জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মওদুদীবাদী জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের ওরফে কসাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় গতকাল ইয়াওমুছ ছুলাছায়ি বা মঙ্গলবার ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হয় ২০১০ সালে। পরে ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনে। ২০১২ সালের মে মাসে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। শুরুতে এই মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-১-এ বিচারাধীন ছিল।
পরে তা ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
ছয় অভিযোগ :
১. পল্লব হত্যা : মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
২. কবি মেহেরুননিসা হত্যা : ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ কবি মেহেরুননিসা, তার মা ও দুই ভাইকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাসায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায়ও কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
৩. সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব হত্যা : ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ বিকেলে আরামবাগ থেকে সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের বাসস্ট্যান্ডে গেলে তাকে ধরে জল্লাদখানা পাম্প হাউজে নিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
৪. ঘাটার চরে শতাধিক মানুষ হত্যা : ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শতাধিক নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কাদের মোল্লাকে অভিযুক্ত করা হয়।
৫. মিরপুরে ৩৪৪ জনের বেশি মানুষ হত্যা : ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাদের একটি হেলিকপ্টার মিরপুরের আলুপদি গ্রামের পূর্ব দিকে নামে।
সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে ৩৪৪ জনের বেশি মানুষ হত্যা করা হয়। এ ঘটনায়ও কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
৬. হজরত আলী হত্যা : ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুরের ১২ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর কালাপানি লেনে হজরত আলীর বাসায় ঢুকে হজরত আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই সাথে তার স্ত্রী আমিনা ও দুই মেয়ে খাদিজা ও তাহমিনা, দুই বছরের ছেলে বাবুকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায়ও কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।