ের বৈধতা নিয়ে আলোচনা ।
সে বইয়ে তার নিজের বৈধতা নিয়ে কোনো কিছু থেকে থাকলেও তা তার বৈধতার প্রমানে ব্যাবহার করা যাবে না । কারন বইয়ের ভিতরে কি লেখা আছে সেটা যে সত্য সেটা এখনো প্রমান হয় নাই ।
কিন্তু তার বৈধতা ছাড়া অন্য বিষয়ে সে কি লিখেছে সেটা তৃতীর ব্যাবস্থার মাধ্যমে চেক করা যেতে পারে ।
কোরানের উৎস, তার বৈধতা নিয়ে, কোরান নিজে কি বলেছে সেটার কোনো মূল্য নেই । চোরকে জিজ্ঞেস করা তুই কি চুরি করেছিস, এর মত ।
৫ : বার্ডেন অফ প্রুফ (প্রমানের বোঝা)
এটি বহুল প্রচলিত একটি ধ্রুপদি কুযুক্তি । ঈশ্বরযে নাই সেটা প্রমান করে দেখানোর আগ পর্যন্ত ঈশ্বর আছে সেটা মানতে হবে ।
এটি কুযুক্তি । কারন , প্রশ্নকর্তার প্রশ্নই পুরোপুরি বোধগম্য নয় । তার প্রশ্ন পুরোপুরি বোধগম্য করতে হলে, প্রশ্নের প্রতিটি শব্দের ব্যাখ্যা ঠিকমত দিতে হবে তাকে ।
--ঈশ্বর যে নাই সেটা প্রমান কর
-ঈশ্বর কে/কি?
--এই দুনিয়ার সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ........
-কোথায় থাকেন, কি করেন ?
সেটাই তো প্রমান করা হচ্ছে ।
এইখানেই ফ্যালাসিটি বিবস্ত্র হয়ে পড়ে ।
৬: রেড হেরিং (আজাইরা প্যাচাল)
আলোচ্য বিষয়ের সাথে সম্পর্কবিহীন একটি ইস্যু তুলে, মূল আলোচনাকে অন্যদিকে ডেভিয়েট করে, সে আলোচনার জিতে, আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনায় জেতা হয়েছে বলে ভাব-দেখানো ।
ঈশ্বরের অস্তিত্ত নিয়ে প্রমানভিত্তিক আলোচনায়, কমিউনিজমের ব্যার্থতা, এবং রাশিয়া যে একটি নাস্তিক দেশ হয়েও প্রচুর লোক হত্যা করেছে এইসব বিষয় নিয়ে এসে, বড়সড় লেকচার দেয়া ।
অথবা এছলামের অসহনশীলতা সংক্রান্ত কোরান হাদিসভিত্তিক আলোচনায় ইরাকে বুশ কি করেছে, আফগানিস্তানে বুশ কি করেছে এইসব ইস্যু তুলে, মোছলেমরাই যে বেশী সাফার করছে সেটা গলা চড়িয়ে তুলে ধরা ।
মোছলেমরা সাফার করছে, এটা অস্বীকার না করলেও, তার সাথে কোরান-হাদিস ভিত্তিক এছলামিক অসহনশীলতার কোনো সম্পর্ক নাই ।
অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য কোনটা রেড হেরিং আর কোনটা রেড হেরিং নয়, সেটা নিয়ে একটু গোলমাল লাগতে পারে । যেমন, তুই মিথ্যা বলছিস এটা নিয়ে আলোচনায়, তুই সেদিন চুরি করে ধরা খাইছিস এর ব্যাপারটা পুরোপুরি রেড হেরিং নয় । যদি যে চুরি করে তার মিথ্যা বলার সম্ভাবনা বেশী হয় ।
৭: ফলস ডিলেম্মা (মিথ্যা দ্বন্দ )
প্রস্তাবনার বৈধতার জন্য, এমন দুটি অপশন ঠিক করে দেয়া, যারা একে অপরের বিপরীত নয়, বা তারাই একমাত্র অপশন নয়, তাদের ছাড়া অন্য অপশনও আছে ।
জামাতিরা সাধারনত নির্বাচনী প্রচারনায় এ কুযুক্তিটি ব্যাবহার করে । আপনি যদি এছলামের পক্ষে হন তাইলে আমাদের ভোট দিবেন । আর যদি বেলেল্লাপনা, মাদকাসক্তি, অর্থনৈতিক দুরাবস্থা এইসবের পক্ষে হন তাইলে অন্যদের ভোট দিবেন । জামতিদের ভোট দিলেই এগুলা দূর হবে, বা অন্যদের যে কাউকে ভোট দিলে এগুলা শুরু হবে তার কোনো ভিত্তি নাই ।
অথবা ।
ঈশ্বর আছে অথবা নাই, তার মানে আল্লাহ আছে অথবা নাই । ফিফটি-ফিফটি সম্ভাবনা । এটি একটি ফলস ডিলেম্মা কুযুক্তি, এবং প্যাসকেলের ওয়েজারের ভিত্তি ।
ঈশ্বর থাকলেই যে সেটা আল্লাহই হবে, বা কেবল একজনই হবে সেটার স্বপক্ষে কোনো যুক্তি বা প্রমান নাই । ঈশ্বর থাকলে অনেক রকমের হৈতে পারে , সেইক্ষেত্রে যেহেতু কোনটার স্বপক্ষেই নিশ্চিত প্রমাণ নাই, অতএব সবগুলার সম্ভাবনা সমার ধরতে হবে , ফলশ্রুতিতে একটা নির্দিষ্ট ঈশ্বরের জন্য সম্ভাব্যতার মান খুব ছোট হবে ।
ফিফটি-ফিফটি কোনমতেই নয় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।