বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল। এই মুখটি সভ্যতার অহংকার।
বুদ্ধ আমার কাছে মমতাময়তার প্রতীক।
অপার করুনার আধার তিনি। সভ্যতাকে মানবিক করতে হলে যে করুণা অনিবার্য। আমি মানবীয় আচরণে বুদ্ধত্ব খুঁজি। কি পশ্চিমে কি প্রাচ্যে। কি অতীতে কি বর্তমানে।
নিজের ভিতরেও করুণার কণা না পেলেও নিজেকে ভয়ানক তিরস্কার করি। পশ্চিমে তাকিয়ে দেখি এক নাইটেঙ্গেল পাখি। ওঁর জীবন পাঠ করে ওঁকেই আমার ইউরোপের বুদ্ধ মনে হল।
উইলিয়াম নাইটেঙ্গেল অভ এমব্লি পার্ক ছিলেন ইংল্যান্ডের একজন ধনাঢ্য অভিজাত। এমব্লি পার্কটা ইংল্যান্ড হ্যাম্পশায়ার।
ওখানকারই অভিজাত বংশের সন্তান উইলিয়াম নাইটেঙ্গেল। স্ত্রী ফ্যানি নাইটেঙ্গেল।
১৮২০। নাইটেঙ্গেল দম্পতি তখন ইতালি ভ্রমনরত। ছিলেন ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে।
১২ মে। তাদের এক কন্যা ভূমিষ্ট হল। নাম রাখা হলল ফ্লোরেন্স শহরের নামে।
মজার কথা কি জানেন- এদের অন্য একটি মেয়ে হয়েছিল ইটালির নেপলস শহরে। ওর নামও রাখা হল নেপলস।
যা হোক। ফ্লোরেন্স আর নেপলস জন্মাবার পর নাইটেঙ্গেল দম্পতি ইংল্যান্ডে ফিরে এলেন।
২
এক্ষণে নাইটেঙ্গেল দম্পতির ভাবাদর্শ বর্ননা করি।
উইলিয়াম নাইটেঙ্গেল ছিলেন ইউনিটারিয়ান।
Unitarianism as a theology is the belief in the single personality of God, in contrast to the doctrine of the Trinity (three persons in one God). It is the philosophy upon which the modern Unitarian movement was based, and, according to its proponents, is the original form of Christianity.
ফ্যানি নাইটেঙ্গেলও ছিলেন এক কট্টর Unitarianism পরিবারের মেয়ে।
উইলিয়াম নাইটেঙ্গেল আবার ছিলেন হুইগ। হুইগরা ছিল উদার। তারা ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার চাইত।
দাসবিরোধী আন্দোলনে যুক্তও হয়েছিলেন উইলিয়াম নাইটেঙ্গেল।
৩
ইউলিয়াম নাইটেঙ্গেল কন্যাকে অনুপ্রাণিত করে থাকবেন।
ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল-এর
জীবনীকাররা সেকথা বলেওছেন: As a child, Florence was very close to her father, who, without a son, treated her as his friend and companion. He took responsibility for her education and taught her Greek, Latin, French, German, Italian, history, philosophy and mathematics.
মেয়েরা বড় হলে নাইটেঙ্গেল দম্পতি মেয়েদের নিয়ে ইউরোপ বেড়াতে বেরুলেন।
সে সময় হাসপাতালে রুগ্ন মানুষের করুন জীবন দেখে কিশোরী ফ্লোরেন্স কী যেন ভাবলন। (বুদ্ধও কৈশরে মৃত্যু ও বার্ধক্য দেখে কী যেন ভেবেছিল। )
৪
নাইটেঙ্গেল দম্পতির কী সুখ কী সুখ।
ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারের এমব্লি পার্কে মধ্যযুগীয় বিশাল প্রাসাদ।
সময় পেলেই ট্যুরে বেরুচ্ছেন।
এবার সুখের সংসারে লাগল অশান্তির ঢেউ।
ফ্লোরেন্সের বয়স তখন ১৭। ভিতরে কেমন একটা ঐশ্বরিক প্রেরণা বোধ করল কিশোরী। তা ছাড়া ইউরোপ ভ্রমনের সময় হাসপাতালে রুগ্ন মানুষের করুন জীবন দেখেছিল।
অসুস্থ মানুষের সেবা করে কাটালে কেমন হয়?
ওদিকে ফ্যানি নাইটেঙ্গেল মেয়ের বিয়ের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। লর্ড হাওটনস পাত্র হিসেবে ভালো। সে প্রস্তাব দিয়েছে। ঘন ঘন তাগিদ দিচ্ছে। মেয়েকে সে কথা বলতে মেয়ে বলল, আমি বিয়ে করব না মা!
তা হলে?
তা হলে আর কীং
ফ্যানি নাইটেঙ্গেল কী বলবেন।
মন খারাপ হল ফ্যানি নাইটেঙ্গেল-এর। মেয়েকে বোঝা যাচ্ছে না। খালি হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আরও আরও প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল ফ্লোরেন্স।
সপ্তাতে তিন দিন লন্ডনের হাসপাতালে হাসপাতালে ঘোরে।
অসুস্থ্য মানুষ দেখেন বুদ্ধ। বলে যে আমি আসছি। প্রদীপ হাতে।
পরে ওকে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিলেন মার্কিন কবি হেনরি ওয়ার্ডওয়াথ লংফেলো।
A Lady with a Lamp shall stand
In the great history of the land,
A noble type of good,
Heroic womanhood
৫
ফ্লোরেন্সের বয়স এখন ২৫।
মা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। শান্তস্বরে ও বলল, আমি বিয়ে করব না।
মানে?
আমি ঠিক করেছি আমি নার্স হব মা।
কী! ফ্যানি নাইটেঙ্গেল মূর্চ্ছা যায় আর কী।
গম্ভীর স্বরে বললেন বিশিষ্ট উদারপন্থি হুইগ উইলিয়াম নাইটেঙ্গেল, নাসিং তো শ্রমজীবি নারীর পেশা?
তো? বুদ্ধ অটল।
বিশিষ্ট উদারপন্থি হুইগ Unitarian উইলিয়াম নাইটেঙ্গেল আর কী বলবেন। যে সময়টার কথা আমি লিখছি। সেই সময়ে কার্ল মাকর্স বাস করতেন লন্ডন শহরে। তিনি “পবিত্র পরিবার” নামে একটি বই লিখেছিলেন। সে বইয়ে তিনি লিখেছেন-মানুষ মানুষের সাহায্য করতে চায় ঠিকই।
বাধা দেয় শ্রেণিস্বার্থ।
৬
লন্ডন। সেন্ট বার্থেলোমো হাসপাতাল। এলিজাবেথ ব্ল্যাকওয়েল ছিলেন ওই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। এলিজাবেথ ব্ল্যাকওয়েলই প্রথম নারী যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসক হিসেবে কোয়ালিফাই করেছিলেন।
সময়টা উনিশ শতকের মাঝামাঝি। বুঝতেই পারছেন সহজে হয়নি। এঁর সম্বন্ধে আরও জানতে হলে-
Click This Link
এলিজাবেথ ব্ল্যাকওয়েলে সঙ্গে পরিচয় হল নাইটেঙ্গেল-এর।
এলিজাবেথ ব্ল্যাকওয়েল একটি প্রদীপে আগুন জ্বালালেন মাত্র।
(এভাবে আমরা উনিশ শতকের ইউরোপেরে নারীপ্রগতির ইতিবৃত্তটিও জানছি তাহলে?)
১৮৫১।
উইলিয়াম নাইটেঙ্গেল মেয়েকে সেবিকা পেশায় যাওয়ার অনুমতি দিলেন।
আলোকিত নারীটি গৃহত্যাগ করলেন।
বুদ্ধও গৃহত্যাগ করেছিলেন।
৭
ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল-এর বয়স এখন ৩১।
জার্মানি যাত্রা করলেন।
জায়গাটার নাম কাইজাররেথ। ওখানেই একটা ইনসটিটিউটে চলল সেবিকা ট্রেনিং।
৮
২ বছর পর।
লন্ডনের হার্লি স্ট্রিটে ছিল পঙ্গু নারীদের জন্য একটা হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে রেসিডেন্ট সুপারিনটেন্ডের পদে যোগ দিলেন নাইটেঙ্গেল।
৯
১৮৫৩। মার্চ। রাশিয়া আক্রমন করে বসল তুরস্ক। ব্রিটেন ও ফ্রান্স তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠল। তারা তুরস্ককে সসৈন্য সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিল।
ঘোর য্দ্ধু বাধল।
ঐ যুদ্ধটাই ইতিহাসে ক্রিমিয় যুদ্ধ নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ সৈন্যরা ছিল তুরস্কে। তারা যেমন রণক্ষেত্রে আহত হল-তেমনি আক্রান্ত হল কলেরায়, ম্যালেরিয়ায় । কয়েক সপ্তাহে প্রায় ৮০০০ সৈন্য কলেরা বা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হল।
১০
এবার আরেকজন ক্যারিবিয় বুদ্ধের কথা বলি।
এই ক্যারিবিয় বুদ্ধের নাম ম্যারি সিকোলি। জন্ম ১৮০৫। জ্যামাইকার কিংসটনে। বাবা ছিলেন স্কটিশ অর্মি অফিসার।
ম্যারি সিকোলির মা ছিলেন জ্যামাইকান কৃষ্ণাঙ্গ নারী। তার একটা বোর্ডিং স্কুল ছিল। কিংসটনে। অসুস্থ্য রোগীর সেবা করতেন সেই কৃষ্ণাঙ্গ নারীটি। ভেষজচিকিৎসা জানতেন।
আফ্রিকা থেকে যে সব দাস আসত, তাদের কাছ থেকে শিখেছিলেন ভেষজবিদ্যা। এভাবে ম্যারি সিকোলিও অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছিলেন ভেষজবিদ্যায়।
সংবাদ পত্রের মারফত ম্যারি সিকোলি জানতে পারলেন তুরস্কে কলেরা আক্রান্ত ব্রিটিশ সৈন্যদের করুণ অবস্থার কথা।
ম্যারি সিকোলি লন্ডন এলেন।
ব্রিটিশ আর্মিকে বললেন: আমি টার্কি যেতে চাই।
কেন? প্রশ্নটা ছিল কর্কস।
আমি কলেরা আক্রান্ত ব্রিটিশ সৈন্যদের সেবা করতে চাই।
মেয়েরা করবে দূরদেশে গিয়ে সেবা। থুঃ। ব্রিটিশ আর্মি অফিসার নাক সিটকালেন।
ম্যারি সিকোলিকে প্রত্যাখান করা হল।
ওদিকে লন্ডনের দি টাইম পত্রিকা লিখল যে তরস্কের রণাঙ্গনে পর্যাপ্ত পরিচর্যার অভাবে অনেক সৈন্য মারা যাচ্ছে।
সারা ইংল্যান্ড জুড়ে হইচই পড়ে গেল। পাবলিক গেল ক্ষেপ ।
সরকার সিদ্ধান্ত পালটাতে বাধ্য হলেন।
তুরস্কে ৩৮ জন নার্স গেল।
সেই দলে ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল ছিলেন।
তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না বলে ম্যারি সিকোলি অনুমতি দেওয়া হয়নি। একে ভেষজ চিকিৎসক। তার ওপর নারী।
তার ওপর অর্ধ-কৃষ্ণকায়।
(আমরা ১৯ শতকের নারী আন্দোলন প্রত্যক্ষ করছি। )
১১
ইস্তানবুল শহরের মধ্যেই উসকুদার নামে একটি জায়গা আছে। আর্মি হাসপাতালটি সেখানেই। সেই হাসপাতালে ঢুকে শিউরে উঠলেন ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল।
সে কী ভয়াবহ অবস্থা। হাসপাতালের ফ্লোরে সৈন্যরা পড়ে আছে। তোষক নাই, সৈন্যদের পরনে ছেঁড়া ময়লা ধুলিমলিন ইউনিফরম। কদ্দিন গোছল হয়নি। অপরিস্কার।
৬ জনের মধ্যে একজন মরছে ক্ষত নিয়ে। প্রায় সবারই ডিসেন্ট্রি। কলেরা। বমি করছে। পেট ব্যথায় কাতরাচ্ছে।
আর খাবার যা দেওয়া হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের।
ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল। তীব্র সমালোচনা করলেন সামরিক কর্তৃপক্ষের।
Military officers and doctors objected to Nightingale's views on reforming military hospitals. They interpreted her comments as an attack on their professionalism and she was made to feel unwelcome. Nightingale received very little help from the military until she used her contacts at The Times to report details of the way that the British Army treated its wounded soldiers. John Delane, the editor of newspaper took up her cause, and after a great deal of publicity, Nightingale was given the task of organizing the barracks hospital after the battle of Inkerman and by improving the quality of the sanitation she was able to dramatically reduce the death-rate of her patients.
১২
১৮৫৬। ইংল্যান্ড ফিরলেন ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল।
জাতীয় বীর। তাকে ঘিরে সবার কৌতূহল। সুযোগটা নিলেন। She had been deeply shocked by the lack of hygiene and elementary care that the men received in the British Army. Nightingale therefore decided to begin a campaign to improve the quality of of nursing in military hospitals. In October, 1856, she had a long interview with Queen Victoria and Prince Albert and the following year gave evidence to the 1857 Sanitary Commission. This eventually resulted in the formation of the Army Medical College.
১৩
She also became involved in the training of nurses for employment in the workhouses that had been established as a result of the 1834 Poor Law Amendment Act.
দুটো বই লিখলেন। Notes on Hospital (1859) and Notes on Nursing (1859).
নার্সিং-এর উন্নতিকল্পে ৫৯,০০০ পাউন্ড জমালেন।
সাহায্য করল ধনী বন্ধুরা ও টাইমস পত্রিকার জন ডালেন।
১৮৬০। ঐ টাকায় সেন্ট টমাস হাসপাতালে নাইটেঙ্গেল স্কুল অ্যান্ড হোম ফর নার্সেস স্থাপন করলেন। বাবার কথা মনে পড়ছিল হয়তো।
১৪
ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল আমৃত্যু ছিলেন নারী অধিকারে স্বোচ্চার।
বই লিখেছেন। নাম:Suggestions for Thought to Searchers after Religious Truths (1859) পেশা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নারী যে সব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় সে সব নিয়েই লিখলেন। জন স্টয়ার্ট মিল। বিশিষ্ট ব্রিটিশ চিন্তাবিদ। বইটি পড়েছিলেন।
ভালো লেগেছিল। উজ্জীবিত হয়ে ১৮৬৯ সালে মিল লিখলেন, “দি সাবজেকশন অভ উইমেন। ”
১৮৬৪। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট the Contagious Diseases Act. পাশ করে।
এর ফলে পুলিশ বন্দর ও সৈন্যশিবির থেকে যৌনকর্মীদের আটক করতে পারবে অসুখবিসুখ পরীক্ষা করার জন্য।
তীব্র প্রতিবাদ করলেন বুদ্ধ।
পিছন থেকে কাজ করতেন ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল আইন পরিবর্তনের জন্য।
১৫
প্রত্যেকেরই সীমাব্দতা থাকে।
নারীদের জনসমক্ষে ভাষণ না-পছন্দ ছিলফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল-এর।
আর, কী কারনে যেন নারী ডাক্তারের পক্ষে সরব হননি।
(বুদ্ধও প্রথম প্রথম নারীসংঘ আপত্তি করেছিলেন। )
তৎকালীন প্রখ্যাত নারীনেত্রী ছিলেন এলিজাবেথ গ্যারেট অ্যান্ডারসন। তিনি এ কারণে ক্ষুব্দ ছিলেন নাইটেঙ্গেল-এর ওপর। ক্ষুব্দ ছিলেন সোফিয়া জেক্স ব্লেকও। ইনিও ছিলেন নারী অধিকারের এক উচ্চকিত কন্ঠস্বর।
ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল বিশ্বাস করতেন যে- ডাক্তারের বদলে অনেক ট্রেইন্ড নার্স দরকার ।
যা হোক। পরিসংখ্যান নিয়ে বিস্তর ভেবেছিলেন ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল। বলেছিলেন,To understand God's thoughts we must study statistics, for these are the measure of his purpose.
১৬
শেষ জীবনে স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়েছিল। একেবারে।
১৮৯৫। অন্ধ হয়ে গেলেন!
অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও বিকল হয়ে যাচ্ছিল। এভাবে আরও ১৫ বছর বাঁচলেন। সম্পূর্ন পঙ্গু।
মৃত্যু ১৩ আগস্ট।
১৯১০।
১৭
কিন্তু, ক্যারিবিয় বুদ্ধ ম্যারি সিকোলির কী হয়েছিল?
মনে থাকার কথা, তিনি সৈন্যদের সেবা করতে তুরস্কে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে প্রত্যাখান করা হয়। দেখতে কালো ছিলেন। নারী।
যা হোক। নিজের পয়সায় তুরস্ক গেলেন। ইস্তানবুলে হোটেল খুললেন। ব্রিটিশ সৈন্যদের জলখাবার বিক্রি করতেন। লাভের টাকায় সৈন্যদের চিকিৎসা সেবা করতেন।
কখনও রণক্ষেত্রে গিয়ে সেবা করতেন সিকোলি। অথচ,ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলরা
সেবা করত রণক্ষেত্র থেকে দূরের হাসপাতালে।
শুধু ব্রিটিশ সৈন্য না- যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দুপক্ষকেই সেবা করতে দেখা গেছে সিকোলিকে।
যুদ্ধের পর ১৮৫৬ সালে লন্ডন ফিরলেন সিকোলি। ইচ্ছে ছিল ভারতে আসবেন নার্স হিসেবে।
পয়সার অভাবে হয়নি।
১৪ মে। ১৮৮১। ম্যারি সিকোলি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। লন্ডনে।
ম্যারি সিকোলির সম্বন্ধে লিখতে লিখতে আমার একটা গান মনে পড়ে গেল-
কারা যেন ভালোবেসে আলো জ্বেলে ছিল
সূর্যের আলো তাই নিভে গিয়েছিল।
তথ্যনির্দেশ:
"Florence Nightingale." Microsoft® Student 2008 [DVD]. Redmond, WA: Microsoft Corporation, 2007.
Microsoft ® Encarta ® 2008. © 1993-2007 Microsoft Corporation. All rights reserved.
এবং
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।