পূর্বকথা :
আজি হতে প্রায় পঞ্চম বর্ষ আগের ঘটনা। ছোটভাই সমতুল্য এক সাংবাদিক একখানি হিমুর পাঞ্জাবী বর্ণের ইঞ্জিন চালিত সাইকেল কিনিয়া আনিল। দেখিয়া আমার হৃদয়ের কোথায় জানি কী হইয়া গেল। আমি শুধু চাহিয়া চাহিয়া দেখিলাম। ইচ্ছা হইতেছিলো, ঠিক একই রকোমের একখানা সাইকেল কিনিয়া ফেলি।
কিন্তু তাহা সম্ভব ছিলো না মূলত দুইটি কারনে।
কারন নম্বর ১ :
সেই সময় হইতে ৬ বৎসর পূর্বে আমারও একখানা সাইকেল ছিলো। যাহার পিঠে বসিয়া আমি অন্তত তিনবার আহত হইয়াছিলাম। একবার নিহতের কাছাকাছি আহত। ডানহাতের এবং ডান পায়ের একটি করিয়া আঙ্গুল শাহাদাৎ বরণ করিয়াছিলো।
তাই আমার একমাত্র পুত্রের একমাত্র মাতা আমাকে কসম দিয়াছিলেন, ইঞ্জিন চালিত সাইকেল না চালাইবার জন্য।
কারন নম্বর ২ :
আমার হাতে, পকেটে কিংবা ব্যাংকে একখানা ইঞ্জিন চালিত সাইকেল কিনিবার মতো যথেষ্ঠ পরিমানে টাকা ছিলো না।
আজি হতে দিন দশেক পূর্বে :
ছোটভাই সমতুল্য সেই সাংবাদিককে বলিয়া রাখিয়াছিলাম, কখনো যদি সে তাহার সাইকেলটি বিক্রয় করে তাহা হইলে আমি তাহা ক্রয় করিবো। তো, দিন দশেক পূর্বে আমাকে মোবাইলে জানাইলো, সে দুই চাক্কা বেচিয়া দিয়া একখানি চার চাক্কার এসি গাড়ী কিনিবে। তাহা সে কিনিতেই পারে।
আমাকে বলিলো, আমি যদি তাহার দ্বিচক্রযানটি কিনিতে চাই, তাহা হইলে ২/৩ দিনের মধ্যে টাকা দিতে হইবে। আমার মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িলো। আমি এই মাসের শেষের দিকে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর যাইতেছি। প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এর মধ্যে তাহাকে এতোগুলি টাকা দিয়া ফেলিলে আমার বিদেশ ট্যুরের কী হইবে...???
আসল কথা :
১৪১৫ সালের শেষ দিনে সাংবাদিক ছোট ভাই আমাকে তাহার সাইকেলের চাবি হস্তান্তর করিলো।
আমি ১৪১৬ সালের প্রথম দিন আমার একমাত্র ছেলে এবং তাহার মাকে লইয়া সারাদিনব্যাপি জ্যামযুক্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরিলাম, চা-আইসক্রিম-বার্গার-ইলিশ মাছ-ভাত-গোশত খাইলাম...। এখন আমার চিন্তা কী করিয়া বিদেশ যাইবার টাকা যোগাড় করিবো...!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।