আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরাকীর্তি (পুরোনো কীর্তি) - ঘটন অঘটন

গলাবাজ আর সত্যিকারের লেখক এই ব্লগে টিকে থাকে, আমি কোনটাই না
আমরা ছোট থাকতে কত রকমের ঘটনাই না ঘটাই, কোনটা মজার, কোনটা বোকামির। তখন ক্লাস সিক্সে, বাসা থেকে একটু দূরে স্কুল, লোকাল বাসে যাতায়াত করতে হয়। আব্বা একদিন সাথে যেয়ে সব বুঝিয়ে দিলো, এরপর আমি একাই যাওয়া আসা করি। তো একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে আমার হাতে আর্ট পেপারের রোল আর কাধে ব্যাগ। বাসে উঠে আমি সামনে সিট পেলাম, একেবারে ড্রাইভারের পাশে।

কাধ থেকে ব্যাগটা নামিয়ে রাখলাম বাসের সামনের দিকটায় কাঁচের গায়ে। গন্তব্যে পৌছে সুন্দর করে ব্যাগটা না নিয়ে নেমে গেলাম, হেটে হেটে বাসায় গেলাম, দরজা দিয়ে ঢুকবো হঠাৎ মনে হলো আমার ব্যাগ !!! ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ি, বাসা থেকে সহজে পিকনিকে যাওয়ার অনুমুতি মেলেনা। আমার ক্লোজ ফ্রেন্ডেরও একই দশা। আমি ওর বাসার উকিল আর ও আমার বাসার। মহাস্হানগড় যাওয়ার জন্য দুই বাসায় রাজি করানো হলো।

দুজনেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি স্কুলে যেয়েই বন্ধুকে সুখবরটা দিতে হবে। বাসের ভিতর বলার সুযোগ হয়নি। বাস থেকে নেমে বলা শুরু করলাম, নানা রকম প্ল্যান ভাজছি দুজনে, খুশিতে পারলে উড়াল দেই। দুজনে মিলে বকবক করছি আর হাটছি। একসময় আবিস্কার করলাম, উত্তেজনার চোটে স্কুল পেরিয়ে প্রায় আধা মাইল সামনে চলে এসেছি আমরা !! মেজো ভাইয়ের বেস্ট ফ্রেন্ডের বিয়ে, ভাইয়ার ক্যামেরায় ছবি তোলা হলো।

ভাইয়া ক্যামেরা থেকে ফিল্ম খুলে ড্রয়ারে রেখেছে। আমার মনের ভিতর খালি ঘুরপাক খাচ্ছে ঐটুকে জিনিসের ভিতর কি থাকে, কেমনে থাকে। সুযোগ খুজতে থাকলাম, পেতেও খুব দেরী হলোনা। অনেক কায়দা কসরত করে পুরোটা খুলে ফেললাম। খোলার পর মনে হলো এবার এটাকে আগের অবস্হায় নেবো কি করে? ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গেছে, ভাইয়াও আর বকে কি করবে, ছবিগুলোর চৌদ্দটা তো আগেই বাজিয়েছি।

ছবি কৃতজ্ঞতা
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.