ক্যাম্পাসে যাবার পর সমাবেশ নিয়া পুলাপাইনের হাসি, মশকরা দেখে এবং উল্টা পাল্টা কমেন্ট'স শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। যদিও মজার ছলে এসব করতেছিল । তবুও তখন কেন জানি এই অতি পরিচিত মুখ গুলো খুব অপরিচিত লাগছিলো! যদিও এরা বয়সের দিক দিয়ে বড় হলেও এখনো ঠিক বড় হয়ে উঠেনি। (আমিও কিন্তু ওদের মতই তয় কেমনে জানি একটু বেশি বড় হইয়া গেছি!) এরা তেমন কিছু জানেও না, জানার চেষ্টাও করেনা।
তবে এরা একটা জিনিস খুব ভালো বুঝে ।
তা হল, হুজুরদের(সাইদি, মোল্লা কাদের...) নিয়া কিছু বললে অনেক পাপ হওয়ার সম্ভাবনা। (যদিও এই ধরনের ছেলে মেয়ের সংখ্যা খুব বেশি নয়) কিন্তু সেই হুজুররাই যে ৭১এ পাকিস্তানের দালালী করে বেড়িয়েছে, শত শত মানুষ কে হত্যা করেছে, মা- বোন দের নির্যাতন করেছে, এবং আজো তারা বিভিন্ন কুকর্ম করে বেরাচ্ছে, পাপ করে বেড়াচ্ছে, সেটা তারা কোন ভাবেই মেনে নিতে চায়না।
তার অন্যতম কারন তারা কখনোই এই ধরনের চরম অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি হয়নি। তাই তারা এইসব উপলব্ধি করতে পারেনা। এমন কি আমরা মুক্তি যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস টা তাদের সামনে কখনোই তুলে ধরতে পারিনি।
আমাদের অভিভাবকরা কখনোই আমাদের সাথে মুক্তি যুদ্ধের গল্প করেনি। এই সুযোগে ছাগুরা এইসব তরুণদের মগজ ধুলাই করে ওদের দুসর বানিয়ে গড়ে তুলছে এই প্রজন্মের ডিজিটাল রাজাকার।
তাই যারা মুক্তি যুদ্ধ দেখেছে বা এর সঠিক ইতিহাস জানে, তাদের উচিত ছোটোদের এবং আমাদের মত এই প্রজন্মের তরুণদের যারা মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস জানেনা, তাদের সেই ইতিহাস জানানো। এবং আমাদের দেশে যেন আর একটা রাজাকারের জন্মও হতে না পারে, এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে বাংলার মাটি কে জামাত- শিবির মুক্ত করতে হবে। আর যেন বাংলার একটা ছেলেও রাজাকারে রুপান্তরিত হতে না পারে।
কি আর করা মন খারাপ নিয়ে বাসায় ফিরে ব্যাগ টা রেখেই চললাম শাহবাগের উদ্দেশে। প্রজন্ম চত্বরে লাখ লাখ অপরিচিত মানুষের মুখ। অথচ কেন জানি আজ সবাই কে খুব আপন মনে হল। মনে হল আমরা সবাই একে অপরের চির চেনা। তাই সবার কণ্ঠেই একিই চিৎকার, সবার মুখেই এক দাবি।
রাজাকারদের ফাঁসি চাই । মুহূর্তেই আমার মন টা ভালো হয়ে গেল।
সবশেষে, সমস্ত রাজাকারের ফাঁসি চাই। জামাত- শিবির মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই।
তাই আসুন আমরা যে যেখানে আছি, সে সেখান থেকেই রাজাকারদের ফাঁসির দাবি জানাই।
এবং জামাত- শিবির কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের নির্মূল করি।
জয় বাংলা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।