অত্যন্ত মন খারাপ নিয়ে লেখা
সাত দিন পর ঢাকায় ফিরে ভেবেছিলাম নতুন কিছু পোস্ট দিব- কিন্তু গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর এর একটি ঘটনায় আমি পরোপরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়লাম। সাইকিয়াট্রিতে একটি শব্দ আছে যাকে বলে ভেন্টিলেশন- এর মাধ্যমে মনের দুঃখ কষ্ট যুক্ত আবেগ যে কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার তীব্রতা কমতে থাকে। তাই ব্লগে সংক্ষেপে লিখছি।
গতকাল ডাকায় ফিরে টায়ার্ড হয়ে শুয়ে পড়েছিলাম - হঠাৎ রাত সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল বেজে উঠল- আমার ভাতিজা ফোন করেছ- "ছোটন চাচা একটু বাইরে আস"- আমরা সব ভায়েরা এক বিল্ডিং এই থাকি- বাইরে আসতেই শুনি আমার এক ভাই (চারুকলার শিক্ষক শিল্পী জামাল আহমেদ)এর ড্রাইভার নাকি গুলশানে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে। সবাই হাসপাতালে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এমন সময় খবর এলো ড্র্ইভার বেলাল আর নেই।
গুলশানে এক বাসায় কিছু জিনিস/ছবি পৌছিয়ে দিতে যাচ্ছিল সে- আমার ভায়ের গাড়িতে- ভাই দেশের বাইরে- সাথে ভায়ের একজন কর্মচারী। এমন সময় আরেকটি গাড়ি তাদের মৃদু ধাক্কা দেয়- বেলাল উত্তেজিত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে বাকবিতন্ডা করার সময় পাশ দিয়ে আরেকটি ভারী যান(বাস/ মিনিবাস) তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। সংগে থাকা কর্মচারিটি তাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে যেতেই আমাদের বাসায় খবর দেয়- এর পর - খবর পাই বেলাল নেই। বেলালের আরেক আপন ভাই সেও আমার এক বোনের গাড়ি চালায়।
ঈদের ছুটিতে তার আজই দেশে যাবার কথা- তার ৩ সপ্তাহ বয়সী বাচ্চার জন্য অনেক উপহার তাকে দেয়া হয়েছে আমাদের প্রায় যৌথ পরিবারের সবার তরফ থেকে।
দেশে সে গের ঠিকই কিন্তু লাশ হয়ে। সেঅনেকটা আমাদের পরিবারের সদস্যদের মতই ছিল। আমরা তো বটেই দেশের বরেণ্য সব চিত্র শিল্পীগণ বেলালকে স্নেহ করতেন। আমার পুত্রকে স্কুল থেকে বাসায় নিযে আসবার পরে সে সবসময় হ্যান্ডশেক করতো আমার ছয় বছরের ছেলেটির সাথে।
এরপর সারারাত- হাসপাতাল-থানা-মর্গ মেষে আজ দুপুর ২টায় তার মরদেহ বাড়িতে পাছঠয়ে দেয়া হয়েছে।
বেলাল ছিল হাসিখুশি- সকলের স্নেহভাজন। বেলালের বিদেহী আত্মা পারলৌকিক শান্তি পাক ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।