আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে গল্প : নাস্তিকদের জন্য



বদ্ধ মাতাল যুবক এলোমেলোভাবে হাঁটছে রাস্তা দিয়ে। তরুণী মেয়ে দেখলেই শিস্ মারছে। আ-শি-ক-বা-না-য়া-.... ! ঠিক এমন সময় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন একজন বয়স্ক ধর্মপ্রাণ মুসলমান... যুবকটি এগিয়ে গেল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যক্তির দিকে। পথরোধ করে দাঁড়াতে চেষ্টা করলো। ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যক্তি ঘটনা বুঝতে পারলেন।

মদের তীব্র গন্ধ আসছে যুবকটির মুখ দিয়ে... দুর্গন্ধ ! তবে যুবকটি 'জাতে মাতাল তালে ঠিক' গোছের। সে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিটিকে বললো- 'আমি একজন নাস্তিক। আপনার কাছে তিনটা প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছুক ! এই তিন প্রশ্নের জন্য আমি নাস্তিক হয়েছি। বাবা-মা আমাকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন আমি মাতাল হয়ে মদ খাই, রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরি, মানুষকে ধর্ম থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করি ! ' ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যক্তি মৃদু হাসলেন।

বললেন- ' আচ্ছা ঠিক আছে। আমি কথা দিলাম, তোমার তিনটা প্রশ্নের যথাযথ উত্তর আমি দেব। ' যুবকটি বলতে শুরু করলো... হাত নাচিয়ে : ১.ভাগ্য কী ? ২. ঈশ্বর বা আল্লাহ বলে আদৌ কেউ কি আছেন ? ঈশ্বর যদি থাকেন-ই বা, তাহলে তিনি কত্ত বড় ? এই এত্ত বড় নাকি এতটুকু ? যুবকটি একবার তার হাত প্রসারিত করলো আরেকবার সঙ্কুচিত করলো। ৩.আচ্ছা... শয়তান আগুনের তৈরী। আবার জাহান্নাম আগুনের তৈরী।

আল্লাহ শেষ বিচারের দিন শয়তানকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন... আগুনে-আগুনে কখনো কোনো সংঘর্ষ হয় ? আপনি দেখেছেন- আগুনে আগুন দিলে আগুন কখনো শেষ হয়ে যায় ? না-কি আরো বেশি জ্বলে ওঠে ? প্রশ্ন শেষ করা মাত্রই ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যক্তি যুবকটির ডান গালে ঠাস্ করে বেশ জোরে একটা চড় মারলেন ! হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকলো যুবক। বললো- ' আপনি এটা কি করলেন ? আমি তো আপনাকে খারাপ কিছু বলিনি ! তিনটা প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছি মাত্র... আপনি এটা কি করলেন ?' ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভ্যক্তিটি বললেন- কই, আমি তো তোমার তিনটা প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছি ঠিকমত ! যুবকটি বললো- তাই নাকি ! তো কীভাবে ? ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যক্তিটি বলতে শুরু করলেন- " তোমার প্রথম প্রশ্ন ভাগ্য কী ... আচ্ছা, এই যে আমি তোমাকে জোরে একটা চড় মারলাম... তুমি কি জানতে আমি তোমাকে এত জোরে চড় মারবো হঠাৎ ?" যুবকটি না-সূচক মাথা নাড়লো। ধর্মপ্রাণ মুসলমান বললেন- এটাই ভাগ্য। যা তুমি জাননা, যেটা তোমার জন্য পূর্ব নির্ধারিত। ধর্মপ্রাণ মুসলমান বললেন - তোমার দ্বিতীয় প্রশ্ন : ঈশ্বর বা আল্লাহ বলে আদৌ কেউ কি আছেন ? ঈশ্বর যদি থাকেন-ই বা, তাহলে তিনি কত্ত বড় ? এই এত্ত বড় নাকি এতটুকু ? আচ্ছা, আমি যে তোমাকে চড় মারলাম... তুমি তো ভীষণ ব্যথা পেয়েছ তাই-না ? যুবকটি বললো- হ্যাঁ পেয়েছি।

ধর্মপ্রাণ মুসলমান বললেন-কতটুকু ব্যথা তুমি পেয়েছ ? যুবকটি বললো- অনেক ব্যথা। অ-নে-ক ! ধর্মপ্রাণ মুসলমান বললেন - দেখি হাত দিয়ে দেখাও! তুমি কত বেশি, কি পরিমাণ ব্যথা পেয়েছ ? কয় ফুট ব্যথা, কিংবা কয় কেজি ? যুবকটি বললো- এটা তো জনাব সম্ভব না ! কোনদিনই না ! ধর্মপ্রাণ মুসলমান বললেন- ঈশ্বর বা আল্লাহও ঠিক সে রকম। তাঁকে দেখা যায় না কিন্তু ইবাদতের মাধ্যমে, বিশ্বাসের মাধ্যমে উপলব্ধি করা যায়... ধর্মপ্রাণ মুসলমান বললেন- তোমার তৃতীয় প্রশ্ন : শয়তান আগুনের তৈরী। আবার জাহান্নাম আগুনের তৈরী। আল্লাহ শেষ বিচারের দিন শয়তানকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন... আগুনে-আগুনে কখনো কোনো সংঘর্ষ হয় ? আপনি দেখেছেন- আগুনে আগুন দিলে আগুন কখনো শেষ হয়ে যায় ? না-কি আরো বেশি জ্বলে ওঠে ? আচ্ছা, তোমার ডান গাল কি দিয়ে তৈরী ? যুবকটি বললো- চামড়া ! ধর্মপ্রাণ মুসলমান বললেন- আমার হাত কি দিয়ে তৈরী ? লোহা না ইস্পাত ? যুবকটি বললো- এটা কি বলছেন ! আপনার হাত তো চামড়ার তৈরী ! ধর্মপ্রাণ মুসলমান বললেন - আমার চামড়ার হাত দিয়ে থাপ্পড় মারলে যদি তোমার চামড়ার গালে এত জোরে ব্যথা লাগে তাহলে শয়তানের জন্যও জাহান্নামের আগুন পেইনফুল হবে ইনশাল্লাহ।

আশাকরি তোমার তিনটা প্রশ্নের-ই উত্তর পেয়েছো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।