শাহবাগের জ্বলে ওঠা অগ্নিশিখা নতুন প্রজন্মের জন্য আশার আলো। প্রজন্মের এই জেগে ওঠা আমাদের শুধু আনন্দেই ভাসাচ্ছে না-ভাবাচ্ছেও। দায়মুক্তি আর শৃঙ্খলমুক্তির একটা আলো দেখতে পাচ্ছি আমরা যদিও এ মুক্তির পথ ভীষন বন্ধুর,এখানেও ভেতরে বাইরে অনেক শত্রু-অনেক রাজাকার,অনেক সক্রিয় স্বার্থবাদী গোষ্ঠি। এ আন্দোলনে কেউ হয়তো টিয়ার সেল বা মরিচের গুঁড়া ছিটাবেন না তবে সুবিধাবাদি রাজনীতিবিদরা নিশ্চয়ই চাইবেন পাবলিক শুধু ফাঁসি ফাঁসি করে চিল্লাক- দালালী,দুর্নীতির মূলোৎপাটন পর্বে মনোনিবেশ না হোক, বিরোধীদল চাইবে খুব দ্রুত এই বিব্রতকর পরিস্থিতি শেষ হোক,রাজাকাররা চাইবে চাইবে আন্দোলনের মুল উদ্যেশ্যের মোড় ঘুরে গিয়ে তা দুর্বল হয়ে যাক। একাত্তরের পর একটা দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধাপরাধের প্রসঙ্গকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সবক্ষেত্রে বেমালুম চেপে যাওয়া হয়েছে।
আরেকদল এটাকে ব্যবহার করেছে নিজের স্বার্থ উদ্ধারে।
রাজাকারের বিচার ফাঁসি/বিচার হতেই হবে। তারপর কি? ফাঁসিটাসি শেষ হয়ে গেলে ঘরে ফিরে দেখতে চাইনা আমাদেরই গলায় সেই চিরকালের রাজনীতির ফাঁসটা আর পায়ে লাগানো শৃঙ্খলটা । দেখতে চাইনা নেতারা পার্লামেন্টে চেঁচাচ্ছেন, দলীয় ক্যাডাররা চাপাতি,বোমা,বন্দুক নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। এদেশের মালিক আপনি-আমি।
তরুনের সাথে আমাদের দৃপ্ত উচ্চারণ হোক আমিই বাংলাদেশ। হ্যাঁ,আমিই বাংলাদেশ। আমি আমার মুক্তিচাই।
এ খাঁচা ভাঙারও সময় এটাই। এই জমায়েত আমাদের জানান দিচ্ছে আপাতভাবে হতাশাগ্রস্ত, কিংকর্তব্যবিমূঢ় বাংলাদেশের মানুষের সত্তার ভেতর আছে এক গোপন অগ্নিকুণ্ড,ঘুমিয়ে থাকা সুনামি।
সেই অগ্নিকুণ্ড তার জ্বালাময়ী রূপ নিয়ে বিকটরূপে উদ্ভাসিত হোক,সুনামি হয়ে ভাসিয়ে দিক সকল গ্লানি ।
এখন এটাই মুল চ্যালেঞ্জ যে আমরা আসলে ঠিক কি চাই আর কিভাবে চাই। এর ওপরই আমাদের ভবিষ্যত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।