আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিস্ময়কর নিরাময় কোয়ান্টাম হিলিং - ৩ (শেষ পর্ব)



বিস্ময়কর নিরাময় কোয়ান্টাম হিলিং -২ বিস্ময়কর নিরাময় কোয়ান্টাম হিলিং -১ কেস স্টাডি : সান ফ্রান্সিসকো জেনারেল হসপিটাল ১৯৮৮ সালে সান ফ্রান্সিসকো জেনারেল হসপিটালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ১০ মাস ধরে ভর্তি আছেন এমন ৩৯৩ জন হৃদরোগীকে নিয়ে একটি গবেষণা চালান ডা. র‌্যানডলফ বায়ার্ড। দৈবচয়নের মাধ্যমে রোগীদেরকে দুটো গ্রুপে ভাগ করে এক গ্রুপের জন্য নিয়িমিত প্রার্থনা করতে বলা হলো দেশজুড়ে নিয়োজিত প্রার্থনাকারীদের। আরেক গ্রুপের জন্যে চললো শুধু প্রচলিত চিকিৎসা। দুই গ্রুপের এমনকি ডাক্তারদের ও এ বিষয়ে কিছুই বলা হলো না। বিস্ময়কর ভাবে দেখা গেল, যে গ্রুপের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে অন্য গ্রুপের চেয়ে আগে তারা হাসপাতাল ছেড়েছেন, তাদের এন্টিবায়োটিক লেগেছে মাত্র ৫ ভাগের ১ ভাগ।

এবং তারা পরবর্তী জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৩ ভাগের ১ ভাগ ক্ষেত্রে। ১৯৯৫ সালে ডার্টমাউথ মেডিকেল স্কুলে ওপেন হার্ট সার্জারী করা হয়েছে এমন ২৩২ জন রোগীর উপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, যারা তাদের নিরাময়ের জন্যে স্রষ্টার ওপর বিশ্বাস করতেন অপারেশনের ৬ মাস পরে অন্যদের তুলনায় তাদের বেঁচে থাকার হার ৩ গুণ বেশি। ক্যালিফোর্নিয়া প্যাসিফিক মেডিকেল সেন্টারের ড. এলিজাবেথ টার্গ মারাত্মকভাবে অসুস্থ ২০ জন এইডস রোগীর ওপর প্রার্থনার ফলাফলে এত চমৎকৃত হন যে, এরপর তিনি আরো ১০০ জন রোগীকে নিয়ে শুরু করেন নতুন গবেষণা। বিশ্বাসের আকুতি রয়েছে জেনেটিক কোডেই নিরাময়ে মেডিটেশন এবং প্রার্থনার ভূমিকা ব্যাখ্যায় গবেষক ডা. হার্বার্ট বেনসন বলেন, এক অসীম ও পরম সত্তায় বিশ্বাস স্থাপনের আকুতি মানুষ তার জেনেটিক ব্লুপ্রিন্টেই বহন করছে। আর এ বিশ্বাস নিরাময়ের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ।

এমনকি ওষুধ বা সার্জারি ও যে কার্যকর হয়, তার মূল কারণ রোগীর বিশ্বাস- চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে প্লাসিবো ইফেক্ট বলা হয়। ফলে প্রার্থনার মধ্যে যখন বিশ্বাস সঞ্চারিত হয়, তখন তার দেহের নিউরো- আ্যানাটমিক্যাল সিস্টেম প্রভাবিত হয়ে শুরু হয় রোগমুক্তির প্রক্রিয়া। এক অদম্য ইতিবাচক শক্তি তখন রোগ বা সমস্যার নেতিবাচক মূল কারণকে দূরীভূত করে সুস্থ করে তোলে, সমাধানের পথ দেখায়। নিরাময়ের প্রার্থনা যে স্থান-কাল নির্বিশেষে কাজ করে তার প্রমাণ পেয়েছেন প্রার্থনা বিশেষজ্ঞ জ্যাক স্টাকি তার গবেষণায়। কলোরাডোতে একদল স্বেচ্ছাসেবীকে তার ল্যাবে বসিয়ে তাদের ব্রেন ও দেহের তড়িৎ-প্রবাহ যখন তিনি মাপছিলেন তখন তাদের কয়েকজনের জন্যে আরেকদল স্বেচ্ছাসেবী ক্যালিফোর্নিয়ায় বসে প্রার্থনা করছিলেন।

দুই জায়গার মধ্যে দূরত্ব ১০০০ মাইলেরও বেশি। বিস্ময়করভাবে দেখা গেল, যাদের জন্যে প্রার্থনা করা হয়েছে তাদের দেহের তড়িৎমাত্রায় হয়েছে লক্ষণীয় পরিবর্তন। কোয়ান্টাম যৌথ হিলিং : আপনার করণীয় ১. প্রতি বুধবার ফাউন্ডেশনের প্রতিটি সেন্টারে যৌথ হিলিং অনুষ্ঠিত হয়। হিলিং ফরমে যে কেউ নিরাময় প্রার্থির নাম, ঠিকানা ও সমস্যা উল্লেখ করে জমা দিতে পারেন। ২. মাসিক কোয়ান্টায়নে জালালিতে হয় বিশেষ হিলিং।

বিশেষ কোয়ান্টাম সমমর্মী অনুরণনময় এ যৌথ হিলিং-এর জন্যে আগেই নাম দিন। ৩. প্রত্যেক রমজানে প্রতিদিন হিলিং এবং আখেরী দোয়ায় বিশেষ হিলিং অনুষ্ঠিত হয়। ৪. একবার থেকে শুরু করে যতবার খুশি এমনকি সারাবছরের জন্যও আপনি হিলিং-এ নাম দিতে পারেন। ৫. প্রতিবার হিলিং বাবদ নিরাময়প্রার্থির নূন্যতম সদকার পরিমান হলো ৪০ টাকা। আপনি চাইলে এর বেশিও সদকা দিতে পারেন।

আত্ম উন্নয়ন ও সৃষ্টির সেবায় কোয়ান্টাম কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশন কোর্স সম্পন্নকারী হাজার হাজার কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েটের আত্ম উন্নয়ন ও সৃষ্টির সেবার আন্তরিক প্রয়াসের ফসল হচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। নৈতিক ও আত্মিক উন্নয়নের জন্যে নিয়মিত মেডিটেশন, আলোচনা, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের পাশাপাশি স্ব-উদ্যোগে ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় কোয়ান্টাম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ১৯৯৩ সাল থেকে। ১৫ বছরে মেডিটেশন কোর্সের আড়াই শতাধিক ব্যাচ সম্পন্নের মাধ্যমে দেশে মেডিটেশন চর্চা ও নৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা যেমন নতুন গতি পেয়েছে তেমনি সৃষ্টির সেবা কার্যক্রমও পেয়েছে এ নিঃস্বার্থ মাত্রা। (সমাপ্ত) আজ সবাইকে আলোকায়নে আমন্ত্রণ রইল- বিষয়ঃ বিষন্নতা ও অবষাদ থেকে মুক্তির জন্য মেডিটেশন এখন থেকে আলোকায়ন কার্যক্রম ৭ টি সেশনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। Click This Link সৌজন্যে: কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ১১৯/পি, শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭।

৯৩৪১৪৪১,৮৩১৯৩৭৭ http://www.quanfey.org/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।