(নৈশব্দের মৃতপ্রায় একজন নৃপতি,অনুপ;এমনই কোনো একদিন আমিও আসলে মারা গিয়েছিলাম,
এখন মূলত বহন করে চলছি পচনগন্ধ্যা দেহ।)
নির্ভার থাকো কবি,নিজের অভ্যন্তরীণ বাক্যবাণে আশ্বাস নিয়ে,
একা হয়ে আরো ধারণ করে নিও তোমার সমাজ,
পৃষ্ঠপোষকতাহীন প্রতাপহীন সম্রাটের ভূমিকায় আবির্ভুত হও!
এমত নাগরিক আচ্ছাদন,
তবুও সমুদ্রের উপকূলে যে জলের আয়না,
তার তীরে দাড়িয়ে কিন্তু কর্তব্যহীন তুমি আনমনে
পায়ের তলার ইটটিকে নিয়ে করোনি নাগরিক খেলা...
হারজিত নাকি সমস্ত খেলারই অলিখিত নিয়ম,
যে নিয়মে কি হারিয়েছে জানবে শুধু সম্রাট,জানেনাই তার রাজ্য,বিষাদবর্গ।
প্রজাহীন তবুও প্রজাপতিময় কোনো সংগীতের সুষম ব্যবচ্ছেদে!
ভবিষ্যত দেখি,হয়তো একদিন উত্তেজিত তুমি,
তাড়াহূড়ো করেও জন্মনিরোধকের প্যাকেট যখন খুলছে না আর,
সর্বপ্রকার নিয়ন্ত্রণ তখন কোন প্রেমিকার কাছে বাধা হয়ে থাকবে বলো?
আমিও এরিস্টোফেনিসের মত ব্যাঙ্গভরা চোখে একদিন দেখে নেব তোমার চোখ,
ঈষৎ মৃত্যুময় ছায়া এসে জানালার শার্সিতে চোখ ঠারে,
ওপাশের জানালায় এসে একটি সবুজ,একটি সবুজ জোনাক মূলত নিভে যায়।
যেমন করে নিভৃতে একদিন নিভে যাবে সমস্ত প্রেমের ব্যার্থ আগুন।
তুমি কি অব্যর্থ নও,
আমিও কি ব্যার্থ নই।
ভেবে দ্যাখো,অর্ধমৃত পাখিটির আহত ডানাটি তার কাছে একটি বোঝা ছাড়া অন্যকিছু নয়,
তবুও সমস্ত শেয়াল চেটেপুটে খেয়ে গেলে
আমি আর তুমি এসে একদিন পৃথিবীতে এসে
সংক্রান্তির নিয়মমাফিক কুড়িয়ে নিয়ে যাব সেই পাখিটির সমস্ত পালক!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।