বাঁশীর জগতে স্বাগতম। আসুন সুরের মুর্ছনায় নিজেকে বুঝতে শিখি
গত পর্বে নাদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ নাদের বৈশিষ্ট্য বিস্তারিত আলোচনা করবো-
ক) রূপভেদ (Magnitude)- নাদের ছোট ও বড় হওয়াকে রূপকভেদ বলে। মৃদুস্বর অর্থাৎ যে শব্দ খুব কাছে থেকেই শোনা যায় তাকে ছোট নাদ এবং য়ে শব্দ বহুদূর থেকেও শোনা যায় তাকে বড় নাদ বলা হয়।
খ) জাতিভেদ (Timbre)- নাদের গুণকে জাতিভেদ নাদ বলে।
নাদ শুনলেই বোঝা যায় যে, সে নাদ মানুষের কন্ঠ থেকে নিঃস্বত হচ্ছে, না বাদ্যয্ন্ত্র থেকে আসছে। অর্থাৎ কন্ঠ হতে সৃষ্ট নাদ আর যন্ত্র হতে সৃষ্ট নাদ পৃথক হয় যা নাদের 'জাতিভেদ' বলে পরিচিত।
গ) স্থানভেদ (Pitch)- নাদের উচ্চতা ও নিম্নতাভেদকে বুঝায় অর্থাৎ স্বর আরোহণমুখী হলে উঁচু হয় এবং অবহরণমুখী হলে নীচু হয়। নাদের উচ্চতা ওনিম্নতা নির্ভর করে স্বরের উঠা নামার উপর। একটি স্বর থেকে অপরটি যখন উঁচু হয় তখন তাকে উচ্চ নাদ এবং নীচু হলে তাকে নিম্ন নাদ বলে।
ঘ) বিরামভেদ (Timbre Prolongation or Pause)- নাদের স্থায়িত্ব স্থিতি সম্পর্কে অবগত হওয়া - যেমন এক, দই অথবা তিন মাত্রা অনুযায়ী কতক্ষণ থামতে হবে তা মাত্রা দ্বারা বোঝা যায়।
আহত নাদ দুই প্রকার -
বর্ণাত্নাকঃ কন্ঠ দ্বারা গান গাওয়া, আবৃত্তি করা, বই পাঠ করাকে বর্ণাত্নক নাদ বলে।
ধ্বন্যাত্নকঃ কোনো বস্তুর দ্বারা অন্য কোনো বস্তুর উপর আঘাত করলে যে নাদের উৎপন্ন হয় তাকে ধ্বনাত্নক নাদ বলে।
চলবে......
আগামী পর্বে যা থাকবে শ্রতি, স্বর
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।