যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
গরম পানীয়, যেমন চা, কফি, গ্রীণ টি, ওলং চা -- এসব পান করার সময় সাধারণ স্বচ্ছ কাঁচের গ্লাস/কাপের চেয়ে চীনামাটির কাপ বেশী পছন্দনীয়; একটা কারণ সম্ভবতঃ অনেকক্ষেত্রেই সাধারণ কাঁচ খুব পুরু না হলে গরম পানীয়ের কারণে ফেটে যায়।
ছবিতে যে তিন ধরনের চীনামাটির কাপ দেখতে পাচ্ছেন, এগুলোর যে কোনটা দিয়ে চা/কফি খাওয়া যায়, হয়ত। তারপরও, (১) চা , (২) কফি এবং (৩)গ্রীনটি/ওলং চা খাবার জন্য এই তিন ধরনের পাত্র পৃথক পৃথকভাবে ব্যবহার করা হয়। বলতে পারবেন, কোন কাপটা কোন ধরনের পানীয় পানে ব্যবহৃত হয়?
নাহ, এটা আজকের গেসবল না। এটার উত্তর আমরা কমবেশী সবাই জানি।
বাঁয়ের হাতলওলা গভীর কাপটা হলো কফিকাপ, মাঝের মুখটা বেশ ছড়ানো স্টাইলিশ কাপটা হলো চায়ের কাপ আর ডানের হাতলছাড়া পানির গ্লাসের মতো কাপজোড়া হলো গ্রীণটি/ওলংচা'র জন্য।
আজকের গেসবলটা চায়ের কাপ নিয়ে:
চায়ের কাপের উপরের অংশটা, অর্থাৎ মুখটা, নীচের অংশের তুলনায় অনেক প্রশস্ত থাকে। এটা চায়ের কাপের ট্র্যাডিশন। উৎপত্তিস্থল, অবশ্যই গোঁড়া চা-পায়ীদের দেশ বৃটেন।
আপনাকে গেস করতে হবে,
চায়ের কাপের এই ট্র্যাডিশনটা আসলো কি কারণে?
চলুক তাহলে অসাধারণ সব গেস।
উত্তর:
উত্তর হলো কাপের চা সুন্দর দেখানোর জন্যে।
লালরঙের চায়ে সুর্য্যের আলো যত বেশী সারফেসে পড়বে, কাপের চা তত সুন্দর দেখাবে ...
অনেক সংস্কৃতিতেই খাদ্যের স্বাদের ধারনাটা শুধু জিহবার স্বস্তি না, চোখের স্বস্তিও দাবী করে ...
সূর্য্যের আলো চায়ের সারফেসে পড়লে, চায়ের সারফেস কাপের ভেতরের দেয়ালের সাথে যে বৃত্ত তৈরী করে, সেটাকে গোল একটা উজ্জ্বল রিংয়ের মতো দেখায়-- এটাকে বলাঘতো গোল্ডেন রিং ... জমিদারী চিন্তাভাবনা আর কি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।