মা বিবি সখিনা এখনো ছেলের প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন। আর শুধু কাঁদছেন। মায়ের মন এখনো মানতে চায় না, হরতাল-সমর্থকদের আগুনে পুড়ে তাঁর সন্তান ইজিবাইকের চালক মোহাম্মদ মুসা অনেক আগেই তাঁদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে শুধু বিবি সখিনা নন, পুরো পরিবারই এখন দিশেহারা।
গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এলাকায় হরতাল-সমর্থকদের দেওয়া আগুনে গাড়িসহ পুড়ে গুরুতর আহত হন মুসা।
পরে ৬ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি।
মুসার বাবা আবদুল মোনাফ অসুস্থ। কোনো কাজ করতে পারেন না। মুসারা তিন ভাই ও পাঁচ বোন। এখন মুসা নেই।
ছোট ভাই মো. হানিফ উচ্চমাধ্যমিক পড়ে। তার পড়ালেখার খরচ জোগানো এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
হানিফ বলেছে, ‘ভাইয়ের দুর্ঘটনার পর আমি তাঁর সঙ্গে ঢাকায় ছিলাম। এদিকে আমার দুটি টিউশনি চলে গেল। এখনো নতুন টিউশনি পাইনি।
কলেজের ফি মেটাতে পারছি না। ’
এখন প্রতিদিন ভালো করে দুই বেলা ভাত জোটে না সখিনার পরিবারের। কোনোমতে চলে যাচ্ছে। বাকলিয়া রাহাত্তারপুলের ওয়াইজের পাড়ায় মুসাদের বাড়ি। বাড়ি বলতে টিনের ছাউনি দেওয়া বেড়ার ঘর।
ওখানেই বসবাস করে পুরো পরিবার। দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।
উপার্জনহীন পরিবারটি কীভাবে চলছে, তা বোঝে না হানিফও। হানিফ জানায়, ভাই মারা যাওয়ার পর ইজিবাইক কেনা বাবদ ৬০ হাজার টাকা এখনো বকেয়া। কোনো সাহায্য-সহযোগিতাও নেই।
পরিবার কীভাবে চলছে, সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।