অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন বিদায়ী মহাজোট সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ নবম জাতীয় সংসদের ৫০ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। দুদকের বোর্ডসভায় সাবেক সরকারের অতি ক্ষমতাধর এসব ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে এসব সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দেন তাতে গত পাঁচ বছরে তাদের সম্পদ অবিশ্বাস্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকৃত হয়। সংবাদ মাধ্যমে অবিশ্বাস্য হারে সম্পদ বৃদ্ধির খবর প্রকাশিত হলে তা জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। প্রশ্ন ওঠে নিজেদের দেওয়া তথ্যউপাত্তে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা তাদের সম্পদ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার স্বীকৃতি দিয়েছেন_ বাস্তবে হয়তো বৃদ্ধির পরিমাণ আরও বেশি। সংশ্লিষ্টরা কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন এবং তারা অঘোষিত কোনো সম্পদের মালিক কিনা তা নিয়েও তদন্তের দাবি ওঠে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী ৭ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের অবৈধ সম্পদের বিষয় দুদক তদন্ত করবে। মন্ত্রিসভা গঠনে অবিশ্বাস্য হারে যারা সম্পদের মালিক হয়েছেন কিংবা যাদের দুর্নীতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ছিল তাদের দূরে রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর নড়েচড়ে উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের বোর্ডসভায় সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ৫০ সংসদ সদস্যকে তাদের অর্জিত সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত সে ইঙ্গিতই বহন করছে। দুদক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ নবম সংসদের যে ৫০ সংসদ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের অনেকের সম্পদ মাত্র পাঁচ বছরে শতগুণ বা আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে তাদের কেউ কেউ যে আরব্য উপন্যাসের থিফ অব বাগদাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তা তাদের সম্পদ বৃদ্ধির চিত্রেই স্পষ্ট হওয়া যায়। আমরা আশা করব দুদক তাদের তৎপরতা শুধু জিজ্ঞাসাবাদেই সীমাবদ্ধ রাখবে না। এটি যাতে শেষ পর্যন্ত আইওয়াস বলে সমালোচিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে। দুদকের সুনামের স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের কেউ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে অবৈধ পথের আশ্রয় নিলে আইনকে তার স্বাভাবিক পথে চলার সুযোগ দিতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।