বাঁশীর জগতে স্বাগতম। আসুন সুরের মুর্ছনায় নিজেকে বুঝতে শিখি
প্রাচীনকাল থেকে সংগীত এ দেশে প্রচলিত আছে। কখনও বাউলের কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে বাউল গান, মাঝির কন্ঠে অনুরণিত হয়েছে ভাটিয়ালী গান, আবার কখনও মৈষাল বন্ধুর দরাজ কন্ঠে গেয়ে উঠেছে ভাওয়াইয়া গান। কখনও বাউল আঙুল দিয়ে টংকার তুলছে একতারার তারে,কখনও আবার গলায়ঝুলানো দোতারায় টুং টাং তুলছে পল্লী গায়ক। লাউয়ের ঝংকারে কিংবা খমকের গুবাগুবাগুর ধ্বনি পরিবেশেকে করে তুলেছে সুরেলা।
আমাদের দেশে প্রতিটি মানুভষর মনেই যেন সুরে ভরা। আর তারই প্রতিফলন ঘটেছে এদেশের সংগীতে। এ দেশের সংগীত তাই আবহমানকালের সংগীত।
গত পর্বে বলেছি গীত, বাদ্য ও নৃত্য ।
গীত- কথা,সুর ও তালের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করাকে গীত বলে।
বাদ্য-সুর ও তালের মাধ্যমে যন্ত্রের সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশ করাকে বাদ্য বলে।
নৃত্যের- ছন্দ ও মুদ্রা সহযোগে সুললিত অংঙভংগীর দ্বারা ভাব প্রকাশ করাকে নৃত্য বলে।
গীত, বাদ্য ও নৃত্য এ তিনটিই পৃথক পৃথক কলা। সংগীত তিনটি কলারই সমাবেশ করা।
উপমহাদেশের সংগীতে দু'টি প্রধান পদ্ধতিতে বিভত্ত- ১।
হিন্দুস্থানী সংগীত পদ্ধতি এবং ২। কর্ণাটকী সংগীত পদ্ধতি।
হিন্দুস্থানী সংগীত পদ্ধতি সমস্ত উত্তর ভারতে এবং বাংলাদেশে প্রতলিত। আর কর্ণাটকী সংগীত পদ্ধতি মহীশূর, অন্ধ্র, মাদ্রাজ ও কর্ণাটক প্রভৃতি অন্চলে প্রচলিত।
সংগীত দুই প্রকার-
১।
মার্গ সংগীত
২। দেশী সংগীত
মার্গ সংগীতঃ মার্গ সংগীত হচ্ছে বিশেষ বিশেষ নিয়ম অনুসারে সেকল রাগ পরিবেশন করা হয় তাকে র্মাগ সংগীত ব্রলে। 'খ্রীস্টপূর্ব যুগে বৈদিকগান, সামগান, থেকে বিষয়বস্তু নিয়ে যে অভিজাত গানের সৃষ্টি হয় তাকে মার্গ গান বা মার্গ সংগীত বলে। বর্তমানে ক্লাসিক্যাল সংগীতকে মার্গ প্রকৃতিসম্পন্ন সংগীত বলা যেতে পারে।
দেশী সংগীতঃ যে সকল রাগ পরিবেশনে কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই এবং বিভিন্ন ঢং-এ বাজানো বা গীত হয় তাকে দেশী সংগীত বলে।
[চলবে...............]
Click This Link ক্লিক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।