আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লজ্জায় মাথা হেট হয়

যা কিছু মাথায় আসে

এই ঘটনা গুলোর নায়কেরা আমাদের সহপাঠী। আমাদের সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। লজ্জায় মাথা নুয়ে হেট হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিয়োগের শর্ত পুরন না হওয়ায় গত 1 ফেব্রুয়ারি আবেদন বাতিল করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের 3 শিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ছাত্রদল ক্যাডাররা। এর পরের ঘটনা ঘটে 30 মার্চ।

বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ওই দিন দুপুরে প্রতিপ গ্রুপের হাতে ছুরিকাহত হন রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান রানা। এর জের ধরে বিকেলে দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়। উভয় গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় এক গ্রুপের নেতাকমর্ীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। বিপ গ্রুপের নেতাকমর্ীরা ফাড়ির ভেতরে ঢুকে তাদের উপির চড়াও হলে পুলিশ বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে 10 ছাত্রদল নেতাকমর্ীকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প থেওেক উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়।

পরদিন রাজশাহী সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর মধ্যস্থতায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও অভিযোগ ওঠে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে ছাত্রদল। এরপর 3 এপ্রিল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাবি'র শের ই বাংলা হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশিক গভীর রাতে দলবল নিয়ে বিনোদপুর এলাকার মোল্লা ছাত্রাবাসে গিয়ে রুয়েট ছাত্র মোরশেদের ওপর চড়াও হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মোরশেদকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার আধাঘন্টা পর সেখানে পুলিশ হাজির হলেও এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা হয়নি। গত 18 মে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ক্যাডাররা পিটিয়ে আহত করে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ফারজানুর রহমান অতুলকে।

একই দিন সন্ধ্যায় দখল করতে না পেরে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি কালচারাল কাব-আরইউসিসিতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় ছাত্রদল ক্যাডাররা। চলতি বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটে 23 জুন। বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাফিন। পরে পুলিশ তার ক েতল্লাশী চালিয়ে 2 টি আগ্নেয়াস্ত্র ও 6টি শাক্তিশালী হাতবোমা উদ্ধার করেছে। পরদিন ওই হল রেইড দিলে পুলিশ ছাত্রদলের কয়েকটি ক থেকে হকিস্টিক, লোহার রডসহ বেশকিছু পাইপ উদ্ধার করে।

15 জুলাই ব্যাক্তিগত কোন্দলের জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলে দু'গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় গ্রুপ বেশ কটি গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ছাত্রদল নেত্রীরাও পিছিয়ে নেই। গত 21 জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হলে ছাত্রফ্রন্ট নেত্রীরা সাংগঠনিক কাজে গেলে ছাত্রদল নেত্রীরা তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ছাত্রফ্রন্ট নেতা-কমর্ীরা ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রদল নেত্রীদের শাস্তি দাবী করে মুন্নুজান হলের প্রভোস্টের কাছে স্মারকলিপি দেয়।

23 জুলাই বাকিতে ফটোকপি করতে না দেয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত রেজা আশিক তার দলবলসহ ফটোস্ট্যাট দোকানে ভাঙ্গচুর চালিয়ে ফটোস্ট্যাট মেশিন তুলে নিয়ে যায়। 12 আগস্ট শিকের বহিষ্কার দাবিতে আন্দোলনরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিাথর্ীদের ওপর বোমা হামলা চালায় ছাত্রদলের বহিষকৃত ক্যাডাররা। এতে আহত হয় 3 শিাথী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.