যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
প্রথমে দার্শনিক হইলাম। ভাবলাম যদি সামহোয়ার বন্ধ হইয়াই যায়, তাইলে কি করমু। যে এডিকশন বানাইয়া দিছে এখন তো আর উপায় নাই। সচলে তো ঢোকা যায় না। যামু নিশ্চয়ই আমারব্লগ বা পেচালীতে।
গেলাম সেখানে। আইডি আগে করা ছিল, টেস্ট দিলাম। হ, সব ঠিক ঠাক আছে।
কিন্তু প্রশ্ন হইলো, আমি সেখানে যামু কেন! বিষয়টা কিছুটা প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় দ্বার পরিগ্রহের মতন। শরীরে তো একটা মন্ত্রর-যন্ত্রর আছে সেইটা যেমন ঠিক রাখার জন্য নারীদেহ দরকার তেমনই এই ব্লগএডিকশনের জন্য আরেকখান ব্লগের গুষ্টিনাশ করতে হবে।
যামু সেজন্যই।
তারমানে যতদিন তুমি সার্ভিস দিবা ততদিন আছি, তারপর! তুমি নাই, আর ভাইব্বা চিন্তা কি হইবে। দুইদিন কান্দাকাটি কইরা নতুন ব্লগের সাথে সংগম করমু।
দার্শনিক উপলব্ধির পরে আসলো সৌন্দর্য্যপ্রিয়তা। আমারব্লগ, পেচালী ও সচল তিনটার রঙ, বর্ণ ও লেখায় কেমন যেন একটা প্রাণহীনতা।
আমি বলতেছি ফাস্ট লুকে উন্নত বক্ষ দৃষ্টিগ্রাহ্য হবার মতন স্ফটিকবিভা। নাহ! উহা আমার কৌমার্য্য হরণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারলো না।
উহার পরে আসি মাল-পত্রর বা কনটেন্টের দিকে। রাইটার্স ব্লগ, রঙ্গ ব্লগ আর ধর্ম ব্লগ যেমনই হোক না কেন উহার কোন অংশে এমন কিছু দৃষ্টিগোচর হইলো না যাহাতে উহাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা সম্ভব। একাঞ্চলে প্রবাসীদের সাহিত্য চর্চা, আরেকাংশে কেবল গুটকতেকের চ্যাটিংরুম এবং অন্যখানি বিরানভূমি।
ওয়ার্ডপ্রেসে ম্যাড়মেড়ে গড়নের আমারব্লগ, আর ....য়াতন লেজের সব প্রকাশায়নের কাছে সামহোয়ারের অনুপস্থিতি ছিল পীড়াদায়ক। ফলে দার্শনিক উপলব্ধিতে আবার সংযোজিত হইলো যে তোমার বিহনে আমি দারস্থ হইতে পারি না অন্যকারো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।