বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেওয়া আদেশ সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, আইন মোতাবেক আদেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশ যদি আইনানুগ না হতো, নিশ্চয় তাঁরা এ ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করতেন। কোনোরকম চ্যালেঞ্জ হয়নি। সুতরাং যেসব কথা রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বলা হচ্ছে, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মাহবুবে আলম।
এ সময় সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। এসব প্রশ্নের উত্তরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আসামিদের আদালতের এখতিয়ারে আনা তাঁর দায়িত্ব। আদালত সে দায়িত্বটা পালন করেছেন মাত্র।
তারেক রহমান পলাতক কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, আদালত যখন কারও বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন, তিনি হাজির না হলে তখন তো পলাতকই।
এ কারণে তারেক রহমানের জন্য এখানে কোনো আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি। কারণ, পলাতক ব্যক্তির জন্য কোনো আইনজীবী দাঁড়াতে পারেন না।
ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ইন্টারপোলকে অনুরোধ করা হবে। ইন্টারপোল কীভাবে পদক্ষেপ নেয়, উনি (তারেক রহমান) কীভাবে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন, সেটা নির্ভর করছে পরবর্তী বিষয়গুলোর ওপর। ’
তারেক রহমান লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন—এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মাহবুবে আলম বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয় ব্রিটিশ সরকার গ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা তাদের বিষয়।
তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনতে জটিলতা হবে কি না, জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমি এ কথা বলতে পারি, ব্রিটিশ সরকারের অনুরোধে আমরা এ দেশ থেকে আসামিকে গ্রেট ব্রিটেনে পাঠিয়েছিলাম। আমরা আশা করব, আমাদের অনুরোধেও তারা কোনো আসামিকে ফেরত পাঠাবে। ’
এ ব্যাপারে (বন্দিবিনিময়) চুক্তি না থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আসামিদের আদালতের এখতিয়ারে আনা আদালতের দায়িত্ব। আদালত সেই দায়িত্বটা পালন করেছেন মাত্র।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও যখন আমাদের অনুরোধ করেছিল আসামিকে ফেরত পাঠানোর জন্য, আমরা পাঠিয়েছি।
আমরা সেটাকে অনার করেছি। আমরা সেটাই আশা করি তাঁরাও পাঠাবেন। ’
এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান, আসামিকে ফেরত পাঠানোর কাজটা সহজসাধ্য কি না? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটা বলা যাবে না। এটা সহজসাধ্য, না সহজসাধ্য নয়, তা নির্ভর করবে ইন্টারপোলের কার্যক্রম ও তারা কী পদক্ষেপ নেয়, তার ওপর।
সার্বিকভাবে তারেক রহমানের অবস্থান জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তারেক রহমান চিকিত্সার জন্য ইংল্যান্ডে যান।
সে সময়কার সরকার তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেয়। মুক্তি দেওয়ার পর সে আদেশ বিভিন্ন সময়ে বাড়ানো হয়। কিন্তু মানি লন্ডারিং মামলার কার্যক্রম যখন শুরু হয়, তখন রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, প্যারোল যেটা ছিল, সরকার আর তা বাড়াবে না। এটাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এতে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য প্রথমে তাঁকে (তারেক রহমান) নোটিশ দেওয়া হয়।
হাজির না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে তাঁর প্রতি পরোয়ানা জারি করা হয়। তারেক রহমানের আইনজীবীরা বলেছেন, তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মাহবুবে আলম বলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে নেওয়া জামিন যদি কার্যকর থাকে, তাহলে অবশ্যই ওনারা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে নিম্ন আদালতের পরোয়ানা জারির বিরুদ্ধে আপত্তি দিতেন। কাজেই এগুলো ঠিক কথা নয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।