যে ছেলেটির মুখে আজ হাসির ছোঁয়া নাই, সে ছেলেটির মুখে মোরা একটু হাসি চাই।
আমাকে মোটামুটি নতুনই বলতে পারেন ব্লগিংয়ে..আমি আসলে যখন যুদ্ধাপরাধী ইস্যু নিয়ে ব্লগিং চলছিল তখনই ব্লগিং এ আসতে সিদ্ধান্ত নিলাম। মুলত এ ইস্যুটি বাস্তবায়ন করা সরকারের পক্ষে আনুপাতিক হারে অন্যান্য ইস্যুর তুলনায় একটু কষ্টসাধ্যই হবেনা শুধু,বরং কোন এক পর্যায়ে তা রীতিমত অসম্ভব ও হতে পারে। আমার এই দাবির পেছনে নিছক মরহুম শেখ মজিব সাহেবের সাধারন ক্ষমা ঘোষনাই একমাত্র যুক্তি নয় বরং যাদের গায়ে আজ যুদ্ধাপরাধীর তকমা দেয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের কোন থানায় আজ পর্যন্ত একটা মামলা পর্যন্ত দায়ের করা সম্ভব হয়নি মুলত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত যৌক্তিক এবং গ্রহযোগ্য কোন প্রমান না থাকার কারনে। আর এ ইস্যুটি মুলত বাংলাদেশর মাটিতে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগেছেন তাদেরই দাবী অন্য কারো নয়।
নতুবা আমরা যদি আমাদের দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে চাই তাহলে একটি সেটেল্ড ইস্যুকে নিয়ে এত মাতামাতির কি আছে? এ ছাড়া তখনকার বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও চিন্তা বিভিন্ন মুখী থাকাটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু যারা স্বাধীনতার পর দেশের সার্বভৌমত্ব মেনে নিল এবং সে দেশের পতাকার সাথে একমত পোষন করলো তারা কিভাবে স্বাধীনতা বিরোধী হয় তা একটু প্রশ্ন সাপেক্ষই থেকে যায়। পাশাপাশি যারা সরকারের গুরুত্ব পূর্ণমন্ত্রনালয়ে যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সেই দেশেরই নাগরিকদের প্রসংশা কুড়ালো তারাই নাকি যুদ্ধাপরাধী? বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে প্রায় তিন থেকে চার কোটি মানুষ বিভিন্ন গনতান্ত্রিক ইসলামী দলের সাথে জড়িত এবং এদের দেয়া বিভিন্ন করের অংশ দেশের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী,সরকারের মন্ত্রী এমপিদের বেতন ভাতা দেয়া হয়ে থাকে এবং এর দ্বারা প্রমান হয় তারা রাষ্ট্রের অনুগত নাগরিক, তাহলে কিভাবে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীর! তকমা তাদের গায়ে লেপন করা সম্ভব? বরং আসল কথা হচ্ছে সারা বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও ইসলামী ব্যক্তিত্বদের চরিত্র হননের নিকৃষ্ট কৈৗশলেরই এটা একটা অংশ বিশেষ । সে কৈৗশল বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে ব্যাবহার হচ্ছে বাংলাদেশে সেটি যুদ্ধাপরাধ নামে আত্নপ্রকাশ করল হয়তো । সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আজ যাদেরকে যুদ্ধাপরাধী বলা হচ্ছে তারাই বাংলাদেশের ইতিহােস সবচেয়ে বেশি গনতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক।
তারা বাসে গানপাউডার ঢেলে নারী ও শিশু হত্যা করেনা,আজো সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিরীহ বাংলাদেশী কৃষক হত্যার প্রতিবাদ করে,তারা লগি বৈঠা দিয়ে রাজ পথে পৈশাচিক কায়দায় মানুষ হত্যা করে সে লাশের উপর উঠে উল্লাস নৃত্য প্রদর্শন করেনা,অপাশেন ক্লিনহার্ট আর RAB এর ক্রসফায়ারে পতিত হয়না। আজ একজন চরম মুক্তিযোদ্ধা ও যদি কোন ইসলামী দলের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে তিনি হয়ে যান চরম রাজাকার,যুদ্ধাপরাধী আর একজন সাচ্ছা রাজাকার যদি তথাকথিত ভাড়াটে ও সার্টিফিকেট সর্বস্ব মুক্তিযোদ্ধাদের দলে ভিড়েন তাহলে তিনি হয়ে যান একেবারে খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা এটাই যে আমার দেশের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।