কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
পর্ব-১
Click This Link
--------------------------------------------------------------------------------
পুরুষ-নারী ডাইনামিকস কি রকম হবে , কেমন তাদের পারস্পরিক দায়িত্ববোধ এবং একে অন্যের উপর অধিকারের সীমা কিভাবে ঠিক হবে এইটা, তৃতীয় কোন পক্ষ বা এককভাবে একপক্ষ ঠিক করতে পারে না । আমূল নারীবাদের মূল কথা এইখানে । ধর্মে যেমন সেইটা তৃতীয় পক্ষ ঠিক কৈরা দেয় তেমনি রেক্টাম-মস্তিষ্কসম্পন্ন দার্শনিক মনে করে এইটা তার নিজের বদান্যতা এবং কেবল সেই পারে ঠিক কৈরা দিতে কিভাবে কোথায় নারী কার সাথে কেমন ব্যবহার করবে, কতটুকু দায়িত্ব পালন করবে , কতটুকু স্বাধীনত ভোগ করবে, কি করবে, কি করবে না এইসব ।
বস্তুতপক্ষে এই দায়িত্ব পুরুষের হাতে কেউ কোনদিন তুইলা দেয় নাই, বা ডিকটেশন শুরু করার আগে কোন নারী গ্রুপের সাথে মতবিনিময়ও করা হয় নাই । অবশ্য সকল রকমের টোটালিটারিয়ান মতবাদের সমস্যাই এইখানে ।
আম্রিকা যেমন কেউ গণতন্ত্র চায় কি না চায় সেইটার তোয়াক্কা না কৈরাই সারা বিশ্বের গলা দিয়া গণতন্ত্রের বড়ি ঠাইসা ঢুকাইতে চায় অথবা খেমর রুজের কুতুবরা যেমন নিজেগো আচোদা কথা দিয়া বেবাকতের মাথার ভিতরডা ভরাইতে চাইছিল, সেইরকমই অন্যের অধিকারে নাক গলানোর দিক থাইকা পুরুষতান্ত্রিকতাও বড় বড় শান্তিবিরোধী আকামের পর্যায়ে না পড়ার কোন কারণ নাই ।
এইদিক থাইকা ধর্ম পুরুষ-নারী দুইজনের উপরই একই প্রভাব ফেলার কথা ছিল । ধর্মে যেহেতু দাবী করা হৈতাছে, এই বিধান মহাবিশ্বের একচ্ছত্র মোড়লের কাছ থাইকা আনা, সেহেতু সেইখানে কোনরকম মানবিক মানদন্ড যৌক্তিকভাবেই খাটে না । স্রষ্ঠাই ঠিক করব কোন সৃষ্টি কিভাবে চলবো কার কি দায়িত্ব কার কি সুবিধা । ফেয়ার এনাফ ।
কিন্তু দুইটা ব্যাপারে এইটা মাইনা নিতে প্যাঁচ লাইগা যায় । তা হৈল সবাই আইজ পর্যন্ত কেবল দালালের দেখাই পাইছে, স্রষ্টা বা তার রাজ্যের টিকিটির দেখাও কেউ পায় নাই, এর সাথে যখন যোগ হয় যত অসুবিধা সব নারীর আর যত সুবিধা সব পুরুষের, তখন দালালের লেন্জা যে বাইর হৈয়া যায় সেইটা দুধের বাচ্চাও বুঝে ।
দার্শনিক বা সমাজনেতার ভুল অন্যদিকে । সেইটা হৈল সাবজেকটিভ অভিজ্ঞতারে হোগার তলে কিছুদিন রাইখা সেইটা থাইকা অবজেকটিভ থিওরি বাইর করা । ক্যানারি(?) দ্বীপে কিছু পাগলির চিকিৎসা কৈরাই শিশ্নাসূয়া নামক পুটকিজাত থিওরির জন্ম দিছিলেন ফ্রয়েড ।
অবশ্য তার কোকেন প্রীতির প্রভাও থাকতে পারে এইক্ষেত্রে । যেইখান থাইকাই আসুক, তার এইধরণের কিছু থিওরী পুরা বিশ শতক জুইড়া সামাজিক চিন্তাবিদগো স্বভাবজাত পুরুষতান্ত্রিকতারে ফাউল বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দিয়া আরো উস্কাইয়া দিছে । (অবশ্য মনোবিজ্ঞানের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফ্রয়েডের অবদান অনস্বীকার্য)
সংস্কৃতি এবং মানসিকতার প্রভাব সরাসরি গিয়া পড়ে অর্থনীতির উপর । অথবা বলা যায় অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে খুবই কার্যকরভাবে সংস্কৃতি এবং মানসিকতাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় । পুরুষতান্ত্রিকতার মানসিকতা যেমন নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দরকার নাই বা নারী উৎপত্তিগতভাবেই কম-উৎপাদনশীল এইসব উদ্ভটতা নিয়া বৈসা থাকে , তেমনি মুখে অস্বীকার করলেও অর্থনৈতিক পরিমন্ডলে নারীর অংশগ্রহণকে ঠেকানোর সর্বাত্নক চেষ্টা চালাইয়া যায় ।
এই প্রচেষ্টা এমন সব মধুর এবং কোমল প্যাঁচের মধ্য দিয়া চলে যে অনেকনেক ঘিলুওয়ালা মাউরা নারীবাদীও এইগুলাতে মজে যায় ।
প্রচেষ্টার একটা কমন ও বহুব্যবহৃত রুপ হৈল, সন্তান গঠনে নারীর অসামান্য অবদানের কথা কেঁদেকেটেনেচেকুদে বড় বড় প্রবন্ধ লিখে বারবার সবাইকে মনে করিয়ে দেয়া । জিনিস গুরুত্বপূর্ণ সেইটা নিয়া কোনো সন্দেহ নাই, কিন্তু আল্লামা আল মোছাদ্দেকি যখন সেইটা নিয়া খোতবা পয়দা করা শুরু করে তখন সন্দেহ না জাইগা পারে না । এমন না যে সন্তান লালনে ব্যস্ত থাকলে আর কিছুই করা যায়না । যদি তা হয়ও তাও সন্তান লালনের চিরায়ত পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোর কারণেই সেইটা, নারীর অর্থনৈতিক অযোগ্যতার জন্য না ।
দায়িত্ব পুনঃবন্টনের কোন উল্লেখ ছাড়া নারীর মাতৃত্বকে মহায়িত করার চেষ্টা , মধুর শুনাইলেও আদতে , সেইটা অর্থনৈতিক এরিনায় নারীর প্রবেশরে ঠেকাইয়া দেয়ার কুটিল কৌশল ছাড়া আর কিছুই না ।
আরেকটা দিক হৈল টেকনিক্যালিটির যন্ত্রণা । এইটা মডারেট-কাঠমোল্লাদের কার্যপ্রণালী । নারীর সব অধিকার আছে, ব্যবসা চালানির অধিকার, শিক্ষার অধিকার, তালাক দেওনের অধিকার , কিন্তু তার ঘরের বউ কি করে ?, হাতমোজা আর কালা চশমা নিয়া গনগনে রইদের মইধ্যে সদাই করতে যায় । তখন সেই নারীর সব অধিকার দেওইন্যা মডারেটের মুখে মুইতা দিতে ইচ্ছা করতেই পারে ।
এইখানে টেকনিক্যালি সব অধিকার আসলেও দেয়া আছে কিন্তু প্র্যাকটিকাল কনসিকিউয়েন্স থাইকা স্পষ্ট দেখাই যাইতাছে, শর্তগুলা চাপাইয়া দিলে কোনভাবেই অধিকারগুলার চর্চা করা সম্ভব না ।
আমূল নারীবাদের মূল কথা হওয়া উচিৎ তাই কোনরকমের শর্তের চোদাচুদি না কৈরাই অর্থনৈতিক এরিনায় নারীর প্রবেশ নিশ্চিৎ করা । এবং সেইখানে যেন শ্রমবিক্রেতা হিসাবেই দেখা হয় তারে, তার আগে যেন নারী শব্দটা জুইড়া দেয়া না হয় । পশ্চিমে এবং পূর্বেরও কিছু কিছু দেশে প্র্যাকটিকাল উপাত্ত থাইকা এইটা এখন ক্লিয়ার নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তার অধিকারভোগের সাথে শুধু সমানুপাতিকও না কিছু কিছু ক্ষেত্রে সূচকীয়ও বটে ।
অর্থনৈতিক এরিনায় প্রবেশের গুরুত্ব বুঝতে হৈলে পূর্ব-এশিয় কিছু দেশের উদাহরণ অবশ্য-ধর্তব্য ।
কোরিয়া , চীন, জাপান এমনকি, মালেশিয়াও । এইসব দেশে নারীরা ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক পরিমন্ডলে ঢুকে কোনরকম সামাজিক বা দার্শনিক সংস্কারের প্রভাবে না, বরং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতির কারণে শ্রমবাজার ঘাটতি তৈরী হওয়ায় সেইটারে পূরণ করার জন্যই । অর্থাৎ নারীর সামাজিক বা সংস্কৃতিগত অবস্থানের ব্যাপারে সামগ্রিক চিন্তার প্যারাডাইম পরিবর্তন না হৈয়াও অর্থনৈতিক অধিকারে কেবল ব্যাপক পরিবর্তন আসে । কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নতি থিতু হৈয়া আসার পর দেখা যাইতাছে, তাত্তিক ভিত্তির ধার না ধাইরাও , সামগ্রিকভাবে নারীর নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা, স্বিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাতে ব্যাপক উন্নতি হৈয়া গ্যাছে । কেউ ভালোমত খেয়ালও করে নাই ।
ইউরোপ আম্রিকাতে যেই ঘটনার জন্য দশকের পর দশক ধৈরা ইন্টেলেকচুয়াল লড়াই চালাইতে হৈছে, সেই একইরকম ফলাফল অলমোস্ট বিনা লড়াইয়ে পাওয়া গেছে ।
তত্তকথার কপচানির চাইতে প্র্যাকটিকালি শ্রমবাজারে ঢুইকা যাওনের গুরুত্ব বুঝা গেলেও , এইখানে আরেকটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হয় যে একটা নির্দিষ্ট ভূগোলেই কেবল এই ইফেক্ট পাওয়া গেছে । বিশেষ কৈরা কোরিয়া জাপানের মত দেশে যেইখানে বহু শতক ধৈরাই পুরুষ-নারী ডাইনামিকস নিয়া ধর্মের তেমন কোন শক্তপোক্ত আদেশ নাই সেইখানের নারী শ্রমবাজারে ঘাটতি পূরণে নাইমা যাওয়া আর বাংলাদেশ ফাকিস্তানের নারী নাইমা যাওয়া একই প্যাটার্নে হওয়ার সম্ভাবনা কম । তবে, হয়ত এইসব অঞ্চলে তত্তগত ভিত্তি আরেকটু মজবুত হৈতে হবে , এইটুকুই তফাৎ, একবার শ্রমবাজারে ঢুইকা গেলে প্যারাডাইম শিফট হৈবেই এইটা নিয়া সন্দেহের কোন কারণ নাই ।
তবে অর্থনৈতিক মুক্তি নারীর উপর নির্যাতন কমানো, আইনগত সাহায্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, স্বিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা এইসব নিয়া আসলেও , মৌলিক সম্মান পুরাপুরি নিয়া আসতে পারে নাই এইটা পশ্চিমের আমূল-নারীবাদীরাও স্বীকার করতে বাধ্য ।
এইটার কারণ ঘাঁটতে গেলে উইঠা আসে অনেক ব্যাপার । যেমন নারীর পণ্যায়ন । অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে তাল মিলাইয়া নারীর পণ্যায়নে বিভিন্ন মাত্রা এবং দিক যোগ হৈতাছে । পণ্যায়নে থাইমা না থাইকা সেই পণ্যের বিজ্ঞাপনও চলতাছে । একদল যেইখানে মনে করেন, যার দুধ আছে সে দুধ বেইচা খাইলে দোষের কিছু নাই, আরেকদল সেইখানে নারীকে মানুষ হিসাবে বাইরে বেরোতে না দিয়া , বাইর যদি হবিই তবে পণ্য হিসাবেই বাইর হ, এইজাতীয় মোটিভ দেখেন ।
অর্থাৎ দ্বিতীয় দল এইটাতে নারীর মুক্তি না বরং মুক্তির লোভ দেখাইয়া ভয়ঙ্কর অপমান করার মত কৈরাই দেখেন । দুইদলেরই নিজস্ব কিছু শক্তিশালী যুক্তি আছে ।
-----------------------------------------------------------------------------
চলবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।