বিজ্ঞানী শিমুল আমি সিলেটের লোক হওয়ায় শাহবাগ যেতে পারিনি। শাহবাগের কিছু ইমেজ ও ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। তাতেই বোঝা গেছে জাতি আজ কি চায়। সবার প্রাণের দাবী একটাই, যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই। আমারও প্রাণের দাবী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই।
আজ সারাটা দিন আমার মনটা খুব খারাপ ছিল। মনে হচ্ছিল আমি কি যেন একটা কাজ করতেছিনা। কি যেন মিস করতেছি। যাহোক, দুপুরবেলা টিউশনি শেষ করে আমি থিয়েটারের ফ্লোরের দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু, মনটা কেন যেন থমকে গেল।
আমি আমার বন্ধুর মেসে আসলাম। বন্ধু বলল, চল শহীদ মিনারে যাই। তখনই মনে হল আমি এই কাজটিই মিস করছিলাম।
চলে আসলাম আরেক শাহবাগ মোড়ে। এটা সিলেটের শাহবাগ মোড় (চৌহাঁটটা পয়েন্ট)।
আজ শাহবাগে মানুষ যেমন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছিল, তেমনি সিলেটের এই শাহবাগে মোড়ে সবাই এসেছে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবী নিয়ে। আমি ভাবতে পারিনি এলাকাটা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। বিশাল এক জনসমুদ্র। সেখানটা বিভিন্ন ব্যানার আর জাগরণের গানে মুখরিত ছিল। একটি ব্যানারের কিছু অংশ তুলে ধরছি।
“ও খালেদা, ও হাসিনা
এদেশ নিয়ে আর খেলিসনা।
ঝঁগড়া-ঝাঁটি করিসনা।
রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে
রাজনীতি করিসনা।
দেশদ্রোহীদের সঙ্গে নিলে
পড়বি মানুষের রোষানলে।
বিচার নিয়ে জনগণ
মানবেনা কোন প্রহসন।
”
আরও বিভিন্ন শ্লোগানে সারা চৌহাঁটটা পয়েন্ট মুখরিত। সত্যিই আজকের তরুণ প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। সারাদিনের মন খারাপ ভাবটা তখন চলে গেল।
আমার একটাই কথা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই। আমি একজন মুসলমান, তাই বলে কি আমি এক ধর্ষককে মাফ করে দিব? আমি মুসলমান, তাই বলে কি খুনিদের ছেড়ে দেব, মানবতা বিরোধী অপরাধীদের ছেড়ে দিব? না, না, না, কখনো না।
শেষে নজরুলের একটা কবিতার পংত্তির কিছু অংশ পরিবর্তন করে বলি,
“রাজাকার তুই বাংলা ছাড়বি কিনা বল?/
কিলের চোটে হাড় করিব জল। ”
আসুন একটা কৌতুক শোনা যাক। আমার সম্পূর্ণ লেখায় দোষ থাকতে পারে। কিন্তু, দয়া করে কেউ কৌতুকটায় দোষ খুঁজতে আসবেননা। মনে চাইলে একটু হাসুন।
এক ওয়াজ মাহফিলের সময় এক লোক হুজুরের কাছে দোয়া চেয়েচিলেন, “আল্লাহ যেন তাহাকে পুত্র সন্তান দান করেন। ” হুজুর মাহফিলের সবাইকে নিয়ে দোয়া করলেন, “হে, আল্লাহ, তুমি এই ব্যক্তির মনের আশা পুরণ করো। তাকে পুত্র সন্তান দান করো। ”
পরের বছর ওয়াজ মাহফিলে হুজুর পুনরায় আসলেন। তখন সেই লোকটি হুজুরের কাছে গিয়ে বলল, “হুজুর এই পর্যন্ত আমার কোন সন্তান হয়নি।
” হুজুর চিন্তা করলেন, “আমার দোয়া নাহয় কবুল হলোনা। কিন্তু, অন্তত মাহফিলের এক জনের হলেও দোয়া কবুল হত। ”
অনেক চিন্তা ভাবনার পর হুজুর জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি বিয়ে করেছ?”
লোকটি বলল, “না, আমি বিয়ে করিনি। ”
হুজুর হাসতে হাসতে বললেন, “তুমি বিয়েই করনি! তাহলে তোমার সন্তান হবে কিভাবে? আর আমাদের দোয়াই কাজ হবে কিভাবে?”
সাথে সাথে ওয়াজ মাহফিলে হাসির রোল পড়ে গেল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।