আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুঁড়ো দুধ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি মহ

একটি মহল পরিকল্পিতভাবে গুঁড়ো দুধ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। নিউজিল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত গুঁড়ো দুধ ফন্টেরায় কোনো ধরনের ক্ষতিকারক ভাইরাস নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই কর্তৃপক্ষও এ ধরনের কোনো কিছু পায়নি। অথচ একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের দুধ শিল্প ধ্বংস করতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। নিউজিল্যান্ড ও আমেরিকার ল্যাবরেটরিতেও ১৯৫ ধরনের পীরক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো ক্ষতিকারক ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ মেলেনি। ফন্টেরা গুঁড়ো দুধ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজউদ্দীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ফন্টেরার জন্য নির্দিষ্টভাবে তারা কিছু করছেন না। এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বিএসটিআই ব্যবস্থা নিচ্ছে। ফন্টেরার উৎপাদিত দুধ মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে নেই। বাংলাদেশের প্রধান গুঁড়ো দুধ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফন্টেরা থেকে দুধ আমদানি করায় দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া গুঁড়া দুধ নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ফন্টেরার আমদানি করা সর্বশেষ প্রায় ৬০০ টন দুধ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। বিএসটিআই এতে কোনো ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়ার অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি বলে জানা গেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট চাহিদার ২০ ভাগ দুধ দেশের উৎপাদন হচ্ছে। আর বাকি ৮০ ভাগ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এ জন্য শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে কয়েকটি কারখানা গড়ে উঠেছে। এ শিল্পের লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কারখানার মালিকরা গুঁড়া দুধ আমদানি করে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করে আসছে। বহু বছর ধরে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা নিউজিল্যান্ড থেকে ফন্টেরা নামে গুঁড়া দুধ আমদানি করে বাজারজাত করে আসছে। কখনই এ ধরনের কোনো অভিযোগ ওঠেনি। সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী ঈর্ষান্বিত হয়ে ফন্টেরার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ফন্টেরা বিশ্বের ৩০ শতাংশ দুগ্ধজাত পণ্য রপ্তানি করে থাকে।

নিউজিল্যান্ড মিনিস্ট্রি অব প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজের এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৮ আগস্ট জানানো হয়েছে, সে দেশের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত এ দুধে ক্ষতিকর কোনো ব্যাকটিরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আমেরিকা ও নিউজিল্যান্ডের ল্যাবরেটরিতে ১৯৫ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে বিভিন্ন দেশের আমদানিকারকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.