আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ............
আমরা মনে করে থাকি, আমাদের দেশের সরকারি পোস্ট অফিসের সেবার মান খুবই খারাপ। হয়ত, সেবার মান আসলেই কাঙ্খিত মাত্রার নয়।
ডাকঘর কর্মীদের অসততাও এর সাথে জড়িত। তবে বাইরের দেশের পোস্ট অফিসের সেবার মানও যে একেবারে আদর্শ তা কিন্তু নয়। কারণ, আমার ক্ষেত্রেই ঘটে গেছে
একটি বিড়ম্বনার ঘটনা।
আমার যুক্ত্রারাষ্ট্র প্রবাসী বড় আপা গত আগস্ট মাসে ইউনাইটেট স্টেটস পোস্টাল সার্ভিস(আমেরিকার সরকারি পোস্টাল সার্ভিস) এর মাধ্যমে আমার বাসার ঠিকানায়
কিছু ছবি(ভাগ্নের) পোস্ট করেন। সাধারনত, ৩ সপ্তাহের মধ্যে চিঠি পাওয়ার কথা। কিন্তু দেড়মাস পরেও আমার নামে কোন চিঠি না আসায়, মিরপুর পোস্ট অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে যাই। ওখানে গেলে বলা হয় পরদিন সকাল ১০টার ভিতর এসে খোঁজ নিতে। পরদিন সকালে আবার গিয়ে আমাদের এলাকার পোস্টম্যানের সহায়তায় অনেক খুঁজেও কোন চিঠি পেলাম না আমার ঠিকানায়।
হতাশ হয়ে আপাকে জানালাম চিঠি না আসার কথা। আপা ওখানকার পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করলে ওরা জানায়- ওই চিঠি ওরা বাংলাদেশে জিপিও তে পৌছে দিয়েছে। ওদের আর কোন দায় দায়িত্ব নাই। পরে আমি আবার জিপিও তে গিয়ে অনুসন্ধান করলাম। ফলাফল একই।
অবিলিকৃত চিঠির মধ্যেও নাই আমার কাঙ্খিত চিঠিটা।
ভাবলাম-মোটা খাম দেখে হয়ত খুলে দেখেছে পোস্ট অফিসের লোকজন এবং গায়েব করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে অবশ্য আমাদের ডাক বিভাগের একটু ভাল সুনাম আছে!
পরে আপা অন্য ঠিকানায় আবার ছবিগুলা প্রিন্ট করে পাঠাইছে, সেগুলো অবশ্য যথাসমইয় পাওয়া গেছে।
গতকাল দুপুরে আমাকে হতবাক করে দিয়ে পোস্টম্যান হাজির সেই প্রায় আড়াই মাস আগে পোস্ট করা চিঠি নিয়ে। পোস্টম্যান বলে গতকাল মিরপুর পোস্ট অফিসে এসে পৌচেছে আমার এই চিঠি।
আমি বললাম- আমি অভিযোগ করবো ডাক বিভাগের নামে। উনি বললেন-সেটা আপনার ইচ্ছা। যাইহোক, পরে খামখুলতে যাওয়ার আগে সব ছিল-ছাপ্পড় দেখছিলাম,
দেখি খামের উপর সিলমারা বার্বাডোজ পোস্ট অফিসের-বড় করে লেখা"MISSENT TO BARBADOS"। কাহিনী বুঝতে পারছেন? বাংলাদেশের চিঠি ওরা পাঠাইছে ক্যারিবিয়ান দেশ বার্বাডোজ এ। বার্বাডোজ পোস্ট অফিস দয়া দেখাইয়া সেই চিঠি আবার বাংলাদেশে পাঠাইছে।
এর মধ্যে লেগে গেছে ৭০-৭২ দিনের চক্কর। বুঝলাম, আমেরিকান পোস্ট অফিসে চিঠি কান্ট্রিওয়াইজ সর্টিং করার সময় ভুলটা হইছে। বড়-বড় করে লেখা বাংলাদেশ কি করে বার্বাডোজ হয়ে যায়? নাকি বাংলাদেশ কোথায় ওরা জানেনা?
পুনশ্চঃ গতকাল ভাইয়ার কাছে শুনলাম DHL ও নাকি এরকম ভুল করে মাঝে মধ্যে। বেশ কদিন আগে ওনাদের অফিসের একটি ডকুমেন্ট আসছিলো আস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে। ঢাকার সেই চিঠি পরে নাকি পাওয়া গেছে সেনেগালের ডাকার এ! ঢাকা হয়ে গেছে ডাকার।
যদিও DHL এর অনলাইন ট্রাকিং থাকায় চিঠি খুঁজে পেতে সমস্যা হয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।