দু'চোখে আকাশ আর ডানায় আগুন... আরো আরো কতো উড়া বাকি....।
মাধ্যমিকের আগে বন্ধুদের সাথে খুব একটা বেশি আড্ডা দেয়া হতোনা। কোচিং-এর আগে-পরে স্যারদের বাসার সামনে কিছুক্ষণ গল্পগুজব চলতো। ঘরেই কাটতো বেশি সময়। খুব একটা বন্ধুও ছিলনা।
মাধ্যমিক শেষ। শুরু হলো আমার রঙিন সময়। বাড়তে লাগলো বন্ধুর সংখ্যা, বাড়তে লাগলো আড্ডা। কি যে মধুর এই আড্ডা! সকাল-বিকাল নিয়মিত। পারমানেন্ট প্লেস।
প্রতিদিন দুইবেলা। সকাল ১১টা থেকে ১টা-২টা, আবার ৫টা থেকে ৮টা-৯টা। মাত্র সিগারেট খাওয়া শিখেছি। চায়ের দোকানের চিপায় গিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খেতাম। একজন একটা ধরালে সাথে সাথে দুই-তিনজন বুকিং দিয়ে দিত।
একবার এক সিনিয়ার ভাইদের হাতে পানিসমেন্ট খেলাম সিগেরেট খাবার জন্য।
কলেজে ভর্তি হলাম। নতুন আরো বন্ধু হলো। কো-এডুকেশন। কি মজা! মেয়েদের সাথে একসাথে ক্লাশ! প্রথম দিনই সব বুকড।
২য় দিন সব জোড়ায় -জোড়ায় ঘুড়ে বেড়ায়। বান্ধবী ভাগ্য আর হলোনা। কোচিং-এ ভর্তি হলাম। একটা মেয়েকে পছন্দ হলো। কিন্তু সাহস করে এগুতে পারলাম না।
ইন্টার শেষ। আড্ডার কোন শেষ নেই। গলির মোরের সেই আড্ডা এখনো চোখে ভাসে। কতো বিষয়ে যে তর্ক চলতো তার হিসেব নেই।
বিবিএ এডমিশন নিলাম।
আমার লাইফের গোল্ডেন পার্ট। এই সময় একটু মেচুইরিটি এসেছে। একটা বান্ধবি জুটে গেল। অঞ্জন দত্তের গান ভাল লাগতে শুরু করল...।
"তুমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতোনা
তুমি না থাকলে মেঘ করে যেত বৃষ্টি হতোনা...।
"
রঙীন সময়টা হু..হু.. করে ছুটতে লাগলো। সকাল সকাল লাইব্রেরী গিয়ে বসে থাকতাম। কিসের লাইব্রেরী ওয়ার্ক! গল্প করেই সময় কেটে যেত। যা হবার, বন্ধুদের সাথে আড্ডাটা অনিয়মিত হয়ে গেল...।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।