আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহমাদ শরীফের ভাব -বুদ্বুদ



আহমাদ শরীফ ঠিক কেনো ভাব-বুদ্বুদ প্রকাশে আগ্রহী হয়েছিলেন? তাঁর কি কোনো দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা ছিলো? তার স্বরচিত স্মৃতিকথা নেই, সহকর্মীরা কিংবা তার সময়ের মানুষেরা সবাই যে তার খুব প্রিয়জন ছিলেন তাও নয়। তার নিজস্ব ব্যক্তিগত ক্ষোভও ছিলো অনেক প্রতি। ১৯৮৭ সনের আগে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্রের একাত্তরের ঘাতক দালালেরা কে কোথায় গ্রন্থের তথ্য সংগ্রহও করেছেন তিনি, এবং তিনিই পরবর্তীতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। তার নামে ১৯৭২ সনেই রাজাকারের মিত্র খেতাব রটেছে, এবং তিনি সেসবের কোনো উত্তর দিয়েছিলেন কি না তা আমার জানা নেই, এটা বিস্তর প্রচেষ্টায় হয়তো জানা সম্ভব হবে। তবে সৈয়দ আলী আহসান যখন তার এই রাজাকারঘনিষ্ট হওয়ার গুজবকে আরও কলেবরে বাড়িয়ে প্রকাশিত করলেন, তখন থেকেই সৈয়দ আলী আহসানের উপরে ক্ষুব্ধ আহমাদ শরীফ, তিনি তার ভাব-বুদ্বুদের বেশ কিছু দিন উৎসর্গ করেছেন আলী আহসানকে, তাঁর বিশ্লেষণ করে কয়েক দিন কাটিয়েছেন।

এবং একই সাথে বোধ হয় এটা ভবিষ্যতে যারা আহমাদ শরীফকে খুঁজবে, তারা তার স্বনির্বাচিত ভাষ্যে তাঁর কি পরিচয় খুঁজে পাবে সেটাকে ব্যক্ত করবার বাসনাও হয়তো ছিলো। এই গ্রন্থের বেশ কিছু অংশ প্রকাশিত হয় নি, সংকলক এবং সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলেছেন তাঁরা প্রায় সম্পূর্ণটাই প্রকাশিত করেছেন এখানে। আরও হয়তো কিছু উদ্ধৃতি এবং পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যা তাদের কাছে কোনো গুরুত্ব বহন করে নি সেসব প্রকাশের আগ্রহ তাদের নেই। তবে আমার নিজের ধারণা অন্তত সেইসব সংবাদ ও সংবাদবিশ্লেষণ হাতের সামনে থাকলে ব্যক্তি মানুষটার ভাবনার গতিপথ বুঝতে সুবিধা হতো আমার জন্য। ০৩.১২.৯৬ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের নীতি-আদর্শ-চরিত্রহীন নগদজীবি অর্থগৃধ্নু ও খ্যাতি-ক্ষমতা লিপ্সু দুষ্ট-দুর্জন অধ্যাপক ডক্টর সিরাজুল ইসলাম এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ'এর আর্থিক সম্পদ বৃদ্ধি করলেও গবেষণাকর্মের মান, পত্রিকার গুরুত্ব আর নিতান্ত সাময়িক বিষয়ে গবেষণারূপ প্রতিবেদনে গুরুত্ব দিয়ে ' এশিয়াটিক সোসাইটি'র আন্তর্জাতিক খ্যাতি নষ্ট করে দিয়েছেন।

তার নেতৃত্বে একটা অনুগত অবিদ্বান দল এশিয়াটিক সোসাইটি ১৯৭৮ সন থেকে দখল করে রয়েছে। তাই আমি বার্ষিক ভাষণ দেওয়ার মৌখিক আমন্ত্রন প্রত্যাখ্যান করলাম আজ। ১৩.১২.৯৬ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর সহকর্মী ছিলাম আমি। তিনি এক সময়ে কম্যুনিস্ট ছিলেন। পরে দলছুট হন।

বলেছিলেন, তিনি জীবনে সম্ভোগ ইপ্সার কাছে পরাজিত। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সম্ভাব্য সক্রিয় সমর্থক ও প্রেরণাদাতা হিসেবে অজিত গুহ ও মুনীর চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার প্রোক্টর মোজাফফর আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে ধৃত হয়ে জেলে বছরোর্ধ্বকাল কাটিয়ে তিন জন 'বন্ড' দিয়ে মুক্ত হন। ১৯৭১-এ মুনীর চৌধুরী ছিলেন সরকার সমর্থক। কিন্তু জামাতী রাজাকাররা তাকে প্রাক্তন কম্যুনিস্ট নাস্তিকরূপে ইসলামের ও তমুদ্দীনের সম্ভাব্য শত্রু মনে করেই ১৪ই ডিসেম্বরে অন্য অনেক অরাজনৈতিক বুদ্ধিজীবির সঙ্গে ধরে নিয়ে দানবিক নিষ্ঠুরতায় হত্যা করে। ফলে রজতজয়ন্তী উৎসবে আত্মীয়-স্বজনের সক্রিয় প্রয়াসে ও সহযোগিতায় ' স্বাধীনতা সংগ্রামী মনিষী নাট্যকার হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা ও অনন্য সম্মান পেলেন।

তাঁর নামে রামেন্দু-ফেরদৌসীর উদ্যোগে ' শহীদ মুনির চৌধুরী মঞ্চ' নির্মিত হয়েছে তিন শয়তানের মাজারের সম্মুখের সড়কে। রোজ নাটক অভিনীত হচ্ছে। ইতিহাস আসলে তৈরি লিজেন্ড ও মিথ মাত্র। সত্য-তথ্য হারায় অস্তিত্ব। ১৭.১২.৯৬ মুক্তিযুদ্ধ করেছে পুলিশ- সৈন্য-সেনানীরা- অবাঙালী সৈন্য-শাসকরা তাদের নিরস্ত্র ও হত্যা প্রয়াসী হলে তারা প্রাণ বাঁচানোর জন্যই পালিয়ে দ্রোহী হতে বাধ্য হয়।

তাদের সঙ্গে জোটে গাঁ-গঞ্জের ািসংখ্য আবেগ-তাড়িত দেশপ্রেমী কিশোর-তরুণ। যুদ্ধ এরাই করে। আওয়ামী লীগ সাংসদ কেউ অস্ত্র ধরেনি। ক্বচিৎ কিছু আওয়ামী লীগ সদস্য-কর্মী- কাদের সিদ্দীকি-মান্নান চৌধুরীর মতো যোদ্ধাও শহীদ হয়েছে কিংবা গাজী হয়ে ফিরেছে। অতএব মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেনানীরা, পুলিশেরা- প্রাণ দিয়েছেন আবেগচালিত তরুণেরা- আওয়ামী লীগের মাতব্বরেরা গা-পা বাঁচিয়ে পরের পয়সায় ও অভয় আশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে রাজনৈতিক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করেছেন মাত্র।

ইন্দিরা গান্ধীর পাকিস্তান ভাঙার গরজ ছিলো, বাঙালীর গরজ ছিলো জান-মাল- গর্দান বাঁচানোর পন্থা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের ঝাঁপিয়ে পড়া। ফলে বাঙলাদেশীর ও ইন্দিরার তথা ভারতের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হল। কিন্তু রজটজয়ন্তী উৎসরের নামে আওয়ামী লীগ 'মুজিব' নেতৃত্বে অর্জিত বলেই এককভাবে যুদ্ধের, স্বাধীনতা অর্জনের, জাতি ও রাষ্ট্র-স্রষ্টা দাবি স্বীকার করিয়ে আদায় করে নিল অজ্ণঃ দেশবাসী থেকে মহোৎসবের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগার নয়, এমন কারো ঠাঁই হয় নি তাদের দেশব্যাপী অসংখ্য অনুষ্ঠানে। মুজিব, আওয়ামী লীগ ও মুজিব পরিবার বহু বানানো কৃতি-কীর্তির প্রশংসা ও স্বীকৃতি পেয়ে গেলো, অথচ অসংখ্য লোক কখনো আওয়ামী লিগের ছিলাম না, এখনো নই।

ইতিহাস আসলে লিজেন্ড ও মিথ। ২৯.১২.৯৬ বিদায়ী ১৯৯৬ সনের রূপ ভুঁইফোড় লেখাপড়াজানা মানসসংস্কৃতিহীন লুম্পেন বুর্জোয়ার গদীকাড়াকাড়ী লক্ষ্যে সংঘর্ষ-সংঘাতবহুল বছর গেল এটি। এ হল বিপর্জয়ের বছর, স্বশ্রেণীর পালা বদলকাল। ব্যাংকের, শিক্ষার, বাণিজ্যের, পণ্য উৎপাদনের, নির্মাণের ক্ষেত্রে, কল কারখানার বিলুপ্তি কাল। সবচেয়ে নগ্ন নির্লজ্জ বেহায়া বেশরম হয়ে পদলেহিতায় চাটুকারিতায় নেমেছেন এ বছর বুদ্ধিজীবি লেখক সাহিত্যিক উকিল ডাক্তার শিক্ষক সাংবাদিক প্রকোয়শলী প্রভৃতি সর্বপ্রকারের সুবিধেবাদী সুযোগসন্ধানী নগদজীবিরা।

একে যদি পালাবদলের সন্ধিক্ষণ বলি তা হলে ট্রানজিশন পিরিয়ড হচ্ছে বিপর্জয়ের, বিবর্তনের নয়, নির্লক্ষ্য জাতীয় জীবনে ঝড়-বন্যা- খরা -মারীর মতো অনভিপ্রেত পরিবর্তন। জোরে-জুলুমে, শেখ মুজিবের পিতৃত্বে আওয়ামী লীগের কৃতিত্বের ও মুজিব পরিবারের অবদানের স্বীকৃতি আদায়ের কাল। ২০.০৭.৯৭ আজ কর্ণেল আবু তাহেরের ফাঁসির স্মারকদিন। কর্ণেল তাহের সংসদ গঠনের সভায় আমিই ছিলাম সভাপতি। পরে কয়েক বছর তাহের সংসদের সভাপতিও ছিলাম।

তাহেরের ভাই মহা-উদ্যোগী ও উদ্যামী ডক্টর আনোয়ার হোসেন একাধারে ও যুগপৎ উচ্চাশী ক্ষমতালিপ্সু ও সুযোগসন্ধানী, আবার গোঁয়ারও। তিনি হঠাৎ আওয়ামী লীগ সমর্থক হয়ে উঠলেন। ফলে আমি তাহের সংসদ ছেড়ে সুস্থ হলাম। কর্ণেল তাহের সমন্ধে আমার একটা জিজ্ঞাসা রয়েই গেলো। তা এই- কর্ণেল তাহের সিপাহি জনতার অভ্যুত্থান বলে প্রচার করলেও মূলত এ অবসেনানী কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের সৈন্যদের প্রভাবিত করেই তাদের দিয়েই ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট দখল করান।

সিপাহী-জনতার জাসদী নেতা কেন 'পাকিস্তান ও ইসলামপছন্দ' জিয়াউর রহমানের উপর আস্থা রাখলেন, আর কেনই বা সিআইএ এজেন্ড খন্দকার মুস্তাক আহমদকে- যিনি ট্রেইটর সর্বার্থে ও সর্বাত্মক ভাবে, তাঁকে বা-ইজ্জত স্বঘরে নিরাপদের বাস করার সুযোগ দিলেন, হত্যা না করে, হাজতে পা পাঠিয়ে বিচারের ব্যবস্থা না করে। একি মার্কিন সরকারের নির্দেশে কিংবা সৈদী সরকারের অনুরোধে, অথবা কর্ণেল তাহের স্বয়ং সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান নামের আড়ালে নিজেও ছিলেন ইসলামপন্থী? জেলে কয়েদী নেতা হত্যার জন্য দায়ী মুজিব হত্যার যড়যন্ত্রকারী সিআইএ এজেন্ট মুস্তাকের প্রতি তার শ্রদ্ধার, প্রীতির বা ক্ষমার অন্য কোন কারণ আছে কি? তাছাড়া জিয়াই তো ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সাংবিধানিক মূল্যে ও মর্যাদায় আর গুরুত্বে স্থায়ী করলেন। জিয়া যুগপৎ ধূর্ত কপট প্রতারক ষড়যন্ত্রকারী। তিনি একের আড়ালে অন্যের সঙ্গে একই ভাবে বিপরীত পরামর্শ চুক্তি করতেন। এমন অমানুষ সত্যিই দুর্লভ।

এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য মিলবে রইসউদ্দিন আরিফ রচিত ' রাজনীতি, হত্যা প বিভ্রান্ত জাতি' গ্রন্থের পরিশিষ্ট ৪, পৃষ্টা ১২৫-১২৬। ৩০.১১.৯৭ আপয়ামী লীগ ও বিএনপি মোষের লড়াই শুরু করে দিয়েছে। পরিণাম কোথায় ফিয়ে দাঁড়ায় জানিনে। তবে দেশের এখন প্রধান সমস্যা শিক্ষিত-অশিক্ষিত- অনক্ষরের বেকারতা। এর আশু সমাধান না হলে লুটপাটে আইনশৃঙ্খলা ব্যহত হবেই।

সরকার হবে গণশত্রু, হারাবে গদী ঘটবে অভ্যুত্থান। মৌলানা ভাসানীর মতো কেউ থাকলে তিনি বেকারদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানাতেন এবং ঘটাতেন ঘেরাও আন্দোলন মাধ্যমে অভ্যুত্থান। দেশে ধূর্ত লোক অনেকতায় বহু, শক্তি ও সাহস অকাজে প্রয়োগে তারা আগ্রহী, কিন্তু গণ হিতৈষী দেশপ্রেমী মানবসেবী নীতি আদর্শনিষ্ঠ আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মানুষ বারো কোটিতে যেন বারো জনও নেই। শওকত উসমান, কবীর চৌধুরী শামসুর রাহমান প্রভৃতি চাটুকারদের ভূমিকাও স্মর্তব্য তাছাড়া আর্থবাণিজ্যিক মহাজনী সাম্রাজ্যবাদীর এজেন্ট এনজিও আমাদের উর্ধগতি ও নিম্ন গতি রোধ করেই চলবে। আমাদের বাড়তেও দিবে না, মরতেও দিবে না।

টবের গাছের মতো শাসন-শোষণের জন্য জিইয়ে- টিকিয়ে রাখবে। ০৯.০২.৯৮ আজ ১৯৯৮ সনের ৯ই ফেব্রুয়ারী আমাদের শ্রুতকীর্তি আওয়ামী আঁতেল অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর ৭৫তম বয়সপুর্তি এবং ৭৬ তম জন্মদিন। পালন করছে এনজিও গণ সাহায্য সংস্থা লক্ষ টাকা ব্যয়ে। কবীর চৌধুরীর জন্মোৎসরের আয়োজন ও অর্থব্যায় গণসাহায্য সংস্থার দায়িত্বকর্তব্যের মধ্যে পড়ে কি? তবে কি বুঝতে হবে যে জন্মোৎসবও কোনো রোগের বা দুস্থতারই নামান্তর। এতেও বোঝা যায় এনজিওগুলো আসলেই কার্যত আর্থ-বাণিজ্যিক-মহাজনী সাম্রাজ্যবাদেরই ছদ্ম এজেন্ট।

আমি এনজিওবিরোধী এজন্যই যে ওরা আমাদের উঠতেও দেবে না, মরতেও দেবে না, আমাদের আনুগত্যে ও বাজারী শোষণেই তাদের উন্নতি। ১৪.০২.৯৮ সেদিন ১৪০৪ সনের ২৮শে মাঘ তারিখের বাংলাবাজার পত্রিকায় ডক্টর নীলিমা ইব্রাহিম অকারণে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে আমাকে রাজাকার আশ্রিত কিন্তু অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি হিসেবে বয়ান করেছেন। এ বয়ান সম্পূর্ণ বানানো। আমি পত্রিকায় প্রতিবাদও পাঠিয়েছি। ড. নিলীমা নিতান্ত ছোটো মনের ও রুচির মিথ্যাবাদিনী এবং চাটুকার ও স্বার্থপর।

সত্যগোপনে ও মিথ্যাভাষণে তিনি চিরঅভ্যস্ত। আমার সমন্ধে প্রথম রাজাকারী নিন্দা প্রচার করেন ড. রফিকুল ইসলাম ১৯৭২ সনের প্রথম সপ্তাহে সম্ভবত নাম না ধরেই। যে মৌলী ফরিদ আহমেদের হাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গন কলুষিত করেছে তারও কি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির অধিকার থাকবে- এমনি কথা তাতে ছিলো। অবিকল উদ্ধৃত করা সম্ভব হলো না। এ তথ্যকে পল্লবিত করে নিবন্ধ রচনা করেন মিথ্যাভাষণে আবাল্য অভ্যস্ত সৈয়দ আলী আহসান।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন নাকি ১৫/২০ জনের একটি তালিকা গভর্নর টিক্কা খানের কাছে পাঠিয়েছিলেন ১৯৭১ সনে আগস্টে। এ বলে যে ঐ কয়েকজনকে জেনে রাখলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালু করা সম্ভব হবে. সে তালিকায় কে এম সাদউদ্দিন, আহসানুল হক, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ অনেকেই ছিলেন। আমার নামও ছিলো। কিন্তু আমি ১৪ই আগস্ট রাত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসে ছিলাম না বলে ধৃত হই নি, বিশ্বস্ত সূত্রে শুনেছি এঁদের আত্মীয়-স্বজনের তদবীরের ফলে মৌলবী ফরিদ আহমদই জামিন হয়ে এঁদের অল্প দিনের মধ্যে ছাড়িয়ে আনেন। কাজেই অকৃতজ্ঞ অমানুষ না হলে ডক্টর রফিকুল ইসলাম আমার ছাত্র হয়েও এবং আমার সঙ্গে কখনো কোনো মনোমালিন্য না হওয়া সত্ত্বেও যার দ্বারা উপকৃত সেই মৌলবী ফরিদ আহমেদের নিন্দাসূত্রে আমাকেই জড়িত করত না।

মানবাকৃতির এসব তথাকথিত মানুষ শিক্ষকদের চরিত্র এমনিই। লা বাহুল্য, অন্যরা হয়তো নিন্দা ভয়েই ফরিদ আহমেদের এ উপকার গোপনেই রেখেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.