বাঙ্গালি একাই একশ হতে পারে। কিন্তু একশ বাঙালি কখনও এক হতে পারে না...... মাহাবুব আলম আমি ইউরোপের একটি দেশে দেখেছি যে ওই দেশে বুয়া, চাকর-বাকর, কাজের লোক বলে কোন শব্দ নেই। বা থাকলেও সাধারণত ওই শব্দগুলো ব্যাবহার করা হয়না। তারা সবাইকে কে সমান সম্মান দিতে চেষ্টা করে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা দিয়েও থাকে। আমি নিজে দেখেছি , রেস্তুর্যান্ত এর মালিক আর ওই রেস্তুর্যান্ত এ যারা কাজ করে ( যে রান্না করে, যে ময়লা পরিষ্কার করে, যে বাথরুম পরিষ্কার করে, যে দারয়ানগিরি করে ) এক সাথে এক টেবিল এ বসে একই... খাবার , সম পরিমাণে খায়।
সবাই সমান। কারো অধিকার কারো চেয়ে কম নয়।
ইউরোপ এ কিছুদিন থাকার কারণে এরকম আরও অনেক কিছু চোখে পরেছে।
আমার প্রশ্ন হলঃ
ইউরোপিয়ানদের এতো টাকা-পয়সা, তাদের দেশেও তো গরীব আছে, তারাও তো কাজের লোক রাখে কিন্তু তারাতো কাজের লোকদের কে অসম্মান করেনা, তাদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেয়না।
আর আমরা , আমরা বাঙ্গালীরা ?
আমরা আর কতইবা ধনী ?
আমরা পৃথিবীর একটা গরীব দেশ আর আমাদের কতো অহংকার।
আমরা মানুষকে মানুষ বলে মনে করিনা, বাসার কাজের লোক কে যার যেভাবে খুশি অপমান করি।
কিছু পশু আছে যারা তাদেরকে ভালো করে খেতেও দেয়না, শারীরিক অত্যাচার করে।
তাছাড়া আমাদের দেশে ৮০ % এর বেশীই মুসলিম। ইসলাম ধর্মে তো সবাইকে সমান অধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
আপনারাই বলুন, বহিবিশ্ব কি আমাদের ধর্মকে নিয়ে খারাপ ভাবেনা ?
আমরাই তো আমদেরকে ছোট করছি।
নিজেরদেরকেও ছোট করছি, নিজের দেশকেও ছোট করছি আর নিজের ধর্মকেও কিছুটা হলেও ছোট করছি।
আমরা তো অনেকেই আছি যারা দেশের জন্য কিছু করতে চাই কিন্তু কি দিয়ে শুরু করবো তাই বুঝতে পারিনা।
আসুন, আমরা আমাদের পরিবার থেকে শুরু করি, বাসার সবাইকে সমান সম্মান দেই, হোক না সে আপনার বাসায় কাজ করে। আপনার বাসায় কাজের লোক এর ছোট ছেলে-মেয়ে থাকলে তাকে স্কুল এ ভর্তি করিয়ে দিন, যাদের সাহায্যের দরকার তাদের জন্য এগিয়ে আসুন।
আমাদের এ জীবন খনিকের জন্য, নিজের জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলুন আর আপনার আশেপাশের মানুষ জনকেও একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।