কার্টুনিস্ট আরিফের মুক্তির সংবাদ পেয়ে ভালো লাগলো।
আদালত জানিয়েছে কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করবার কোনো বাসনা আরিফের ছিলো না। এই বিষয়বস্তু নিয়ে একটা ব্যঙ্গ সবুজ পত্র নামক একটি পত্রিকায় আগেই ছাপা হয়েছিলো- তখন এ ধরণের অভিযোগ উত্থাপিত হয় নি-
আরিফকে মুক্তি দেওয়ার পরে আদালতকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়- অন্তত ২৯৫ থেকে ২৯৮ ধারার যেকোনো একটিতে তাকে ২ বছরের জেল দেওয়া যেতো। তা না করে তাকে মুক্তি দিয়ে আদালত যে মহানুভবতার পরিচয় রেখেছেন তাতে বিচারকদের ধন্যবাদ।
এই নিয়ে বিতর্কের ঝড় যখন উঠেছিলো তখনও যেমন এখনও সেই কৌতুক প্রসঙ্গে আমার অবস্থান একই- মোহাম্মদ বিড়াল প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য এটাতে মোহাম্মদের অবমাননা হয়েছে এটা জানতে পারলে হয়তো স্বয়ং মোহাম্মদও হাসতে হাসতে খুন হয়ে যেতে পারতো।
তা ঘটে নি- বরং ধর্মীয় অনুভুতির মতো একটা হাস্যকর বিষয়ের ধোঁয়া তুলে কৌশলে রাজপথে জনসমাবেশ করলেও এই জরুরি বিধিমালার সময়ে কোনো সমস্যা হয় না - মসজিদে মসজিদে সরকারের নীতির বিরোধিতা করলেও কেউ বাধা দেয় না-
মোহাম্মদ বিড়াল কৌতুক হিসেবে তেমন চমৎকার ছিলো না বরং একটু অগভীর একটা কৌতুক ছিলো- সেটা ক্লিশে হয়ে গিয়েছিলো অনেক আগেই- অন্তত ৩ যুগের পুরোনো কৌতুক- যে কৌতুকের গা থেকে শ্যাঁওলার গন্ধ আসতো- সেই স্যাঁতস্যাঁতে কৌতুকে পিছলে পড়ে আরিফের এই কয়েক মাসের হাজত বাসে আমি দুঃখিত-
যেহেতু তার কোনোই অপরাধ নেই তাই এ হেনেস্তার জন্য তাকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছো।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।