আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ম কি শুধুই কিছু আনুষ্ঠানিকতা নাকি আরো বেশী কিছু ?

ক্ষেপাইতে চাইলে akayes@yahoo.com মেইল করেন :)

ধর্ম নিয়ে নানা জন বিভিন্ন সময়ে নানান অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। কখনো ধর্মের পক্ষে কখনো বা বিপক্ষে। আবার বিপক্ষে বলতে গিয়ে কাউকে কাউকে অজ্ঞানতার কারণে ধর্মনিরপেক্ষতা আর ধর্মহীনতাকে গুলিয়ে একাকার করতে দেখা গেছে। ধর্ম- সে যে ধর্মই হোক, এটি একটি বিশ্বাস, একটি জীবন বিধান। ধর্ম মানুষকে আদর্শের পথে চলতে শিখায়, পাপ-পূন্য, ভাল-মন্দের পার্থক্য দেখায়, সৎ থাকতে, সৎ পথে চলতে শিখায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে জ্বলতে শিখায়, পরিবার, সমাজ, জাতি কিংবা দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জন্মাতে শিখায়।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল আমরা তা কতটুকুই বা শিখতে পারি বা পালন করতে পারি? আমাদের এই শিক্ষার অপূর্ণতা, ধর্মীয় বিধি-নিষেধ কিংবা কর্তব্য পালনের অলসতা তো ধর্মের দোষ নয়, হয়তো আমাদের নিজেদের গাফিলতি কিংবা সিস্টেমের দোষ। কোন ধর্মই মানূষকে অমানুষ হতে শিখায় না কিংবা অন্যের অধিকার অপহরণ করার কথা বলে না। আর যারা ধর্মের বর্মে অধর্মের কাজ করে তারা ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে। আরো এক দল আছে যারা ধর্মহীনতার ধোয়া তোলে ভাওতাবাজী করে জাগতিক ফায়দা হাসিলের পায়তারায় লিপ্ত, ধর্ম তাদের কাছে খুজলী রোগ তোল্য। এটাকেই তারা হীনস্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে মনে করে আর ইসলাম তো এক্ষেত্রে সবচেয়ে যুৎসই উপকরণ।

যে ধর্ম বিশ্বাস করে সে এটাও বিশ্বাস করে যে সৃষ্টিকর্তার কাছে তার কৃতকর্মের জন্য একদিন জবাবদিহী করতে হবে। তাই একজন ধর্মবিশ্বাসী লোক সে যতই বেপরোয়া হোক তার অপকর্মের জন্য বিন্দুমাত্র হলেও বিবেকের কাছে অনুতপ্ত হয়। মুহুর্তের জন্য হলেও সৃষ্টিকর্তার কথা স্বরণ করে। কিন্তু একজন নাস্তিক নাস্তিক্যবাদের সাইনবোর্ড পিঠে ঝুলিয়ে যে কোন অপকর্ম সে করতে পারে কারণ তার সে বিশ্বাস করে তার কৃতকর্মের জন্য তাকে কখনো জবাবদিহী করতে হবে না। ভাল-মন্দ কোন বিভেদ তার কাছে নেই।

পাপ-পূন্য দুটুই তার কাছে সমান। এতে কি ধর্মের কিছু আসে যায়?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.