যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
[*আজকের গেসবলটা তুলনামূলকভাবে সহজ, তাও কেউ যদি না জেনে থাকেন, তাঁদের জন্য।
**ছবি একটা দিতে চাইছিলাম,অজ্ঞাত কারণে পারতেছিনা (মডুগনের গোচরীভূত করিতাম চাই )]
আফগান মাত্রেই তালিবান নয়, এটা আমরা সবাই কমবেশী বুঝি। তবে তালিবান শাসনামলে আফগানিস্তানের অবস্থা এমন হয়েছিলো, যে রাস্তায় যে কারো ছবি তুলে নিয়ে গিয়ে "তালিবান" বলে ছবিটাকে চালিয়ে দেয়া যেত। অলস টাইপের পত্রিকা ফটোগ্রাফারদের জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ হতে পারতো, তবে সেজন্য যে সাহসটা দরকার তা আবার আলসে লোকদের থাকার কথা না।
সাধারণ আফগান আর তালিবানদের মাঝে এই বিশেষ যোগসূত্রমূলক ভ্রম তৈরীর পেছনে আফগানী জোব্বা, পাগড়ীর পাশেও যে জিনিসটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলো, তা হলো, ইয়া লম্বা তালিবানী দাড়ি ।
কথা হলো, সেই আমলে যে কোন আফগানী, তালিবান সমর্থক হোক না হোক, নাস্তিক হোক আর আস্তিকই হোক, নামাজী হোক বা বেনামাজীই হোক -- সবার গালে ঝুলতো সেই বিশাল তালিবানী দাড়ি।
কারণ অবশ্যই ছিলো, কারণ, মহান তালিবান শাসকেরা সেটা পুরুষের জন্য বাধ্যতামূলক করেছিলেন, কাজেই যতই চুলকাক, যতই জুস/স্যুপ খেতে গিয়ে বা চা গিলতে গিয়ে দাড়িতে মাখামাখি হয়ে যাক, সেসব সহ্য করে নিজেকে সাচ্চা মুসলিম হিসেবে রাস্তায় উপস্থাপনের জন্য বেচারারা দাড়ি রাখতই। এটাই ছিলো আফগান পুরুষদের সেসময় দাড়ি রাখার প্রধান কারণ -- সেটা অবশ্য আমরা সবাই বুঝিও।
তবে আফগান পুরুষদের কারো কারো এই লম্বা দাড়ি রাখার পেছনে আরো একটি কারণ কাজ করত। সেটা সম্পর্কে আপাততঃ কোন আলোচনা করছিনা, হিন্টসও দিচ্ছিনা।
কারণ, আপনাকে গেস করে বের করতে হবে,
এই আরেকটি কারণ কি ছিলো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।