প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টের শিখরে উঠেছেন। এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ বটে। কিন্তু প্রথম আলো পত্রিকা যেভাবে এটাকে বিরাট লাল রঙের হেডিং করেছে তা হাস্যকর।
এটা ভেতরের পাতার নিউজ। যেহেতু প্রথমআলোর কিছু নামজাদা সাংবাদিকও মুসা ইব্রাহীমের ক্লাবের সাথে সংশ্লিষ্ট, তাই তারা এটাকে প্রথম পাতায় আনতেই পারেন।
কিন্তু এভাবে আনাটা ঠিক হয়নি।
মুসার সাথে নাকি আরও ২৫ জন হিমালয়ের চূড়ায় উঠেছেন। এতে বোঝা যায় এটা অনেকটা ডালভাতের মত ব্যাপার অনেকের কাছে। বাকি ২৫ জনের খবরটা তাদের দেশের পত্রিকায় কিভাবে এসেছে তা জানার আমার বড়ই শখ।
এডমন্ড হিলারী আর শেরপা তেনজিং এর মত প্রথম চূড়া আরোহী হিসেবে হিমালয়ের গুরুত্ব আর নেই।
প্রযুক্তি বদলেছে। প্রতি সাপ্তাহেই হিমালয়ের সর্বোচ্চ উপরে উঠা এখন কোন বিষয় নয়। অহরহই তা ঘটছে। পত্রিকার ভেতরের পাতায় এক কলামে খবরটা ছাপা হলেই তারা খুশী।
বাংলাদেশীরা মুলত পর্বতারোহী নয়।
খুব কম মানুষই নেপালে যায় আর পর্বত আরোহণ তো অনেক দূরের বিষয়। দু-চারজন সৈাখিন আছেন, তাদের মধ্যে মুসা অন্যতম। তার সাফল্যে আমিও গর্ববোধ করছি।
কিনতু প্রথমআলোর নিউজ সেন্স দেখে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়, প্রথম আলো বরাবরেরর মতই ইজ্জত খুইয়েছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।