বর্তমান সরকারের জন্য একটা বড় অসুখ 'ছাত্রলীগ'। অসুখটা অনেকটা ডায়বেটিকসের মতো। ডায়াবেটিকসের ক্ষেত্রে 'শৃঙ্খলাই জীবন' বলে একটা কথা আছে। সরকার যেহেতু ছাত্রলীগকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারছেনা ফলে রোগটা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
আমরা জানি, ডায়াবেটিকস শরীরে অনেক রোগের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
সে বিবেচনায় 'ছাত্রলীগ' সরকারের জন্য কী হতে পারে তা সরকারই ভেবে দেখুক।
এক্ষেত্রে সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় একযোগে কাজ করতে পারে।
ছাত্রলীগকে 'লিগেল' ওয়েতে ফেরানো যাচ্ছে না। তারা দিন দিন বেপোরোয়া হচ্ছে। দখল, কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ভর্তি বাণিজ্যসহ সব কিছুতে তারা অসামান্য কৃতিত্ব দেখাচ্ছে।
প্রশাসন যেহেতু তাদের দখলে সেহেতু এসব কাজে তাদের ভয়ও নেই।
আইন দিয়ে তাদের যেহেতু শৃঙ্খলাবদ্ধ করা যাচ্ছেনা তাদের জন্য অন্য কিছু বের করা প্রয়োজন। কিছু বিকল্প চিন্তা তাদের জন্য জরুরী। সেক্ষেত্রে আমাদের সাধারণের সমস্যা হলেও আমরা তেমন কিছু মনে করবো না।
আমরাতো ভোট দেই এই সমস্যা কিনতেই।
ছাত্রলীগের শৃঙ্খলার জন্য অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে। এজন্য একটি মন্ত্রনালয়ও করা যেতে পারে। এ বিষয়ে দুয়েকটি উদাহরন দিতে পারি। হতে পারে -
১. যে ছাত্রনেতা তার অনুসারি গ্রুপ নিয়ে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করবে কলেজে ঐ বছরের ভর্তি বাণিজ্যের ইজারা তাদের দেয়া হবে।
২. ছাত্রলীগের যে গ্রুপ সবচেয়ে বেশি ভদ্র, পরিমিতিবোধ ও সচেতন আচরন প্রদর্শন করবে, ক্লাসে হাজিরা বেশি থাকবে তাদের দখলে একটি করে হল দেয়া হবে।
এগুলো যত দীর্ঘস্থায়ী হবে হলের সংখ্যা তত বাড়বে।
বাকীটা ভেবে বের করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়। আমার পক্ষে আর বের করা সম্ভব না, কারন আমাকেতো আর ছাত্রলীগের চাঁদার ভাগ দিবে না।
এই ধরণের কিছু কর্মসূচি চালু করে দেখতে পারেন।
ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত হলে প্রধানমন্ত্রীকেও আর দুঃশ্চিন্তা করতে হবেনা।
নেতৃত্ব ছাড়তে হবেনা।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী তার শ্রমিক সংগঠন নিয়ে ভাবতে পারেন। কারন সেখানেও অলরেডি এমন শুরু হয়ে গেছে ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।