আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ছেলেবেলা - ৩ (কো-এডুকেশন)

একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতা, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার

আমি পড়াশুনা করেছি কো-এডুকেশন স্কুলে অর্থাৎ ছেলে মেয়ে একসাথে। আমাদের অনেক বন্ধু পড়তো বয়েজ স্কুলে। যখন সব স্কুল ছুটি হতো সব ছাত্রছাত্রী রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ী ফিরতো তখন বয়েজ স্কুলে পড়া আমাদের বন্ধুরা আমাদের দিকে তাকিয়ে ঈর্ষা করতো। আর আমরা ওদের সামনে বুক ফুলিয়ে হেঁটে যেতাম। কারণ ওদের সুযোগ ছিল না মেয়েদের দেখার মেয়েদের সহচার্য পাওয়ার।

এই গর্বে আমরা ছিলাম গর্ববতী (দুঃখিত)। এটা গেল স্কুলের বাহিরের দৃশ্য। তবে স্কুলের মধ্যে আমরা আবার মেয়েদের পাত্তা দিতাম না। ওদের কাছে দাম বাড়ানোর জন্য। যদিও সেটা ছিল উপরে উপরে।

ছোট ক্লাশ থেকেই আমরা ছিলাম খুব দুষ্টু। কিন্তু আমাদের চেহারা দেখে বোঝা যেত না। যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে পারতাম না। এমন অনেক কাজ করতাম যেগুলো কে করেছে বোঝা যেত না। দুরে দাড়িঁয়ে দাড়িঁয়ে তার রেজাল্ট দেখতাম।

স্কুলের দেয়ালে, বোর্ডে সাহিত্য চর্চা করতাম। ওমুক+ওমুক। এগুলো করতাম বিকেল বেলায় যখন মাঠে খেলতে যেতাম। পরের দিন স্কুল করার সময় সেইসব লেখা দেখে আমাদের বান্ধবীরা লজ্জা পেত। আর স্যারেরা হুংকার দিতেন কে করেছে এই কাজ? আমরা তখন চুপ।

বান্ধবীদের দিকে তাকাতাম সহানুভুতির চোখে। ভাবখানা এমন যে, কাজটা আসলেই খুব খারাপ হয়েছে। আমরা যখন ক্লাশ এইটে তখন আমাদের স্কুলে ভর্তি হলো দুই বোন। একজন ক্লাশ ফাইভে আর একজন ক্লাশ ফোরে (নাম প্রকাশ করলাম না)। তারা এতই সুন্দরী ছিল যে, পুরো স্খুলের সব ছাত্রের একদিকেই নজর।

আহা ওর সাথে যদি প্রেম করা যেত!! সবসময় ওদের ক্লাশের সামনে দিয়ে ঘুরতাম। আর কারণে অকারণে ওদের ক্লাশে যেতাম ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মারামারি মিটাতে। যেহেতু আমরা বড় ক্লাশে পড়ি তাই একটু নেতা নেতা ভাব। বিভিন্ন স্পোর্স ক্যাম্পেইনের সময় এটা বেশী হতো। এছাড়াও আমরা স্কুলে যতই গোপন দুষ্টুমী করতাম কিন্তু ছাত্র ছিলাম ভাল।

তাই শিক্ষক ছাড়াও সবার প্রিয়পাত্র ছিল আমাদের গ্রুপটি। মনে আছে একবার ক্লাশ এইটে কণাকে (ছদ্দনাম) বাজে কথা বলে ধরা খেয়ে ওয়াজউদ্দিন স্যারের কাছে চরম মার খেয়েছিলাম আমি, বিপু আর মাসুম। ওহ! সে কি মার। মাথা টেবিলের নীচে ঢুকিয়ে পাছার উপর ঝড় বয়ে গেল। আহা কি অমৃত!! তবে পরে অবশ্য কণা আমাদের কাছে সরি বলেছে।

আমরা ওকে বললাম, না আমাদের উপর স্যারের অন্য একটা কারণে রাগ ছিল তো তাই এত.....। যাই হোক অনেক অনেক স্মৃতি আছে সবার সাথেই শেয়ার করবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।