আজ প্রথম আলো পত্রিকায় মতিউর রহমানের সম্পাদকীয়তে ঢাকার যানবাহন সমস্যার কিছু সমাধানের প্রস্তাব দেয়া হলো। এই নিয়ে কিছু আলোচনার অবতারণা করলাম।
ঢাকা শহরের অন্যতম যানজট-'সমৃদ্ধ' রাস্তা হলো মহাখালী-বিজয় সরণী। এই যানজটের সময় কেউ যদি রাস্তার অবস্থা খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন, রাস্তার অর্ধেকেরও বেশি দখল করে আছে বিভিন্ন মডেলের গাড়ী, যেগুলোর যাত্রীসংখ্যা গড়ে ৩ এর মতো। অথচ সেই তুলনায় প্রতিটি গাড়ী প্রচুর জায়গা দখল করে ফেলে।
আমরা যদি জনপ্রতি জ্বালানি খরচের বিষয়টি মাথায় আনি, তাহলে দেখবো, গাড়িতেই তা সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎত আমাদের মতো একটা দেশ, যেখানে জনসংখ্যা ও যানবাহন অনুপাতে রাস্তার সংখ্যা খুবই কম আর জ্বালানি সংকট খুবই বেশি, সেখানে গাড়িগুলি যে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির বড় কারণ, তাতে মনে হয় খুব বেশি সন্দেহ নেই।
আমাদের বহু পার্শ্ববর্তী দেশ, যেমন সিঙ্গাপুরে, এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা হয় এইভাবে, গাড়ি প্রতি প্রচুর ট্যাক্স আদায় করা হয়। সেই ট্যাক্সের টাকার একটা অংশ ব্যয় হয় রাস্তা প্রশস্ত করা সহ বিভিন্ন ট্রাফিক সংকট নিরসনের কাজে, আরেকটা অংশ ব্যয়িত হয় দেশের জ্বালানি ভর্তুকিতে। জ্বালানি তেল এভাবে অনেক কম খরচে সেখানে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।
আমার মনে হয় এদেশে সেটা করার সময় বহু আগেই চলে এসেছে।
মতিউর রহমানের সম্পাদকীয়তে ছোট ছোট বাস, মিনিবাস তুলে দিয়ে বড় বাস চালু করার প্রস্তাব এসেছে, তাতে কিছুটা লাভ হবে সন্দেহ নেই, কিন্তু এখানে উল্লেখিত পদক্ষেপে যানবাহন সমস্যা সমাধানে আর্থিক দৈন্য কাটিয়ে ওঠার খুব ভালো সুযোগ রয়েছে। এটা বহু দেশে পরীক্ষিত ও কার্যকর একটা পদক্ষেপ। মতিউর রহমান বহু দেশ ঘুরে এসেছেন, সারা পৃথিবীর বহু খবর যে তার কানে আসে, তা তার লেখা পড়লেই বোঝা যায়। এই পদক্ষেপের কথা তিনি জানেন না এটা হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
মতিউর রহমান কোন শ্রেণীর স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে চলেন তার কিছু ইঙ্গিত হয়তো এতে পাওয়া যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।