যুক্তরাষ্ট্রে মে দিবস রাষ্ট্রীয় ভাবে পালিত হয়না। অথচ এর সূচনা হয়েছিল
শিকাগো শহর থেকেই।
মে দিবসে যে বিষয়টি আমাকে বেশী পীড়া দেয় , তা হচ্ছে শিশুশ্রম।
বাংলাদেশে শিশুশ্রম বন্ধে কোনো সরকারই আন্তরিক ছিল না । এখনো নয়।
একটি শিশু, শ্রমিক হয়ে রাস্তায় নামার দায় সরকারের, সমাজের। যে দেশে
হাজার হাজার কোটি টাকা অবৈধ ভাবে লুটপাট হয়, সেদেশে শিশুসদন, পুনর্বাসনে, শিক্ষায়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ হয় না - তা খুবই লজ্জাজনক।
তিন যুগের বেশী বয়সী বাংলাদেশে আমরা শুধু শ্লোগান ই শুনেছি। সেমিনার দেখেছি। বাস্তবতা শুন্যের কোটায়।
প্রবাসী বাঙালিদের এব্যাপারে থাকতে পারতো বিশেষ ভূমিকা। আমরা
দেখি , প্রবাসের একটি সামাজিক -সাংস্কৃতিক -আন্চলিক সংগঠনের চেয়ার
দখলের প্রতিযোগিতায় কোনো কোনো নেতা খরচ করেন লক্ষ লক্ষ ডলার।
কোনো কোনো সংগঠনের মোট নির্বাচনী খরচ মিলিয়ন ডলারের ও বেশী।
২০০৮ সালের মে মাসের এই শুভসকালে আমি দুটি প্রস্তাব করতে চাই।
১।
অবৈধভাবে যেসব অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে , তা ফিরিয়ে আনলে এর
একাংশ শিশু পুনর্বাসনে ব্যয় করার ব্যবস্থা করুক বর্তমান তদারকি
সরকার।
২। প্রবাসের সমাজ সচেতন বাঙালিরা নিজ নিজ এলাকায় দরিদ্র শিশুদের
পুনর্বাসনে এগিয়ে আসতে পারেন। তাদের সাশ্রয়ের সামান্য অর্থ ফিরিয়ে
আনতে পারে একটি জীবনে ফুলেল পরশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।