এইসব ভালো লাগে...
শৈশবের কত সোনাঝরা দিন পড়িতেছে আজ মনে
যত সব স্মৃতি লুকাইয়া ছিল মনের গহীন কোণে
হিজলের বনে আজো কি তেমনই ডাহুক পাখিরা ডাকে?
পানকৌড়ির দ ল ভাসিয়া উঠে কি বেতনা নদীর বাঁকে?
গাঁয়ের শেষেতে একাকী দাঁড়িয়ে তালগাছটা কি আজও আছে?
বেনু বন কি ঝড়ো হাওয়ায় শনশন সুরে আজও বাজে?
মনে পড়ে যায় সেই কালবোশেখী ঝড়ের রাতের কথা
কতরাতই-না-শুনেছি-গল্প দাদীর কোলেতে রাখিয়া মাথা
ভাইবোন মিলে উল্লাস করি কুড়ায়েছি কত আম
কে কোথা আজ? কি জানি হয়তো ভুলেও গিয়াছে নাম!
কিংবা সেই চৈত্রের দিনে ঘুড়ি উড়ানোর মহোৎসব
কোথায় হারিয়ে গ্যাছে বন্ধুরা? কেনই বা আজ নীরব সব?
বর্ষার দিনে ঘরে রহিতাম বাইরে যাবার ি ছল বারণ
ঠাণ্ডা লাগবে-এ ধারনাই এই নিষেধের ছিল কারণ!
তবুও আমি ফাঁক পাইলেই ছুটিতাম ছিপ-বড়শি হাতে
ছোট-খাটো রুই,
গোটা দুই কই,
কখনো বাঁধিয়া যাইতো তাতে!
শীতের দিনেতে খেজুর-রস আর মুড়ি দিয়ে হতো দিন শুরু
গুরুমশাইয়ের রাশভারী মুখ ভাবিতেই বুকে দুরু দু রু!
কুয়াশা ভেদিয়া, দল বাঁধিয়া যাইতাম মোরা পাঠশালা
ছুটি হলে পর, ফিরিবার কালে, খেলিতাম কত শত খেলা
রাত্রি নামিলে জোনাক পোকারা মিটি মিটি করি দিত আলো
বিজলী বাতির রোশনাই থেকে সে আলো তবুও ছিল ভালো
ঈদের আগের চাঁনরাতে ছিল হাসির ফোয়ারা, খুশির ঢেউ
লুকানো হইতো নতুন জামাটা, পাছে-দেখে-লয়-যদি-কেউ!
মায়ের হাতের ব্যঞ্জনের স্বাদ মুখে হায় আজো লেগে আছে
ভেজালের যুগে মোটা চাল খেয়ে কোনমতে আজ প্রাণ বাঁচে!
মহাকালের করাল গ্রাসে কোথা হারালো সে ছেলেবেলা
মানসপটেতে স্মৃতিরা শুধুই সাদাকালো রঙে করে খেলা
আমার কাছে শৈশব এক আলো ঝলমলে রোদেলা দুপুর
শৈশব তাই প্রেরণা আমার, পুরনো বীণায় নতুন সুর!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।