জানতে এবং জানাতে। । সবাই মিলে এক সাথে। ।
পিলখানার বিভিষিকা শেষ হয়েছে।
সম্ভবত আশেপাশের ২ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী মানুষগুলো ঘরে ফিরে গেছে। আমার ছোট ভাই সস্ত্রিীক ফিরে গেল আমার সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে। বিভিন্ন মানুষ থেকে, বিভিন্ন ব্লগ থেকে এবং টিভি চ্যানেলগুলো থেকে হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। টিভিতে দেখছি শোকে দুঃশ্চিন্তায় বিবর্ন্ অনেক পরিবারকে। এতক্ষনে সবাই জেনে গেছেন বিপুল পরিমান আর্মি অফিসারদের মৃত্যুর খবর (আনুমানিক ১০০+)।
এদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেবার ভাষা বা ক্ষমতা কারোই নেই। নিঃসন্দেহে বলা যায় দেলের জন্য এটা একটা অপূরনীয় ক্ষতি। অন্যদিকে কিছু সংখ্যক বিডিয়ার সদস্যের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে সেই ষংখ্যা কোন ভাবেই ৫০০ (পাচশতর) বেশি হবেনা। এদের ৯৫% ই নিম্নবৃত্ত পরিবার থেকে আশা। য়ে কারনে দেশের খুব বড় ক্ষতি হয়নি ইনশাল্লাহ্।
এরা খুবই সাধারন ধরনের কাজ কর্ম করতো যেমন চাল-ডাল বিক্রি, বনে বাদাড়ে বসে সীমান্ত পাহারা দেয়া, ট্রাফিক কন্ট্রোল, ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়া ইত্যাদি। পরিবারের মানুষগুলো এদের উপর তেমন ভাবে নির্ভরশীল ছিল না। কারন এরা যে বেতন ভাতা পেত তাতে নিজেদের জীবন নির্বাহ করাই ছিল চ্যালেঞ্জ। এদের মৃতদেহগুলো আপাতত পিলখানার ভেতরে যত্রতত্র পড়ে থাকুক অসুবিধা কিছু নাই, এদের ভাই ব্রাদাররা (যারা এখন ব্যারাকে) পরে ব্যাবস্থা করবে, নিশ্চয় করবে। আর উদ্ধারকরে ও লাভ কি, বনানী বা আজিমপুর গোরস্থানে এরে যায়গা হবে না।
সবাইকে নিজ নিজ গ্রামে পাঠাতে গেলে অনেক সময় লাগবে ততক্ষনে এমনিতেই সব পচে যাবে।
মৃত মানুষদের উপর রাগ রাখতে নেই, যেসব আর্মি অফিসারেরা তাদের বাজে মেজাজ এবং দুর্নীতির জন্য বিখাত ছিল বা যারা মইনুনুনুনুনু (নুনু নুনু গুলো ডিলিট হচ্ছে না হার্ডওয়ার ইরর) স্যার এবং এরকম আরো ক্ষমতাবান স্যারদের প্রিয় পাত্র বা সহয়োগী শক্তি ছিল তাদের চরিত্রগুলোকে একটু ঘষামাজা করা দরকার। আমাদের এখন অনেক কাজ, কিছু আম জনতা খুজে বের করতে হবে, বুদ্ধিজীবিরা সবাই ঝিম মেরে আছে, এদের দিকে নজর দেয়া দরকার। ডাল-ভাত কর্মসূচীর কিছু টাকা এখানে খরচ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে, কি আর করা... সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে ক্ষমতাসীন রাজনীতিবীদদের নিয়ে। এরা ছাড়া মিডিয়াকে সাইজে রাখা যাবে না।
এদিকে আবার ব্লগ না কি একটা বালের জিনিস হইছে এইটারেও সাইজ করা দরকার।
প্রিয় বন্ধুরা, কেউকি কোথাও দেখেছেন বা শুনেছেন ঠিক কতজন বিডিআর মারা গেছে? ছাড়া পাওয়া আর্মি অফিসারদের মুখেই তো শুনলাম পিলখানার যত্রতত্র লাশ আর লাশ, উনি লাশের উপর দিয়ে হেটে এসেছেন। এই লাশগুলো কাদের? আমার এলাকার এক ছেলৈ ছিল বিডিআর এ, ২৫ তারিখ সাড়ে এগারোটার দিকে ওই আমাকে প্রথম খবর দেয়। ঐদিন রাতে একবার ফোন করেছিল আমার ডাক্তার স্ত্রী ধরেছিল ফোনটা, খুব কান্নাকাটি করেছে ও বারবার বলেছে "ভাবী আপনারা যা শুনেছেন তা ঠিক না, অনেক আর্মি কমান্ডো ভেতরে আছে, আমার ইউনিটের বেশির ভাগ মারা গেছে। এই কমান্ডোরা নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে যত্রতত্র, সবাই এরা বিডিআর এর ড্রেসেই আছে।
" গাধাটাকে ফোন করে আর পাচ্ছিনা, গাধটা একটা ফার্মেসীতে চাকরী করত হঠাং একদিন সবগুলা দাত বের করে হাজির, বলে ভাই বিডিআর এ চান্স পাইছি। মর এখন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে মর। তোদের জন্য শোক ও করবো না। অনেক মেজর, ক্যাপ্টেন শাহাদং বরণ করেছেন, তারা দেশের সম্পদ, জাতীয় শোক ঘোষনা করা হবে। তোর মরার খবর নিয়ে আমার কোন লাভ নেই।
কোথায় শাহাদং বরন আর কোথায় গোলাগুলিতে মারা পড়া।
শুনেছিলাম ১৫০০০ জওয়ান ছিল দরবার উপলক্ষে। একটু আগে একটা চ্যানেলে শুনলাম হাজার ছয়েক জওয়ান এখন পাওয়া যাচ্ছে ধরে নিই এই সংখা ১০০০০, তাহলে বাকি গুলান কই? নাকি ননএলিটদের পৃথিবীতে গনিতের নিয়ম ও অন্য রকম??????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।