শাহবাগের মোমের আলো
বুকের ভেতর মশাল হয়ে জ্বলতে থাকে দাউ-দাউ-দাউ
শুনতে কি পাও?
সবার চোখ গোলার মতন জ্বলছে এখন
ধোঁয়া-র ভীষণ কুন্ডলীতে সবার ক্রোধ উড়ছে এখন
চোখ মেললেই আগুন দেখি, আগুন পাখি উড়ছে মাতাল
চোখ বুঁজলে বিস্ফোরিত বারুদ পাচ্ছি নাকে
এখান-সেখান স্ফুলিংগরা নাচছে ঝড়ের বেগে
আমরা এখন আছি শাহবাগে।
তখন মধ্যদুপুর, রোদে ঝলসায় জল্লাদ-দের হাসি
প্রহসনের বিচার হালো, হাতছাড়া কসাই-এর ফাঁসী।
ফুঁসে ওঠে রাজপথ, তুমি কি তার আওয়াজ শুনতে পাও?
সমস্বরে বলেছিলাম- “আমায় না হয় ফাঁসী দিয়ে দাও”।
কিন্তু এবার লড়বো বলে ঠিক জুটেছি মরণ নেশায়
জুটেছে লোক হাজার হাজার ধর্ম-বর্ণ, নানান পেশায়।
একটা দাবী আজ আমাদের-‘রাজাকার ঝোলাতে হবে’।
শুয়োরের পাল নাক নামিয়ে পাপীস্থানে ফিরে যাবে।
প্রহসনের বিচার নয়, আর নয় জারজের হাঁসি
মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে চাই প্রতি রাজাকারের ফাঁসী।
এক দফা, এক দাবী; আমরা আছি জেগে
রাজাকারের বধ্যভূমি গড়বো শাহবাগে।
ব্যানারে লিখেছি শব্দ- ‘ফাঁসী, ফাঁসী, ফাঁসী’।
পোস্টারে লিখেছি দাবী- ‘ফাঁসী, ফাঁসী, ফাঁসী’।
মোমের আলো হাতে বুকেতে মশাল জ্বেলে
গেয়েছি প্রাণের গান-
“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”।
বিক্ষোভে ফেটেছে রাস্তা, পাগলও হুঁশে ফিরে আসে
রাজাকার ছাড়া আজ সব্বাই দেশ ভালোবাসে।
দলে দলে লোক আসে কিন্তু কোন দলাদলী নাই
একের অন্ন ভাগে খাই আমরা সব রাতজাগা ভাই।
বর্জ্রমুষ্টি উর্দ্ধপানে, স্লোগানে কাঁপাই রাজপথ
‘ফাঁসী দিয়েই ফিরবো’- এই বলে নিয়েছি শপথ।
আগুনে এঁকেছি দেশ, মানচিত্র জ্বলজ্বল করে
রাত হলে শুয়ে পড়ি মোমগলা রাস্তার উপরে।
ক্ষুধা নেই, তৃষ্ণা নেই; জেগে আছে পুরো শাহবাগ
প্রজন্ম লড়ছে আজ, চোখে মুখে ঘৃণা-দুঃখ-রাগ। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।