যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
রমজান সংযমের মাস। আমরা খাঁটি বাঙালি, সবসময় আমরা উল্টো পথের পথিক, তাই রমজান এলেই সবার সংযম বেড়ে যায় এমনই যে সারা বছরের ১১ মাসের তুলনায় এই মাসের জন্য প্রতিটি পরিবারের বরাদ্দই আলাদ। পাক্কা তিনমাসের বাজেট নেমে যায় এই এক মাসে ।
সংযম বলে কথা !!! আমরা বরাবরই যার যে কাজ সেটা ছাড়া বাকি সব কিছুতেই ওস্তাদ, তাই এই বেলাতেও তাই, সংযম ছাড়া বাকি সবই করি এই মাসে ।
রমজান এলেই শুরু হয়ে যায় পালা করে ইফতার পার্টি । সারাদিনের সংযম সাধনের পর খালি পেটে খাওয়া শুরু হয় তাই তেলেভাজা পিয়াজু-বেগুনি-নানারকম বড়ার খুবই সুস্বাধু খাবার এরপর সারাবছর সব বাঙালি গেস্টিক বাধিয়ে উৎপন্ন করি গ্যাস, যেন সাংগুর গ্যাস শেষ হলেও এই গ্যাস শেষ যেন না হয় তারই পাকা বন্দোবস্ত !! সব আজিব কারবার । সে যাই হোক ।
যেহেতু রমজান মাস, তাই রোজা রাখি না রাখি কয়েক হালি ইফতার পার্টির দাওয়াত বরাদ্দ হয় প্রতিবছর ।
ভোজ রসিক বাঙালি আবার দাবি যে রোজা না রাখলেও নাকি ইফতার করা সুন্নত (আমার জানা নেই তবে সংশয় আছে এটা আসলে সুন্নত কিনা??) । আজ একটা দাওয়াত ছিল ইফতারের , বলা বাহুল্য যে উপায়ন্তর না দেখে মুখ কালো করে একটা পাঞ্জাবী গায়ে চড়িয়ে বউয়ের সাথে ইফতারীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । গন্তব্য গলফ ক্লাব আর জায়গাটা ক্যান্টনমেন্টে । এমনিতেই এই সব নানা বাহিনীর কিচির মিচির আমার ভালো লাগে না , পারত পক্ষে এইসব এলাকায় যাই না, এই চিড়িয়াখানা ভালো লাগে না । কখন কোথায় কোন নিয়ম ভঙগ হয় এই ভয় !!! জাহাঙ্গীর গেটে গাড়ী থামল আমি মোবাইলে কথা বলছিলাম এক এমপি খুব বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল কোথায় যাবেন, আমি গ্লাস নামি ঠিকানা বল্লাম তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে দিলেন আর বলল বনানী দিয়ে ঢুকতে ।
আমি কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলল ড্রাইভার আর আমাকে বলল স্যার আপনি মোবাইলে কথা বলছেন তো তাই সেটা পচ্ছন্দ হয়নি এই এমপির , তাই সে অযথাই গাড়ি ঘুরিয়ে দিলো, আমি পুরা ব্যাকল হয়ে গেলাম । আইন যেন নিজের ইচ্ছা , ব্যক্তিগত পচ্ছন্দ-অপচ্ছন্দ, অবশ্য এইসব নানা বাহিনী কবে কোনদিন কোন আইন মানল , তাদের ইচ্ছাই তো আইন , কি বলেন !!
হায়রে দেশ ?? আচ্ছা এই জাহাঙ্গীর গেট দিয়ে প্রবেশ এর নিয়মটা কি ?? সাধারণ মানুষের জন্য কি নিষিদ্ধ ??
মেজাজটাই বিগড়ে গেল, ইফতার করতে একেবারে শেস মুহুর্তে হাজির হলাম, এরপর ডিনার... কিন্তু কোন কিছুই যেন পেটে ঢুকতে চাইল না , তাই ডিনার না করেই ডেজার্ট না নিয়েই একটু আগেই চলে এলাম ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।