বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
হঠাৎ দেখি একজন লোক এগিয়ে আসলেন। হন্তদন্ত হয়ে ঢুকতে গেলেন গেট দিয়ে। হঠাৎ তীব্র ব্রেক কষে দাঁড়ালেন। তাকালেন ডান দিকে।
বললেন, এখানে কি হয়েছে। শুনলেন। ক্যামেরাম্যান তাকে সব বললেন। উনি শুনে বিজ্ঞের মত মাথা দোলাতে দোলাতে বললেন, "আপনারা কেন সরকারের কাছে যাচ্ছেন না। এতবড় উদ্বোগ আপনারা কিভাবে সামাল দিবেন।
" বলতে গেলে একটা ছোট খাটো ভাষন দিয়ে দিলেন। আমরা হাসি হাসি মুখে তার কথা শুনছিলাম আর মনে মনে গাল দিচ্ছিলাম। পরে মাথাটা একটু ডান দিকে কাত করে বললেন, আমিও ব্লগে লিখি। সবাই তখন তাকে ছেঁকে ধরে তার পরিচয় জানতে চাইলেন। উনি আবারও বিজ্ঞের মত মাথা দোলাতে দোলাতে বললেন, আমি স্বপন।
ক্যামেরাম্যান চিৎকার করে বললেন, ফরহাদ উদ্দিন স্বপন? উনি বললেন "হ্যাঁ"।
তারপর তাকে এই কঠিন ভাব নেওয়ার জন্য অনেক কথাই শুনতে হলো।
আমি রাতমজুরের সাথে অনেকবার টেলিফোনে কথা বলেছি কিন্তু কখনও দেখা হয়নি। আগে যেহেতু ওকে ছবিতে দেখেছি আর আমার ছবিতো ব্লগে দেয়াই আছে। তাই দুজন দুজনকে এক দেখাতেই চিনেছি।
কিন্তু রাতমজুর আমাকে দেখে বলে আমার চেহারা নাকি ভচকানো। ব্লগের ছবিতে নাকি আরো ইয়াং লাগে। আমি তাকে মজা করে বলি, আরে মিয়া আমি এখনও ইয়াং আছি। দেখেন না কিভাবে সব মেয়েরা তাকিয়ে আছে।
পরপর দুজন ষ্টার ঢুকলেন (একজনের নামের প্রথম অক্ষর ঈ এবং আরেকজনও নৃত্যশিল্পী "মু") ক্যামেরাম্যান দাঁড়ানো গেট দিয়ে।
তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। তাতে তাদের ভ্রু কুঁচকে গেল। ভাবটা এমন যেন আমরা কোন গ্রহ থেকে এসে ওখানে পড়েছি। আবার বিড়বিড় করে যেন কি বলে গেল।
একজন দর্শনাথী সব শুনে মন্তব্য করলেন, আদৌও শাশ্বত নামে কেউ আছে কিনা তা নিয়েই তো সন্দেহ আছে।
এটা দীপুর কাছ থেকে শোনা, একজন অনেকক্ষন ধরে শাশ্বতর ব্যাপারটা শুনে যাওয়ার সময় বললো, ও আচ্ছা রাজশাহী ইউনিভার্সিটি? তাহলে তো শিবির করে তাইনা? বলে উনি চলে যাচ্ছিলেন, এই মুহুর্তে দীপু ওনাকে পিছন থেকে ডেকে বলল, ভাই আমি নিজেই শিবির করি, আপনার কোন সমস্যা আছে? সেই লোকটি আর একমুহুর্ত দেরী না করে ভিতরে দৌড়।
আরো একটি ঘটনা। আপনারা যারা ওখানে গিয়েছিলেন তারা হযত খেয়াল করবেন, এন্ট্রিগুলোতে আমাদের পাশাপাশি ওখানকার কয়েকটি দোকানে স্পেশাল অফার চলছিল। সেগুলো লিফলেট বিলি করছিল দুই একজন ছেলে। তো একজন লোক এগিয়ে আসাতে আমাদের পক্ষ থেকে "নামহীন মানব" ওনাকে বললেন শাশ্বতর কথা।
উনি শুনে ঘুরে গেলেন, এবার সেই লিফলেট বিতরনকারী ছেলেটি বললো, ভাই আমাদের দোকানে ডিসকাউন্ট চলছে, এই কাগজটা নিয়ে যান ডিসকাউন্ট পাবেন। লোকটি তাকে রেগে বলল, না লাগবে না। তখন ঐ ছেলেটি বলল, ঠিক আছে আমারটা না নিলে তাইলে ঐ বাক্সে ট্যাকা ফ্যালেন। লোকটি এদিক ওদিক তাকিয়ে পকেট থেকে বিশটাকার নোট ফেলে চলে গেল।
এর রকম আরো অনেক মজার অভিজ্ঞতা আছে পরে শেয়ার করবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।