আজ দুপুরে খাবার টেবিলে বসে শুনতে পাচ্ছিলাম কেউ একজন দরজায় দাড়িয়ে খাবার অথবা চাল ভিক্ষা চাইছে। আমি উঠে গিয়ে দেখলাম ভীষন রুগ্ন একটা শিশু দরজায় দাড়িয়ে আছে। মাথায় চুল নেই, একটা প্যান্ট পরা মুখ ভরা হাসি। বয়স কত হবে, ৭/৮ বছর। আমি বলি, ভিক্ষা কেনো করছিস? আমার বাসায় কাজ করবি? খাওয়া ,জামা কাপড় সব দেবো।
(আমাদের চিরাচরিত কথন)।
সে আমাকে জানালো তার মা মারা গিয়েছে কিডনি খারাপ হয়ে যাওয়ায়। ওরা তিন ভাই বোন। তারা ওর ছোট। বাবা আরো একটা বিয়ে করে চলে গিয়েছে, খোজ খবর নেয় না।
ওরা দাদীর কাছে থাকে।
ও ভিক্ষা করবেনাতো কে করবে? তাছাড়া এই রকম ভিক্ষুক আমার আশপাশে না থাকলে তো আমি আমার অবস্হান নিয়ে দম্ভ করতে পারতাম না। ওরা আমাকে সে সুযোগ করে দিয়েছে। আমার অবশ্য কৃতজ্ঞ থাকা উচিত তাদের প্রতি ।
ধিক্ আমার সমাজ আর আমার সামাজিক অবস্হানকে।
আমি আমার বাসায় থাকার কথা বলায় সে রাজী হয়না। কারন, তার দাদী রাজী হবেনা। কারণ, সে ভিক্ষা না করলে তার ভাই বোন না খেয়ে থাকবে। আমি তাকে বলি তোর শরীরের যে অবস্হা আমার তো মনে হয় তোর ও কিডনী খারাপ হয়ে গিয়েছে। সে বলে, "তাইলে তো আমিও মইরা যাইতাম" সাথে সেই নিস্পাপ হাসি।
আমাদের চারপাশে এইরকম বহু শিশু আছে প্রতিদিন লড়াই করছে ক্ষুধার সাথে, বেচে থাকার সাথে। নিরাপত্বাহীন ভাবে জীবনযাপন করছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত এই শিশুদের সমস্যার কাছে আমার স------ব সমস্যা কেবলই মনে হয় বিলাসীতা। এমনকি অনুভূতি টুকুও।
আমি লজ্জায় মুখ লুকিয়ে রাখি ।
কারণ, আমি কিছুই করতে পারিনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।