সংলাপ চাইলে বিএনপিকে জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা দিতে হবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতিকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যাচার করেছে বিএনপি নেতা বেগম খালেদা জিয়া এমন অভিযোগ করে শাসক দলের নেতারা বলেছেন, সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য মিথ্যা তথ্যে ভরপুর। গতকাল বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় আলোচনায় প্রস্তুত। বিএনপি নেতা যদি জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ এবং ধ্বংসাত্দক কর্মসূচি ছাড়ার ঘোষণা দেন, তবে অর্থবহ সংলাপ হতে পারে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজ আমরা আশা করেছিলাম সাবেক বিরোধী নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জামায়াত সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা দেবেন। কিন্তু তিনি সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সরকার এবং সরকারি দলের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করে তার অপকর্ম ঢাকতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ সন্ধ্যায় রাজধানীর টিসিবি ভবনের কার্যালয়ে অভিযোগ করে বলেন, জাতিকে বিভ্রান্ত করতে বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করছেন। তার বক্তব্য মিথ্যা তথ্যে ভরপুর। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য হয়েছে। আমরা চেয়েছি বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু তারা নির্বাচনে না এসে ধ্বংসাত্দক নৈরাজ্য করেছে।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) গণতন্ত্র চাননি। তিনি চেয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের দিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে। সন্ত্রাস করে কখনো গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে আসুন। সন্ত্রাস নৈরাজ্য পরিহার করলে, জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে এলে আলোচনা হবে। খালেদা জিয়া হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে চান মন্তব্য করে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। আর এ জন্যই হয়তো তিনি হরতাল-অবরোধের মতো নৈরাজ্যমূলক কর্মসূচি দেননি। বিএনপি নেতাদের মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা যদি সন্ত্রাসের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হয়, তবে সরকার কীভাবে তাদের মুক্তি দেবে। তাদের মুক্তি পেতে হলে আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।