আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল ও আন্তর্জাতিক আইন (যুদ্ধাপরাধ, ট্রাইবুনাল ও উপসংহার)

আমার নিক পদ্মলোচন করে দেওয়া হোক আগের পর্ব এই পর্বে আমার ইচ্ছা ছিলো ট্রাইবুনাল কিভাবে গঠিত হয় বা ট্রাইবুনাল কত ধরনের সে সব নিয়ে আলোচনা করার। সে অংশ শুরু করার আগে আমি কিছুটা পিছনে ফিরে যেতে চাই। একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধ কি? তাই ট্রাইবুনালে গঠন প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আগে এই পর্বে আমি আওন্তর্জাতিক আইনের আলোকে যুদ্ধাপরাধ কি সেটাই আলোচনা করবো। এই ব্যাপারটিও আমি চেষ্টা করব ট্রাইবুনাল ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইন দিয়েই সংজ্ঞায়িত করতে । এই জন্যে আমি বেছে নিয়েছি যুগস্লাভিয়ার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল, কারন এই ট্রাইবুনালটি সম্পুর্ন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নে হয়েছে এবং এই ট্রাইবুনালের যে ফলাফল তা এখনকার এবং ভবিষ্যতের যে কোন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালকে সমান ভাবেই প্রভাবিত করবে।

প্রশ্ন জাগতে পারে কিভাবে। আমাদের বাংলাদেশ কমন ল’ অনুসরন করে। কমন ল’তে একটি মতবাদ আছে “doctrine of binding precedent” নামে। এর সারসংক্ষেপ হচ্ছে, ১) উপরের আদালতের যে কোন সিদ্ধান্ত নিম্ন আদালতের জন্যে অবশ্যই পালনীয় ২) পূর্বের যে কোন মামলার ফলাফল পরবর্তী যে কোন মামলার ফলাফলের সময় অনুসরনীয়। অর্থাৎ আজকে সুপ্রিম কোর্ট কোন রায় দিলে তা হাইকোর্ট, জজকোর্ট ইত্যাদি মানতে বাধ্য।

দ্বিতীয়ত ধরা যাক আজকে রহিম করিমকে চাকু মেরে মেরে ফেলল এবং রায় হলো রহিমের ফাসি, এরপর ভবিষ্যতে যত মামলা আসবে চাকু দিয়ে হত্যার রায় হবে এই মামলার আলোকেই। যাই হোক আমরা ট্রাইবুনালে ফিরে যাই। সবার প্রথমেই আবারো আসে ন্যুরেমবার্গ ট্রাইবুনালের কথা। এই ট্রাইবুনালকে পথিকৃত ধরেই ট্রাইবুনাল অফ হেগ করা হয়েছিল। যাই হোক যুদ্ধাপরাধের মূল ধারনা হচ্ছে, একটি দেশ বা জাতির বা তাদের সামরিক বাহিনী দ্বারা সংগঠিত এমন অপরাধ যার জন্যে তাদেরকে দায়ী করা যায়।

এই অপরাধের আওতায় পরে গনহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ, সামরিক বা বেসামরিক জনগনের বিরুদ্ধে বেআইনি আচরন করা ইত্যাদি। জেনেভা কনভেনশনের Article 147 যুদ্ধাপরাধের সংজ্ঞা হিসাবে বলে: "Willful killing, torture or inhuman treatment, including... willfully causing great suffering or serious injury to body or health, unlawful deportation or transfer or unlawful confinement of a protected person, compelling a protected person to serve in the forces of a hostile power, or willfully depriving a protected person of the rights of fair and regular trial, ...taking of hostages and extensive destruction and appropriation of property, not justified by military necessity and carried out unlawfully and wantonly." অর্থাৎ ইচ্ছাকৃত হত্যা , অত্যাচার, অমানবিক ব্যাবহার, ইচ্ছাকৃত ভাবে ভোগান্তি বা শারীরিক ক্ষতি, বেআইনিভাবে কাউকে নির্বাসিত করা ইত্যাদি সবই যুদ্ধাপরাধ হিসাবে গন্য হবে। এখন আসুন দেখি হেগ ট্রায়ালে কি কি যুদ্ধাপরাধের আওয়ায় এসেছিলো। হেগ ট্রাইবুনালে বিচার চলাকালীন তারা নিজস্ব স্ট্যাটিউট বানিয়ে নিয়েছিলো। (এখানে বলে রাখা ভালো হেগ ট্রাইবুনাল গঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের রেজুল্যুশন ৮২৭ এর মাধ্যমে) আর্টিকেল – ৩ এ যেই সব অপরাধকে যুদ্ধাপরাধের অধীনে ধরা হয়েছিলো তা নিম্নরূপঃ • বিভিন্ন শহর, নগরী ও গ্রামে অবাধ ধ্বংসযজ্ঞ বা লুন্ঠন যা কোন ভাবেই মিলিটারী কার্যক্রম হিসাবে যাচাইযোগ্য না।

• অরক্ষিত গ্রাম নগরী ইত্যাদিতে অসমর্থিত বোমাবর্ষন বা আক্রমন • ধর্ম, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা, শিল্প কলা ও বিজ্ঞান চর্চার প্রতিষ্ঠান, ঐতিহাসিক মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভ, ঐতিহাসিক শিল্পকলা ধংস। • রাষ্ট্রীয় বা ব্যাক্তিগত সম্পদ লুন্ঠন। মানবতা বিরোধী অপরাধ বলতে এই কি বোঝায় তা বলতে গিয়ে এই ট্রাইবুনাল বলেন, যুদ্ধচলাকালীন যে কোন বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংগঠিত যে কোন অপরাধই মানবতা বিরোধী অপরাধ। এই ধরনের অপরাধের তালিকা দেওয়া হয়েছে আর্টিকেল – ৫ এ যা নিম্নরূপঃ • হত্যা • ধ্বংস • দ্বাসত্ব • নির্বাসন • কারারোধ • অত্যাচার • ধর্ষন • জাতিগত, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ভিত্তিতে অত্যাচার জেনোসাইডকে ট্রাইবুনাল কিভাবে সংজ্ঞায়িত করেন আসুন দেখি। হেগ ট্রাইবুনাল বলে “acts committed with intent to destroy, in whole or in part, a national, ethnical, racial or religious group” অর্থাৎ একটি জাতি বা ধর্মীয় কোন একটি সম্প্রদায়কে সম্পূর্ন বা আংশিক ধ্বংসের কল্পে করা যে কোন কাজই জেনোসাইডের আওতায় পড়বে।

২০০১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ট্রাইবুনাল এই মর্মে একটু রুলিং দেয় যে, যুদ্ধ চলাকালীন গনধর্ষন বা যৌন দাসত্ব একটি মানবা বিরোধী অপরাধ হিসাবে গন্য হবে। আগে ধর্ষন বা গন ধর্ষনকে যুদ্ধের প্রথাগত রীতি ভঙ্গ ধরা হত কিন্তু এখন এটিও জেনোসাইডের পরেই সবচেয়ে ঘৃণিত একটি অপরাধ। এখন আমি ট্রাইবুনাল কিভাবে গঠিত হয় সেই সম্পর্কে আলোচনায় যাবো। এইখানে আগে একটু ইতিহাস বলে নেওয়া ভালো। ১৭০০ সাল পর্যন্ত যুদ্ধবিজয়ী পক্ষ তাদের ইচ্ছা মত মৃত্যুদন্ড, নির্বাসন, দাসত্ব ইত্যাদি দিতে পারত।

তবে এরপরে ১৮০০ সালের দিকে এসে বন্দীত্ব, যুদ্ধ বন্দীদের সঠিক ভাবে সামলানোর উপায় হিসাবে স্বীকৃত হয় এবং মৃত্যুদন্ড সবচেয়ে গুরুতর ধরনের অপরাধের শাস্তি হিসাবে দেওয়া হয়। বর্তমান সময়ের যুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধের মূল ধারাই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে। ১৯৪২ সাল, মিত্র বাহিনীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় “ United Nations War Crimes Commission” । উদ্দেশ্য, যে সব জিনিস যুদ্ধের আইনকে ভঙ্গ করে সে সব নথিবদ্ধ করা। The Saint James Declaration of 1942, the Moscow and Potsdam Declarations of 194343, and the London Agreement of 1945, ইত্যাদি দেখে একটাই জিনিস আমাদের কাছে প্রতীয়মানই হয় যে, মিত্রবাহিনী যুদ্ধাপরাধীদের, যাদের অপরাধের মাত্রা মানবতার ইতিহাসে নজিরবিহীন, বিচারের জন্যে তাদের অবস্থানে অটল ছিলো।

এরপরে আসলো জেনেভা কনভেনশন, হেগ ট্রাইবুনাল ইত্যাদি। সাধারনত, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল ৫ রকমের হয়ে থাকে। Professor Glueck এদের নিম্নরূপে তালিকাভুক্ত করেছেনঃ • যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ দেশের সাধারন আদালত • অভিযুক্তের দেশের মিলিটারী বা সাধারন আদালত • মিলিটারী কমিশন বা অন্যান্য মিলিটারী কোর্ট • যৌথ বা মিশ্র আন্তর্জাতিক মিলিটারী ট্রাইবুনাল • শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্যে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক আদালত ক্ষতিগ্রস্থ দেশের অভ্যন্তরে সংঘঠিত যে কোন অপরাধের বিচার সেই দেশে করাটা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে, পূর্বে আলোচনাকৃত, টেরিটোরিয়াল জুডিসিয়ারির একটি ভালো উদাহরণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অনেক দেশই তাদের নিজস্ব আদালতের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচার করেছে। যেমন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড, হল্যান্ড।

দ্বিতীয় ধরনের ট্রাইবুনাল হলো যখন অভিযুক্তের দেশের আদালত তার দেশের কোন নাগরিকের অন্যদেশে করা যুদ্ধাপরাধের বিচার নিজের দেশের সাধারন বা মিলিটারী আদালতে করে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে প্যারিসে পিস কনফারেন্সে মিত্রবাহিনী ৮০০ জার্মানের বিচার দাবী করে কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে তা সম্ভব না হলেও জার্মান আদালত মিত্রবাহিনীর তালিকা থেকে ৪৫ বাছাই করে নিয়ে তাদের বিচার করে। এর আরো ভালো উদাহরণ হতে পারে মাই লাই ম্যাসাকার যেটা আমার আগের পর্বে ভূমিকাতেই বলা হয়েছে। তৃতীয় ধরনের ট্রাইবুনাল হচ্ছে মিলিটারী ট্রাইবুনাল, এই ধরনের ট্রাইবুনালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাবহার দেখতে পাওয়া যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। বৃটিশ, কানাডিয়ান, অস্ট্রেলীয়ান, ফ্রেঞ্চ, বেলজিয়াম আর্মি ১৪ই জুন ১৯৪৫ সালের Royal Charter এর মাধ্যমে মিলিটারী কোর্ট প্রতিষ্ঠা করে।

লুক্সেমবার্গ, ২ আগষ্ট ১৯৪৭ সালের আইনানুযায়ী সামরিক বেসামরিক, দুই ধরনের সদস্য নিয়েই ট্রাইবুনাল গঠন করে। যৌথ বা মিশ্র আন্তর্জাতিক মিলিটারি ট্রাইবুনাল দুই বা ততোধিক দেশের পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে গঠিত হয়। যেমন ন্যুরেম্বার্গ ইন্তারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইবুনাল ১৯৪৫ সালের London Agreement – এর মাধ্যমে ২৪ জন নাজীর বিচার করার জন্যে মিত্র বাহিনী গঠন করে। রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সবাই এই বিচারে সমভাবে অংশ গ্রহন করে। সর্বশেষ ধরনের আদালত হচ্ছে দুই বা ততোধিক দেশের স্বীকৃতিতে তৈরী হওয়া যুদ্ধপরাধের বিচারের জন্যে সৃষ্ট কোন আদালন।

যেমন ইন্ট্যারনাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট। উপরের ধরন গুলো আলোচনা করে যা বুঝা যাচ্ছে তাহলো, সবার প্রথমেই আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী আমরা আমাদের দেশেই বসে আমাদের ঘরোয়া আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারি। দ্বিতীয়টি আমাদের জন্যে খাটে না। যদি কোন দিন পাকিস্তান আমাদের হয়ে তাদের পিশাচ বাহিনীর বিচার করতে চায় সেদিন হয়ত আমাদের জন্যে এই ট্রাইবুনাল প্রযোজ্য হবে। তৃতীয় ধরনের ট্রাইবুনাল করলেও একই কথা হবে যে ট্রাইবুনাল আমাদের দেশে আমাদের সেনাবাহিনী করছে।

তারচেয়ে বরং “ বেসামরিক, অরাজনৈতিক আদালতই” ভালো। চতুর্থ ট্রাইবুনালের ক্ষেত্রে আবার বলা লাগে যদি কোনদিন পাকিস্তানের বিবেগ জাগ্রত হয় এবং তারা মনে করে যে ঘটনার বিচার হওয়া উচিত সে দিন হয়ত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান মিলে ট্রাইবুনাল করার স্বপ্ন দেখতে পারি তার আগে এই ট্রাইবুনালও আমাদের কাজের না। আর সর্বশেষ, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে কেন যাবো? আমাদের ট্রাইবুনালে কি কোন কমতি আছে? যথাযথ অধিকার সংরক্ষন করেই আমাদের ট্রাইবুনালে বিচার করা হচ্ছে (আমাদের ট্রাইবুনাল ও আইন নিয়ে পরে আলাদা পোস্ট আসবে)। তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে জাতিসংঘকে কে বুঝাবে যাতে করে এই সব মামলা কোর্টকে অর্পন করে? আই সি সি তে গেলে রোম স্ট্যাটিউট স্বাক্ষর করা লাগে, যা বাংলাদেশ ইতিমধ্যে করেছে। কিন্তু রোম স্ট্যাটিউটের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে, এটি ২০০২ এর আগের কোন যুদ্ধাপরাধ নিয়ে বিচার করে না।

আমাদের ট্রাইবুনাল , আইন, বিচার কার্যক্রম স্বাধীনতার পর থেকেই চলছে। তবে কেন আমরা আমাদের নিজের আদালত ছেড়ে, আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত নিজস্ব কোর্টের সুবিধা ছেড়ে এমন কিছুতে যাবো যা আমাদের পথ বন্ধুর করে? প্রথমেই যেমন বলেছি আবারো বলি, বিচার কই হচ্ছে সেটা ব্যাপার না। ব্যাপার হচ্ছে একটা দেশের বিচারের সদিচ্ছা আছে কিনা। পুরো লেখাটা লেখার সময় আমি নিজেকে একজন নিরপেক্ষ আইনবিদের জায়গায় দাড় করিয়েছি। পুরো লেখায় আমি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ কি, ট্রাইবুনালের আইনগত অধিকার কি, ট্রাইবুনাল কিভাবে গঠিত হয় সে সব আলোচনা করেছি।

নিরপেক্ষ দৃষ্টি কোন থেকে দেখলে আমার মতে কোথাও আমাদের ট্রাইবুনালে খুত নেই। আমাদের বুকের উপর জমে থাকা বোঝা এই বিচার। ৩০ লক্ষ ভাই হারানোর কষ্টের বোঝা, ২ লক্ষের বেশি মা বোনের ধর্ষিত হওয়ার বোঝা, বিজয়ের লগ্নে দেশের কৃতী সন্তানদের ধরে নিয়ে নির্বিচারে হত্যার বোঝা। পাহাড়সম এই বোঝা আমার, আপনার আমাদের সবার। আমাদের এই বোঝা ঝেড়ে ফেলার সময় হয়েছে, নিজেদের করা ভুলের প্রায়শ্চিৎএর সময় হয়েছে।

আজকে যদি শক্ত না হন, দলীয় আবেগের বাইরে না আসেন, তবে এর মাসুল দিতেই হবে। আমার সন্তান যদি কোন দিন আমাকে প্রশ্ন করে “ তোমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছে , বাবা তুমি কি করেছ?” এর উত্তরে বলতে চাই আমি রাজাকারদের বিচার করিয়ে সেই ঋণ শোধ করেছি। কলংক মোচন করেছি। Bibilography: Advisory Opinion on Reservations to the Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide ( 1951) I.C .J . 15 Law, War & Crime – Gerry J. Simpson Glueck, War Criminals: Their Prosecution and Punishment (1944) The Geneva Conventions of 12 August 1949 Law Reports of Trials of War Criminals (1947-49) Trials of War Criminals Before the Nuremberg Tribunals (1946-49) Branko Nikolic & Sandor Zavarko, WAR CRIMES BEFORE DOMESTIC COURTS ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.